সম্প্রতি লিংকডইনে একটা কমিউনিটির এক পোস্টে চমৎকার একটি থট প্রভোকিং

সম্প্রতি লিংকডইনে একটা কমিউনিটির এক পোস্টে চমৎকার একটি থট প্রভোকিং লেখা চোখে পড়ল, যা আপনাদের সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই।
সে লিখেছে, “আমার এক সহকর্মী এমন একটি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন যা প্রযুক্তির জগতে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। তিনি একসঙ্গে দু’টি ফোন ব্যবহার করে একই সময়ে একই স্থান থেকে একই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য উবার বুকিং করেছিলো।
তার উদ্দেশ্য ছিল পিক আওয়ারে একটি রাইড পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানো। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো:
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভাড়া দেখাল ২৯০.৭৯ রুপি।
আর আইফোনে ভাড়া দেখাল ৩৪২.৪৭ রুপি।”
ভাবছেন এটা একটা ত্রুটি?
নাহ, এটা কোনো ত্রুটি নয়। বরং এটি প্রযুক্তি ও ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডিজাইন করা একটি কৌশল।
এই পার্থক্যের কারণগুলো কী হতে পারে?
১) ব্যবহারকারীর আচরণ: আইফোন ব্যবহারকারীদের প্রায়ই ‘প্রিমিয়াম কাস্টমার’ হিসেবে দেখা হয়। ডেটা অনুযায়ী, তারা তুলনামূলক বেশি দাম দিতে রাজি থাকে।
২) প্ল্যাটফর্ম ফি: অ্যাপল ইন-অ্যাপ পারচেজের জন্য ৩০% পর্যন্ত কমিশন নেয়। তাই এই অতিরিক্ত খরচ প্রায়ই মূল্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলে।
৩) ডায়নামিক পার্সোনালাইজেশন: এখনকার অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং ডিভাইসের উপর ভিত্তি করে দামের ভিন্নতা তৈরি করে।
এখন প্রশ্ন হলো, এই প্রাইসিং কৌশল ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করছে, নাকি তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করছে?
একটি ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হয়তো স্মার্ট কৌশল, কারণ তারা ডেটা ব্যবহার করে সর্বোচ্চ মূল্য আদায়ের চেষ্টা করছে।
কিন্তু ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিতে এটি জটিল এবং কখনও কখনও ঠকানো মনে হতে পারে।
আপনারা কী মনে করেন?
ব্যবসাগুলো কি এই ধরনের প্রাইসিং কৌশলগুলো নিয়ে আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত?
এটি কি ডেটা-ভিত্তিক বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল, নাকি ব্যবহার কেন্দ্রিক ডিজাইনের মূলনীতি লঙ্ঘন করছে?

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *