সরাসরি না বলেও বলা যায়- “না” -পর্ব ০৩

 
সৃজনশীল সমাধানের উপায় নিয়ে চিন্তা করুন
মাঝে মাঝে অন্যের কাছে ভাল হওয়ার জন্য আমরা অগত্যা হ্যাঁ বলে ফেলি। আপনি যদি না বলেন, তার মানে তো এই নয় যে আপনি ভাল মানুষ ননঃ বরং এর মানে হল আপনার নিজস্ব কিছু অগ্রাধিকার ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যখন কেউ আপনার কাছে কোন একটি কাজের আবদার নিয়ে আসে এবং আপনি তাকে সাহায্য করার ইচ্ছা পোষণ করেন কিন্তু দেখতে পান যে এতে আপনার কর্মসূচি ব্যাহত হবে, তখন তাকে আংশিক হ্যাঁ বলা বা অন্য কোনভাবে সমাধান দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করে দেখুন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুত্ব বুঝেই মতামত দিন একান্তই না পারল্র ক্ষতি নেই,কিন্তু ভুল কিছু বলা আরো খারাপ কাজ।
কয়েক সপ্তাহ আগে, অল্প সময়ের মধ্যে আমাকে হঠাত বলা হয়েছিলো ডাটা “স্ট্রাকচার এন্ড এলগরিদম ” টপিকের উপরে একটা ব্রিফ করতে, একটি ব্যাচের উদ্দেশে।
এটি আমার খুব পছন্দের একটা সাবজেক্ট, তাই কাজটি করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু এর মাশুল কী হতে পারে তাও আমার জানা ছিল। আমার নিজের উপরে এই বিশ্বাস আছে যে আমি এটি পড়ালে, পরের ক্লাসে ছেলে মেয়েরা আবার আমাকেই চাইবে। কিন্তু আমার নিজের ক্লাস বাদ দিয়ে এভাবে অন্যদের ক্লাস নিতে গেলে আমার স্বাভাবিক কাজ ও সময় দুইটাই ব্যাহত হবে তাই আমি তাদের সাথে কথা বলার পরে কি করবো সেটার আশ্বাস দিলাম।
আমি দেখলাম যে আমার সময়সূচি থেকে আমি এই কাজটির জন্য আলাদা কোন সময় বের করতে পারব না বিধায় আমি জানালাম,শুধুমাত্র ঐ একটি নিদৃষ্ট দিনের জন্যই আমি ক্লাসটি নিব কিন্তু প্রতিনিয়ত নেয়া সম্ভব হবেনা। এর পরিবর্তে অন্য এক পরিচিতকে কাজটি করার জন্য বললাম এবং একজন সম্ভাব্য লেকচারার হিসেবে তার নামটি সুপারিশ করার অনুমতি চেয়ে নিলাম। এরপর আমি মুল কর্তা ব্যক্তিদেরকে আলাপচারিতার মাধ্যমে এই বিকল্প উপায়ের কথা বললাম এবং তাকে আশ্বাস দিলাম যে আমি এর চেয়ে বরং পরের সেমিষ্টার থেকে এই সাবজেক্ট পড়াবো।
না বলার মানে যে কখনও না তা কিন্তু না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *