আগের পর্ব গুলিতে মোট ২ প্রকার লোগো নিয়ে আমি লিখেছি,আজ আমি আরো দুইটি প্রকারভেদ নিয়ে লিখতে চলেছি।
এমব্লেম
এমব্লেম লোগো টেক্সট এবং আইকন বা সিম্বল যুক্ত করে একসাথে ডিজাইন করা হয়। এই ধরণের লোগো সাধারণত চিরাচরিত লোগোর অন্যতম উদাহরণ। ব্রান্ড লোগো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সংগঠন এবং সরকারী সংস্থা সূমহে ব্যবহার করা হয়। মধ্যযুগ থেকেই এই ধরনের লোগোর প্রচলন আছে।
এন এফ এল হলো এর উদাহরন।
এমব্লেম লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত:
আপনার কোম্পানি যদি কোন ঐতিহ্যবাহী বা প্রথা ভিত্তিক হয়ে থাকে।
কফি শপ, ফুড বা পানীয় ভিত্তিক কোম্পানির ক্ষেত্রে এই ধরণের লোগো ব্যবহার করা যেতে পারে।
এমব্লেম লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:
প্রথমত আপনার মাথায় রাখতে হবে এই ধরণের লোগো দূর থেকে স্পষ্ট বোঝা যাবে না যেমন বিলবোর্ড।
ওয়েবসাইটের তথা যেসব ক্ষেত্রে লোগোর সাইজ ছোট করার প্রয়োজন হবে সেই সময় আপনার কোম্পানির নাম অস্পষ্ট থাকবে।
মাস্ককোটস
কার্টুন, কালার ফুল ছবি অথবা ব্যঙ্গ এধরনের বৈশিষ্ট্যর মিশ্রণে যে ধরণের লোগো তৈরি হয়, তাকে মাস্ককোটস লোগো বলা হয়। মাস্ককোটস লোগো সাধারণত ইলাস্ট্রেশন ভিত্তিক হয়ে থাকে।
কেএফসির লোগো হলো মাস্ককোটস লোগোর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
মাস্ককোটস লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত:
যদি আপনার কোম্পানির বাচ্চা অথবা সাংসারিক গ্রাহক আকর্ষণের উদ্দেশ্য থাকে।
আপনার কোম্পানি যদি বন্ধু ভাবাপন্ন, মিশুক, আনন্দদায়ক, মজার হয়ে থাকে, তবে এই ধরণের লোগো ব্যবহার করা উচিত।
লোগো কখন ব্যবহার করা উচিত নয়:
গম্ভীর কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি হলে এই ধরণের লোগো পরিহার করা উচিত।