স্বপ্ন যখন উদ্যোক্তা হবো পর্ব-১৬

টপিক- কীভাবে করবেন প্রফেশনাল লগো ডিজাইন-০২

সকালের পোষ্টের পর থেকে কথায় আসি।

১. লোগো ডিজাইনের পূর্বে পরিকল্পনা
লোগো ডিজাইন শুরু করার পূর্বে কিছু পরিকল্পণা করে নিলে একটি প্রফেশনাল লোগো তৈরির প্রাথমিক ধাপটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে। আসুন, জানি পরিকল্পণায় কী কী থাকা চাই-

উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করুন

লোগো ডিজাইনের পূর্বে প্রথমেই আপনি নিজেকে কিছু প্রশ্ন করুন এবং তার উত্তর জানতে অবশ্যই ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলুন ও নিম্নোক্ত তথ্য গুলি নিয়ে নিন।

লোগো ডিজাইনের পরিষ্কার লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন।

কাদের জন্য ডিজাইন করছেন সেটা নিশ্চিত করুন।

কোম্পানির আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বি থাকলে তাদের কথা মাথায় রাখুন।

কোম্পানির সিগনেচার প্রোডাক্ট কি।

কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলি কি কি।এবং সার্ভিস ম্যানুয়াল কেমন।

২. ব্রান্ড আইডেন্টি নির্দিষ্ট করুন

কেন ব্যবসা বা কোম্পানি শুরু করা হয়েছে?
অন্যদের থেকে কোন দিক দিয়ে কোম্পানি সেরা?
কি কারণে সেরা?
লোগো সবসময়ে একটি কোম্পানি বা ব্যবসায়ের ব্রান্ড আইডেন্টি।

লোগো সবসময় কাস্টমারের সাথে মনস্তাত্ত্বিক যোগাযোগ করে।
তাই আপনার মাথায় রাখতে হবে কি জন্য কোম্পানিটি সেরা এবং কেন এটি অন্যদের থেকে আলাদা?

এই ধাপেই আরো দুইটা কাজ আছে গুরুত্বপূর্ন তা হলো-

লগোর সম্পর্কে ধারনা নেয়া।
ধরুন আপনার হোম মেইড ফুড নিয়ে কাজ,তাহলে ঐ টাইপের লগো নিয়ে ধারন নিন এবং ক্লায়েন্টের ও উচিত সেটা মাথায় রেখে কাজ করা।
তাতে নতুত্ব আসে।

যেটা মাথায় আসবে সেটার স্কেচ করুন।
ডিজাইনার দের কাছে সর্বদা প্যাড ও কলম রাখা উচিত।
আর মাথায় কোন কনসেপ্ট এলেই সেটা এঁকে ফেলা উচিত।
মনে রাখবেন না হওয়া জিনিস ও ছিড়ে ফেলা যাবে না।
কারন ঐ স্কেচ থেকেই ভালো কিছু হতে পারে।

লোগো ডিজাইনের ধাপ
আপনার যদি একটি সুন্দর পরিকল্পণা হয়ে যায়, তবে এবার মনোযোগ দিন লোগো ডিজাইনের ধাপগুলোর প্রতি যেগুলো নিচে আলোচনা করা হল।

৭ প্রকারের লগো আছে যা আমার প্রথম দিকের পোষ্টে আছে।
তাই আপনি আগেই সিলেক্ট করুন আপনি কি টাইপের লগো করবেন।

এবারে নজর দিন-

লগোর জন্য সবার আগে কালার সিলেক্ট করুন: কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কি কালার ব্যবহার করবেন তা জানা জরুরি।
লগো তে মনোক্রামাটিক কালার দেবার চিন্তা করবেন।

ফন্ট নির্বাচন: ফন্ট সিলেকশন খুব গুরুত্বপূর্ন।
অনেকেই একটা লগো সামনে দিয়ে বলেন যে এটার মত হবে।
কিন্তু ভাবুন খাবার ব্যাবসায় দেয়া ফন্ট কি ফ্যাশানে যাবে?
নাকি শিক্ষা কার্যক্রমের ফন্ট গাছের ব্যাবসায় যাবে?
তাই ডিজাইনারের জানতে হবে এটা।
ক্লায়েন্ট যতই বলুক তাকে বোঝাতে হবে।

সিম্পল ও স্বচ্ছ: লগো সর্বদা সিম্পল ও স্বচ্ছ করার চিন্তা করুন।
অনেকেই একটা লগোর মধ্যে আইকন,ফন্ট,সিম্বল সব দিতে চাই।তাদের কে বোঝান এটা ডিজাইন ম্যাটেরিয়াল না।
লগো হবে সিম্পল ও স্বচ্ছ।

অনেক কালার পরিহার করুন: তিনটার বেশি কালার না ব্যাবহার করাই উত্তম।
কেননা ভাবুন আপনার লগোতে সবুজ,হলুদ লাল আছে।
তাহলে এই লগো টি ঐ কালার গুলির উপরদ ফুটবে না।
কারন?

সবুজের উপরে সবুজ দিয়ে লেখেন দেখেন তো।

তাই কালার যত কম হবে তত ভালো ও সুবিধা আপনার।
তবে ক্ষেত্র বিশেষ ভিন্ন হতে হবে।

অন্যের মতামত নিন: লগো তৈরির পরে অন্যের মতামত নেন।
শুধু আপনার একার পছন্দ ই চাপাবেন না।
মাথায় রাখবেন লগো দেখবে কিন্ত্য অন্য মানুষেরাই তাই তাদের পছন্দের কথা ও ভাবুন।

প্রেজেন্টেশন : এটা মারাত্বক গুরুত্বপূর্ন।
প্রেজেন্টেশন নিয়ে আমার করা আগের পোষ্ট দেখবেন।

আপাতত এই থাকুক।
লিখলে আসলে অননেক বড় হবে।
কেননা একটা লগো বানাতে অনেক পরিশ্রম করেন ডিজাইনার।
তাই ৪/৫ টা স্যাম্পল চাইবেন না।

প্রতিটি স্যাম্পল ই তার ইউনিক আইডিয়া।
আর এইই ইউনিক আইডিয়া কেন সে আপনাকে দিয়ে দিবে?

শুভ কামনা সবার জন্য।

সৌভিক
কাজ করছি এফ-কমার্স ও ই-কমার্স নিয়ে।
ফাউন্ডার এন্ড সি ই ও- আই সি টি কেয়ার/ICT CARE

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *