স্টার্টআপ, শব্দটি এখন আমাদের জীবনের সাতেহ জড়িয়ে গেছে বেশ জ্বোরেশোরেই।এই টার্মটি বুঝতেও আমাদের বেশ সময় খরচ করতে হচ্ছে।অনেকেই আবার না বুঝেই ভাইরাল টপিকের মত খাচ্ছেন কিন্তু পরে হজমে সমস্যা হয়ে উগ্রে দিতে যেয়ে গলায় কাঁটা আটকে যাচ্ছে।ফলে এই দারুন একটি টার্মেও বাঙালীর ব্যার্থতার পাল্লাই এখনো ভারী।আমি এইজন্য ভাবলাম এই সিরিজ নিয়ে লিখবো-
১. নমনীয়তা
“শত্রুর সাথে যোগাযোগ না করে কোন পরিকল্পনা টিকতে পারে না” – জার্মান ফিলড মার্শাল হেলমুথ ভন মল্টকের এই উক্তি বাস্তব সত্য। স্টার্ট আপের নেতাদের নমনীয় হতে হবে এবং তাদের বিজনেস এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের পরিকল্পনা পরিমার্জন [বা বর্জন] করার মানসিকতাও থাকতে হবে। এবং এটা করার জন্য তাদেরকে রাগ হলে চলবে না, তাদেরকে চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ও অপমানিত বোধ করা চলবে না। নেতার এহেন আবেগ প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
২. বিনয়
যখন প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পড়ে তার দায়িত্ব নেতার উপরেও বর্তায়। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে কর্মচারীদেরও অবদান থাকে। কর্মচারীদের আপনি আপনার ইগোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন না। যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠান চালান, তাহলে আপনার কর্মচারীরা আপনার গ্রাহক হিসেবেই বিবেচিত হবে এবং আপনার উচিত হবে নিজের চাহিদার পরিবর্তে তাদের চাহিদা পূরণে সাহায্য করা।
৩. ফোকাস
নেতা হিসেবে আপনার বিনিয়োগ, সময় ও শক্তি – সবকিছুর সামাল দিতে গিয়ে আপনি হিমশিম খাবেন এটাই স্বাভাবিক। আপনি হয়ত বিজনেস সংক্রান্ত সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতাতে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাইবেন। আর সবকিছুই জন্যই ফোকাস থাকা অত্যাবশ্যক। যেসব কাজ আপনার বিজনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোতে আপনার বেশি সময় ও শক্তি ব্যয় করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নির্ধারণ করে সেগুলোতেই মনোনিবেশ করাটাই শ্রেয়।
লেখাগুলি আমার মনগড়া নয়, আমি পড়ি অনেক,এরপরে নিজের জীবনের সাথে মেলাতে চেষ্টা করি এবং সবশেষে লিখি আপনাদের জন্য।