শিক্ষগত যোগ্যতা আর স্কিল,দুইটা আলাদা ব্যাপার।

শিক্ষগত যোগ্যতা আর স্কিল,দুইটা আলাদা ব্যাপার।
কাগজের সার্টিফিকেট আর মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে সাথে বাংলাদেশের সিষ্টেম দিয়ে অনেকেই অনেক বড় পদে চাকুরী করে কিন্তু স্কিলড, ওই শব্দটা আলাদা।

অনেকেই আছেন,যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সায়েন্সের মত (অন্যান্য সকল সাবজেক্টেও আছে) বিভাগের হেডের দ্বায়িত্ব পালন করে থাকে,যেকোন সরকারী বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নানারকম ট্রেনিং এ তাদেরই নাম আসে মুলত পদবীর জ্বোরে।

বাস্তবে এইসব ট্রেনিং থেকে কেউই কোনকালে ভালো কিঁু শেখেনাই,এসব ট্রেনিং এ শুধু বিশাল বিশাল গল্প আর স্বপ্ন দেয়া হয় কিন্তু ইম্পলিমেন্ট করা আর হয়না।দিনশেষে বলা হয়- আমরা সময়ের লিমিটেশনের জন্য পারলাম না।

ট্রেনিং গুলিতে হি লেভেলের কিছু কাজ শেখানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বেসিকেও আসা হয়না কারো।আমি আমার ব্যাক্তিগত কর্মজীবন দিয়েই এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।

এইসব ট্রেনিং এর পিছনে সরকার প্রচুর টাকা খরচ করে থাকে কিন্তু দিনশেষে ফলাফল শুন্য থাকে।মজাত ব্যাপার হচ্ছে- দেশের বাইরের কিছু ট্রেনিং বা ভি আই পি ব্যাবস্থাসম্পন্ন ট্রেনিং গুলিতে আবার ট্রেনি হিসাবে যারা যান,তাদের মুলত ঐ কাজের কোন সম্পর্কও থাকেনা।

এই কাজের ক্ষতিটা শিক্ষার্থীদের গন্ডি পেরিয়ে এখন উদ্যোক্তাদের মাঝেও এসেছে।উদ্যোক্তাদস্র নিকট থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে, ট্রেনিং আর ক্লাসের নামে চলে মুলত- পকেট ভরার ব্যবসা।

আমার প্রতিষ্ঠান ৬০০০+ নারী উদ্যোক্তাদের সাথে কাজ করে,টাকা দিয়ে বিরাট বিরাট সার্টিফিকেট পেলেও তারা বলতে পারেনা- Page url কি, জানেই না Boost কি, Ad campaign আর Boost এর বেসিক কি পার্থক্য কি?

এগুলা অনেক কঠিনই হয়ে গেলো,তারাতো এইটাও অনেকে জানেনা যে, লিংক শেয়ার কিভাবে করে, এইটাও তারা জানেনা যে, তাদের আইডি সিকিউরিটি ঠিক থাকলেই পেজ সেফ থাকে।অনেকেই আমাকে বলে- আমার পেজটা সিকিউরিড করে দেন।

উদ্যোক্তাদের কাজ হলো- বিজনেস করবে, নিজের সেক্টরে স্কিল অর্জন করবে,তাদের এইগুলি এত না জানলেও চলবে মুলত কিংবা না জানাতে দোষের নেই কিন্তু তাইবলে টাকা দিয়ে ক্লাস করেও যদি এই জ্ঞানটুকু যা নিতান্তই বেসিক,সেটাও না দেয়া হয় তার অর্থ দাঁড়ায় একান্তই বিজনেস।

এইটা নিয়ে ভয়ের কারনে মুলত কোন প্রতিবাদ ওঠেনা,সত্য বলেই শুধু না বরং আমার মত পাবলিক যা দুই একজন আছে, সত্য বলে ও প্রচার করে- কৌশলে তারা এদের পোষ্ট গুলিতে লাইক-কমেন্ট ও করেনা।

এতটাই কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে,বাড়ির ভিতরে থাকা একটা নারীকে বাইরের চাকচিক্যময় সিনারিওর স্বাদ দেখয়েও করা হচ্ছে ক্ষতি।ঠকছে কারা?

আমাদের ভবিষ্যৎ জেনারেশন,আমাদের দেশের মত এত বেহাল দশা নেই আর কোন দেশের ফিউচারের।কারন একটাই- সব জায়গায় অবাধ দুর্নীতি।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো- আইটি সেক্টর।এই জায়গায় ডলারের লোভ দেখিয়ে মিথ্যা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লোক টেনে ম্যাক্সিমাম প্রতিষ্ঠানের পকেট ভরছে আর ম্যাক্সিমাম হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত।

এত নেগেটিভের মাঝে কিছু পজিটিভ হলো- Md. Towhiddjjaman ভাই এর মত মানুষগুলি,ওনারা সারাদেশ ঘুরে ঘুরে বেকারদের কর্মসংস্থান করে বেড়াচ্ছে অথচ প্নাদের ফান্ডিং করার মত কোন কোম্পানি এগিয়ে আসেনা,হয়না কেউ স্পন্সর।নিজের টাকা দিয়ে লোকের উপকার করে, এদিকেএইটাও সহ্য হচ্ছেনা একটা চক্রের,তাই ওনাকেও থামানোর চেষ্টা চলছে।

এসব দেখেও কি একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে, আমার-আপনার জাগরণ দরকার নেই?অন্যায় করা আর অন্যায় সহ্য করা দুইটাই তো সমান অপরাধ।কি জবাব বিবেককে দিয়ে ঘুমাতে যান আপনারা?

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *