আপনি যদি বুঝে গিয়ে থাকেন যে আপনি আসলেই সব সময়ে অন্যকে খুশি রেখে চলতে চান; এবং এর ফলে আপনার ব্যক্তিগত ও মানসিক পীড়ার মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে, এটা বন্ধ করার উপায়ও কিন্তু আছে। হয়তো প্রথমটায় নিজের প্রতি আপনার নেতিবাচক ভাবনা আসবে; কখনও বা ব্যাপারটা খুবই কঠিন মনে হবে। কিন্তু একটা সময়ের পরে আপনি অনেকটাই ফুরফুরে ও ভাল বোধ করবেন।
আগেও বলেছি, অন্যকে খুশি রেখে চলা বন্ধ করার মানে কিন্তু অন্যকে সাহায্য করা বন্ধ করা নয়। এর মানে হচ্ছে ব্যাপারগুলোর মাঝে একটি ‘ব্যালেন্স’ নিয়ে আসা। আর কেউ অন্যায় ভাবে আপনার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে পারবে না, অথবা আপনার নিজের কাজের সময় নষ্ট করে অন্যের কাজ করতে হবে না।
আপনার নিজের ইচ্ছায় চলার ক্ষমতা ও অধিকার আছে – এই ব্যাপারটি খুব ভালভাবে উপলব্ধি করুন
আপনার নিজের কাজ ও সময়ের ব্যাপারে আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। অনেকেই মানুষকে না করতে পারেন না, কারন এই ব্যাপারটিতে তাঁদের বদ্ধমূল বিশ্বাস নেই। এই ব্যাপারে একটা কন্টেন্ট আছে আমার। সেটি পড়ে নিতে পারেন সার্চ করে।
আপনি যদি বোঝেন যে কাউকে এই মূহুর্তে সাহায্য করতে গেলে আপনার নিজের কাজ ও সময় নষ্ট হবে তাহলে আপনাকে এটা উপলব্ধি করতে হবে যে এখানে অন্যের কাজটি না করার পূর্ণ অধিকার আপনার আছে।
মানুষ হিসেবে আপনার নিজের সময় আপনি কি কাজে লাগাবেন, তা নির্ধারণ আপনি করবেন – সেই সময়ের ওপর আর কারও অধিকার নেই।
আপনি যখন এই উপলব্ধিটি ভালমত নিজের মনে গেঁথে নিতে পারবেন, আপনি দেখবেন আপনার পক্ষে ‘না’ বলাটাও অনেক সহজ হয়ে গেছে। এবং একটু একটু করে এই ‘না’ বলাটা অনুশীলন করা শুরু করুন। আপনার হাতে সময় না থাকলেও যদি কেউ কোনও কাজ করে দিতে বলে, বিনয়ের সাথে তাকে বলুন আপনি এখন একটি জরুরী কাজ করছেন। হাতের কাজটি শেষ হয়ে গেলে আপনি তার সাথে যোগাযোগ করবেন।