স্টোরি টেলিং আসলে কি? এর গুরুত্ব কি?

একটা সফল স্টার্টআপ বা উদ্যোগের জন্য স্টোরি টেলিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ স্টোরি দিয়ে মানুষের মনে যতো সহজে দাগ কাটা যায়,তা বই পুস্তকের গুরু গম্ভীর ভাষায় পারা যায় না। আমি আগেও আমার পোষ্টে এই গভীরতা নিয়ে পোষ্ট করেছি।
নরমালি, স্টার্টআপ বা উদ্যোগের ক্ষেত্রে আপনার সকল প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে দুইটা পার্ট থাকা উচিত।
১. স্টোরি টেলিং
এবং
২. ডাটাবেজ সমৃদ্ধ তথ্য
✅ প্রশ্ন হলো স্টোরি টেলিং এর জন্য কত সময় নিব?
যদিও স্টোরি টেলিং এর গুরুত্ব অনেক কিন্তু এজন্য অনেক সময় যে নিতে হবে এমন না, এজন্য সময় হতে হবে ২-৩ মিনিট এর মধ্যে।
✅ কিভাবে প্রেজেন্ট করবো?
যেকোন কাজেই ফোকাস একটা বড় ফ্যাক্ট, আমি আগেও আলোচনা করেছি এবং আমার চ্যানেলে ভিডিওতে জানিয়েছি কিভাবে ফোকাস করা যায়, তাই আপনার কাজ হলো- স্টোরিতে কোন বিষয়ে ফোকাস করা হবে সেটা আগে থেকে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
✅ তথ্য গুলিকে সাজাবো কিভাবে?
তথ্য সাজানোর ব্যাপারে আসলে আপনাকে কৌশলি হতে হবে, নিজের ব্যাপারে তথ্য দেয়ার চেয়ে আপনাকে কাস্টমারের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে গল্প সাজাতে হবে।এতে কাষ্টমারদের দৃষ্টিতে আসা যায় দ্রুত এবং ভালো রেসপন্স পাওয়া যায় সবার থেকেই।
✅ আমার স্টোরি কেমন হবে?
স্টোরিতে আপনি যদি গরুকে আকাশে ওড়ান,তাহলেও তো সেটি স্টোরি হবে,কিন্তু সমস্যা হলো সেটিতে তো বাক্য গঠন ঠিক হলেও যোগ্যতার অভাব থেকে যাবেই।এজন্য স্টোরি হতে হবে – লজিক্যাল এবং গুছানো।
✅ স্টোরিতে ইমোশন থাকলে কেমন হবে?
যদিও ইমোশনের সাথে আমাদের বোঝাপড়াটা অনেক ভালো হয় সব সময়,আর পাবলিকে খাই ও বেশি কিন্তু, স্টোরি বলার সময় নিজে বেশি আবেগ প্রবণ হওয়া যাবেনা। কেননা স্টোরি এমন হতে হবে যেনো শ্রোতার আবেগকে ছুঁয়ে যায় সর্বদা।
✅ স্টোরির কেমন ছবি দিবো রিচের জন্য?
অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ, যে বিষয় নিয়ে গল্প তৈরি হবে তার উপরে নিজে বানিয়ে নিতে পারেন কোন ইমেজ অথবা ভিডিও প্রোমো। তবে গুগলেও ছবি পাবেন। সেখানে যেগুলি পাওয়া যায় (ছবি এবং ভিডিও চিত্র),সেগুলি ভালো করে স্টাডি করে সিলেকশন করে নেয়া যাবে।
আজকের পর্বে এই পর্যন্ত,আবার লিখবো সময় করে ইনশাআল্লাহ।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *