সবার কাছে মিথ্যে স্বচ্ছতা অর্জনের চেয়ে নিজের বিবেকের কাছে কষ্টকর সত্য নিয়ে বেঁচে থাকাই আত্নশান্তির মুলে

সবার কাছে মিথ্যে স্বচ্ছতা অর্জনের চেয়ে নিজের বিবেকের কাছে কষ্টকর সত্য নিয়ে বেঁচে থাকাই আত্নশান্তির মুলে ✅
আপনার সম্পর্কে যাদের নেগেটিভ ধারনা তৈরি হয় কোন বিষয় নিয়ে,তাদের ধারনা ভুল নাকি সঠিক এইটা প্রমাণের জন্য আপনি কি করেন?
এই প্রশ্নের ধরন একই রকম রেখে ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দেয়া সম্ভব এবং উত্তর আসাটাই স্বাভাবিক।
পৃথিবীতে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে,এবং আমার কন্টেন্টে করা প্রশ্নটির সম্মুখীন আমরা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে হয়ে থাকি।
ঘটনা-০১ঃ
একজন,এস এস সি পরীক্ষার্থী ঠিক পরীক্ষার কিছুদিন আগে থেকে লেখাপড়ায় খুব সিরিয়াস হলো।এই রাত জেগে পড়াকে নিয়ে বেশ কিছু মতবাদ তৈরি হতে পারে-
১. ছেলেটা দারুন মনোযোগ দিয়েছে লেখাপড়ায় কিন্তু সারা বছর না পড়ে কি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়?
২. আরে ঐ ছেলেটা পড়েনা,রাত জেগে গেম খেলে কিংবা মোবাইলে প্রেম করে।
৩. আরে নাহ ও পড়েনা বরং ডায়েরি লিখেই শেষ করে।
এই ছেলেটা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে এই কমেন্ট কারীরা কি বলে দেখেন-
১. বলেছিলাম তো,এই ছেলে ভালো করবে।
২. এত পরিশ্রমের ফল পেয়েছে ছেলেটা,ওকে দেখে শেখা উচিত।
৩. দুরন্ত আর ডানপিটে হলেও সে লেখাপড়া ঠিক রেখেছে।
৪. আমি বলেছিলাম কিন্তু তোমরা তো বিশ্বাস করোনাই,ছেলেটা দারুন ট্যালেন্টেড
এক কথায় প্রশংসার জয়ধ্বনী উচ্চারিত হবে সকলের মুখে।
উপরের ঘটনাটা শুধু এস এস সি পরীক্ষার সময় প্রচলিত এমন নয়,বরন জীবনের সকল পর্যায়েই পরিলক্ষিত হয়।
বাস্তব জীবনের একটু ব্যাখা দিই-
আপনি একটু বড় পর্যায়ে গেছেন,আপনার কিছু ফ্যান-ফলোয়ার তৈরি হয়েছে এবং আপনার জনপ্রিয়তার কদর এখন অনেক।ঠিক এই সময়ে অনেক কিছু ঘটে মানুষের জীবনে।
ধরুন এক জায়গায় অনুষ্ঠানে গেছেন,মন খুলে সবার সাথে ছবি উঠেছেন, এর পরেও যা হতে পারে-
১. অমুকের সাথে দেখলাম খুব ভাব আছে,কেমন রোমান্টিক ভাবে ছবি উঠেছে দেখেছেন আপা।
২. অমুক তো তার বান্ধবীবার সুন্দরীও তার দিকে থেকে সরছেই না।
৩. আমায় ডেকে একটাও ছবি উঠলোনা,অথচ সবার সাথে ছবি উঠলো।
এইরকম হাজারটা ধারনা তৈরি হয় এবং এটা নিয়ে অনেকেই মানসিক কষ্টে ভোগেন হয়তো।
এমন সময়ে আমার কি রকম অভিজ্ঞিতা হয় সেটা জানতে চন অনেকেই,কিংবা এমন কথা আমায় নিয়ে হয় কিনা সেটা জানতে চান অনেকেই।সকলের জন্য এই কন্টেন্ট আমার।
আমি জীববে চলার পথে কাউকেই কখনো কোন ধারনার বিপরীতে কিংবা পক্ষ্যে কোন ব্যাখা করিনা।এটা নিয়ে অনেকের অনেক রকম মতবাদ আছে কিন্ত আমি আমার কনসেপ্টে বেঁচে রই
আমার সোজা কনসেপ্ট- পৃথিবীর সকল পরিচিত মানুষ কিংবা সার্কেলের মানুষ আমার কাছের নয়।যারা কাছের বলে দাবী করে- তাদের আসলে জানা উচিত আমার দ্ব্রারা কি হবে আর কি হওয়া উচিত।আসলে ব্যাক্তি সৌভিক কেমন? কিংবা কি তার দ্বারা সম্ভব এসব যদি নাই জেনে থাকে তাহলে আমার কাছের বলে তার দাবি করাটা অন্যায়।
এবার আসি কাছের নয় কিন্তু এমন কথা বলে,তাদের জন্য আমার কি বক্তব্য হয়?
আসলে যাদের মন্তব্য করার তারা মন্তব্য করবেই,আমার কাজ হলো- আমার ধারনা ও আমার ব্যাক্তিত্ব ঠিক রেখে চলা।আমি সেই কাজটাই করি আমার জীবনে।এবং বলি- সময় উত্তর দিয়ে দেয়।
হ্যাঁ সব ক্ষেত্রে হয়তো সময় উত্তর দেয়না,কিংবা সিনেমার গল্পের মত সবকিছু একটা পর্যায়ে এসে কেউ জানিয়ে দিবেনা পুরো বিশ্বকে যে,আপনি বাস্তবে কেমন কিংবা আপনার ত্যাগ ও অবদান কি।তাই ধারনা সঠিক করার কিছু কাজ অন্তত করা উচিত।
হ্যাঁ আমার ক্ষেত্রে আমি এটাও করি আর বলি- আমার জীবনের বড় বিচারক হলো- আমার বিবেক,আমিনামার বিবেকের কাছে ঠিক থাকলেই পুরো পৃথিবী ঠিক আমার।এতে সবাই বিপক্ষে গেলেও কিছু না।কারন,দিনের শেষে সবার কাছে খারাপ হয়ে বেঁচে থাকা গেলেও নিজের কাছে খারাপ হয়ে বেঁচে থাকা যায়না।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *