বেশিরভাগ মানুষ নিজের দুর্বলতা অথবা খারাপ দিকগুলো নিয়ে ভাবতে চায় না। কিন্তু এগুলো নিয়ে না ভাবলে আসলে এগুলো ভালোমত বোঝা যায় না। এবং বোঝা না গেলে সেগুলো ঠিকও করা যায় না। আর যতক্ষণনা আপনি নিজের দুর্বলতা গুলো স্পষ্ট করে জানছেন, এবং সেগুলো দূর করার জন্য কিছু করছেন – ততক্ষণ সেগুলো আপনাকে আরও দুর্বল করবে। কোনও বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে গেলে এগুলো দু:শ্চিন্তার সৃষ্টি করবে। যার ফলে আপনি বেশি বেশি ব্যর্থ হওয়ার ভয় পাবেন।
কাজেই, আপনার যদি মনে হয় আপনি অল্পতে রেগে যান, বা অল্পতে ভয় পান – তবে যুক্তি দিয়ে এইসব ধারণা বাতিল করার বদলে এগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। কেন আপনি এমনটা করেন – তা বোঝার চেষ্টা করুন। নিজের দুর্বলতাগুলো নিজের অংশ হিসেবে মেনে নিন। তারপর এগুলো দূর করার চেষ্টা করুন। হতে পারে আপনার পড়া মনে রাখতে না পারার দুর্বলতার পেছনের কারণ, আপনি আসলে যথেষ্ঠ সময় নিয়ে পড়েন না। অথবা পড়ার সময়ে অন্য চিন্তা করেন।
দুর্বলতা নিয়ে চিন্তা করলে, সেগুলোর পেছনের কারণ, এবং সমাধান বের হয়ে আসে। প্রয়োজনে বিশ্বস্ত বন্ধুর সাথে কথা বলুন। প্রয়োজনে নিজের বাবা-মা বা তেমন কারও কাছে নিজের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলুন, এবং তাদের কাছে পরামর্শ চান। এটা আপনি যতটা ভাবছেন, তারচেয়েও বেশি উপকার করে।
বিখ্যাত লেখক- সাইমন সিনেক একবার বলেছিলেন, “সাহায্য ও পরামর্শ দেয়ার জন্য যোগ্য মানুষ বসে আছে। সমস্যাটা আমাদের আমরা নিজের দুর্বলতাগুলো মেনে নিয়ে অন্যের কাছে সাহায্য চাইতে যাই না।”
নিজের দুর্বলতাগুলো মেনে নিন, তারপর সেগুলো দূর করার চেষ্টা করুন। নিজে যতটা পারেন করুন, তারপর অন্যের সাহায্য নিন। নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হয়ে গেলে ব্যর্থতার ভয় অনেক কমে যাবে। কারণ আপনি জানবেন, আপনি আসলেই কোন বিষয়ে কতটা দুর্বল, এবং সেই দুর্বলতা মোকাবেলা করার উপায়ও আপনার জানা থাকবে।