সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? বিস্তারিত পর্ব – ০১

যে মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েব সাইটের সাহায্য নিয়ে নিজের ওয়েবসাইট, পন্য অথবা সার্ভিস
সমূহের প্রচার প্রচারনা করা হয় তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।
অনলাইনে নিজের ওয়েবসাইট, পণ্য, সেবা বা কোন বিষয়ের প্রচার প্রচারনার জন্য রয়েছে অসংখ্য সোস্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট।
এসব সোস্যাল মিডিয়া সাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রধান উদেশ্য হল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন টুইটার,ফেসবুক, গুগল প্লাস, পিন্টারেস্ট,লিংকডইন এবং ইত্যাদি টার্গেটেড সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের নিজেদের প্রচার বৃদ্ধি করে মার্কেটিং এর লক্ষ্যকে পুরন করা থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ইতিহাস:
আমাদের আধুনিক জীবনে সামাজিক যোগাযোগের এ এক নতুন মাধ্যম।গ্রামের চায়ের দোকানের মানুষ খবর বা তথ্যের জন্য এখন আর পত্রিকার পাতা ঘাঁটাঘাঁটি করে না। তার বদলে এসেছে স্মার্টফোন ও আইফোন নির্ভরতা।
এর মাধ্যমে এখন মানুষের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা খুব ই সহজ হয়ে উঠেছে। আমাদের চারপাশে, দেশে-বিদেশে কী ঘটছে, সেগুলো ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সকল মানুষ।
আমাদের টাইমলাইন, নিউজফিড ভরে যায় প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় সংবাদ, ছবি ও ঘটনায়। এ সুযোগটি তৈরি করছে ইন্টারনেট।
সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এ হার আরও বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশ।
বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের রয়েছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। ইন্টারনেট মাধ্যমের সুযোগে সামাজিক যোগাযোগের মাত্রা অতীতের তুলনায় অনেকগুণ বেড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো মানুষের যোগাযোগের সর্বাধুনিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক দূরত্বকে পুরোপুরি দূর করে দিচ্ছে।
তাছাড়া সমাজের বিভিন্ন ধরনের সাহায্য করে থাকে ।সমাজের এখন যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও আইফোন ।
এ প্রযুক্তির মধ্যে দিয়ে মানুষ যে কোনো ব্যক্তি তথ্য, মতামত,ছবি, ভিডিও ইত্যাদি আদান-প্রদান করতে পারে।
এগুলো হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রাণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করে। সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমের থাকে অনেক উৎস ও অনেক প্রাপক।
প্রথাগত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের থাকে
একটি উৎস ও অনেক প্রাপক। সামাজের যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে রয়েছে- Facebook, Messanger, Google, Instagram , Linkedln, Pinterest, Tumbler, Snapchat, Twitter, Viber, Wechat,
WhatsApp, Youtube,BIP ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মিডিয়া এবং অগ্রপথিক হচ্ছে Facebook. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক জাকারবার্গ 2004 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসবুক নামের নেটওয়ার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালে এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমিত ছিল। পরে এ ওয়েবসাইটটি অন্যান্য অঞ্চল ও বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে সমগ্র বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আগস্ট ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে ফেসবুক
ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় ২০৪ কোটি ৭০ লাখ। গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকায় ৮৪ শতাংশ
বয়ঃপ্রাপ্ত লোকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
১৪-১৮ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্য ৬০ শতাংশের বেশি অন্তত একটি সামাজিক যোগাযোগ প্রোফাইল
রয়েছে।
তারা সামাজিক মিডিয়া সাইটে দিনে দু’ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আমাদের দেশের খুব কমসংখ্যক মানুষই ফেসবুক ব্যবহার করেন।
তারপরও ছাত্র-শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিশু-কিশোর, গৃহিণী, পেশাজীবী- কে নেই ফেসবুকে?
এখন দিন যতো পার হচ্ছে মানুষ ততোবেশি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের দিকে ঝুকছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?
এখন সারা বিশ্বের সংস্কৃতিতে সামাজিক মিডিয়া মানব জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। এটি ডিজিটাল
মার্কেটিং এর একটি অবিচ্ছেদ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত। জনপ্রিয় সামাজিক মিডিয়া
চ্যানেলগুলোর মধ্য খুবিই গুরুত্বর্পূণ সাইট ফেসবুক, টুইটার, গুগল +, Pinterest, ইউটিউব, টাম্বলার,
এবং লিঙ্কডইন।
এই মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সামাজিকতা বিপ্লব করেছে। এটি যোগাযোগ এবং শপিং মধ্যে প্রবক্ত হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না ।
এটি পৃথিবীর সকল মানুষকে সংযোগ করে ও তথ্য বিনিময়ে সহায়তা করে থাকে।
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং :
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি মার্কেটিং পদ্ধতি, যেখানে অনলাইনে নিজস্ব ওয়েব সাইট,
পন্য, সার্ভিস ইত্যাদি ফলপ্রসুভাবে প্রমোট করা যায়। অনলাইনে নিজের ওয়েব সাইট বা পন্যের তথ্য
প্রচারের অনেক ধরনের মাধ্যম রয়েছে।
তার মধ্যে খুবিই র্কাযকর পদ্ধতিটি হলো সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।এটি খুবই- কার্যকর একটি পদ্ধতি যেখানে খুব সহজেই দ্রুততার সাথে নিজের সাইট/পন্য
/সার্ভিসসমূহের প্রচারণা চালানো যায়।
“কোন ওয়েব সাইট বা পণ্য বা সার্ভিস সমূহ মানুষকে জানাতে যে পদ্ধতি বা সাইটের মাধ্যমে প্রচার ও প্রচারনা চালানো যায় তাকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন ফেইসবুক, টুইটার, লিঙ্কডিন, ইউটিউব ইত্যাদি ব্যবহার
করে পন্য বা সেবার প্রচার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ টিভি, রেডিও নিউজ পেপার এবং অন্যান্য বিনোদন বা যোগাযোগের
মাধ্যমের থেকে অধিক সময় ব্যায় করছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
এছাড়াও কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের পন্য বা সেবার প্রচার প্রচারনার জন্য প্রথম এবং প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
কারন অনলাইন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট সহজলভ্য এবং বিভিন্ন
সময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন: ফেসবুক,টুইটার ইত্যাদি ফ্রি করে দিচ্ছে ফলে ব্যবহারকারী অধিক সময় ব্যায় করছে।
সময়ের প্রেক্ষাপটে কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ন অনলাইন ভিওিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে আর ঐ
সমস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। অন্যান্য মার্কেটিং পদ্ধতির চেয়ে
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অধিক কার্যকরী তাই মার্কেটারদের কাছে অধিক জনপ্রিয়।
পরবর্তী পর্বে আলোচনা করবো কেন শিখবেন এটি।
ধারাবাহিক পর্ব গুলিতে ধারনা দিতে চেষ্টা করবো আমার মত করে অবশ্যই আমায় সাহায্য করছে গুগল আর আমার অভিজ্ঞতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *