সঠিকভাবে উদ্যোগ শুরু করতে যা যা করণীয় – শেষ পর্ব

 
এই সিরিজের ১ম,২য় ও ৩য় পর্বের লিংক আমি লেখার শেষে সংযুক্ত করে দিয়েছি,পড়ে নিতে পারেন।
✅ ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব খুলুন
এটা আপনার জন্য ভালো যে আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পৃথক রাখা। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও পেশাদারত্বের পরিচয় দেবেন।
✅ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করুন
আপনার ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করুন। বাজারে অনেক হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার আছে, আপনার ব্যবসার সঙ্গে মিল রেখে একটি হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি নির্বাচন করুন। ইচ্ছা করলে ইআরপি সফটওয়্যারও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি যদি ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত না হয়, তবে সব ডেবিট ও ক্রেডিট যেন ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে মিল থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখবেন। প্রয়োজনে একজন হিসাব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
✅ সহপ্রতিষ্ঠাতার দায়িত্ব বণ্টন করুন
ব্যবসা যদি যৌথ হয়, তবে আপনার সহপ্রতিষ্ঠাতার দায়িত্ব বণ্টন করুন। দুজনে বসে ঠিক করুন, কে কী করবেন এবং সেটা লিখিত আকারে রাখুন। সহমত না থাকলে আপনার ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
✅ নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করুন
আপনার অফিস বা কাজের নিজস্ব নিয়মকানুন, সময়, কর্মচারী থাকলে তাদের দায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা—সবকিছু প্রতিষ্ঠা করুন। প্রথম থেকেই যদি নিয়মের মধ্যে চলা যায়, তবে ধীরে ধীরে তা উন্নত করা যাবে। সবার ওপর সদয় থাকুন, নিজের ওপর দায়িত্ব নেবেন। প্রথম থেকেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
✅ আপনার নেটওয়ার্কের ওপর কাজ করুন
এটা খুবই জরুরি যে আপনি আপনার পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব, সাবেক সহকর্মী, পরিচিত—সবার কাছে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন। তাদের সবাই হয়তো আপনার গ্রাহক হবে না, কিন্তু তাদের পরিচিত কেউ আপনার গ্রাহক হবে। তাদেরকে আপনার গ্রাহক হওয়ার জন্য জোর করবেন না। শুরু থেকে রেফারেল বিজনেস তৈরির চেষ্টা করুন।
✅ টেকনোলজি আপগ্রেড করুন
সময়ের সঙ্গে আপনার ব্যবসায় যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন, সেগুলো ব্যবহার করুন। প্রযুক্তিগুলো যুগোপযোগী করুন। প্রয়োজনীয় বিজনেস অ্যাপগুলো নামিয়ে নিন এবং সেগুলোর ব্যবহার শিখুন। প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট সিআরএম যেন আপনার গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেন ও তাদের অনুসরণ করতে পারেন।
✅ পণ্য ও বিক্রির কৌশলের ওপর নজর রাখুন
যত দ্রুত সম্ভব আপনার বাজার সম্পর্কে জানবেন এবং আপনার গ্রাহকের মতামত নিন। প্রতিটি সেবা ও পণ্যকে যাচাই করুন এবং প্রয়োজনে পণ্য বাজারজাতকরণ ও বিক্রির কৌশলের পরিমার্জন করুন।
✅ নিজস্ব পণ্য হলে পেটেন্ট করুন
এটা জরুরি, যাতে আপনার ডিজাইন ও আবিষ্কৃত পণ্যটি কেউ নকল করতে না পারে। দেশের প্রচলিত নিয়মে ট্রেডমার্ক বা পেটেন্টের জন্য আবেদন করবেন। প্রয়োজনে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়া তৈরি করে নেবেন।
✅ পরামর্শকের সাহায্য নিন
আপনি যে ব্যবসা করেন, সেক্ষেত্রে সফল এমন কেউ বা একজন পেশাদার পরামর্শকের সাহায্য নিন—এমন কেউ, যে সত্যিকারে আপনার সফলতা চায় ও আপনার জন্য যার সময় আছে। পরামর্শের ফি ও অন্য শর্তাবলি আগে থেকেই আলোচনা করে নিন। অন্যান্য যেমন আপনার ব্যবসার ধরন বুঝে, পণ্য না সেবা ব্রশিয়ার, সাপ্তাহিক সেলস পেপার, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, টেলিফোন, সাইনেজ, কর্মচারী ব্যবস্থাপনা, বাজারীকরণের সরঞ্জাম ইত্যাদি।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *