স্বপ্ন যখন উদ্যোক্তা হবো পর্ব-২০

টপিক- Hosting A-Z

Sunjida Hossain Lima আপুর কেকের প্রশংসা করতে করতে সকলেই বেশ সময় কাটালেন।
হঠাত Rakifa Akter Ratna ম্যাডাম বললেন আমি তো অথেনটিক মশলা এনেছি Farhana Afroz Tonni রান্না করবে বলে।
তাহলে আমাদের কি আগে আলোচনা টা শেষ করে পিকনিকে মজে যাওয়া উচিত না?

তাবাসসুম তাবু আরে হ্যাঁ আমি ও সেটাই বলি।
আরে সৌভিক তুই শুরু করিস না কেন?
বলেই হাঁক ছাড়লো Dilara Joly

Yemeni Ibnul ভাই বললেন আরে জ্যাম ভাই কই পাইছেন এই সব বান্ধবী?
আপনারে হুমকি দেয়।

সৌভিক: আরে ভাই এই গুলান হইলো ভালোবাসা আফনে বুঝেন তো

Asif Abdullah এর নিয়ে আসা শমসেরী চা বানিয়ে দিয়েছে Priyanka Basak আর সেটা সারেভ করছে Puspo Shaha আর Rupa Dorothy

আমি চা নিতে নিতে সবাই কে জানালাম যে রুপা ম্যাডাম কে ইনবক্স করলে সাবধান, উনি কিন্তু সাইবার ক্রাইমে কম্পলেইন দিচ্ছে।

Hasna Yeasmin Zumur আপু শুরু করলেন, ভাইয়া আগের দিন বলেছিলেন চার প্রকার হোষ্টিং আছে।

আমি শুরুতেই শেয়ার্ড হোষ্টিং জানতে চাই।

সৌভিক: সংগা বললে দাঁড়ায়,

শেয়ার হোস্টিং এর মানে হলো, ওয়েব হোস্টিং কে শেয়ার (share) করা। মানে, একটি web server অনেক গুলি ওয়েবসাইট শেয়ার করবেন।

ধরুন Harley Queen আর Munny Mohosin। এর জন্য একটি ফ্ল্যাটে একা থাকা ব্যায়বহুল মনে হচ্ছে তাই ওনারা সীধান্ত নিলেন দুইজনে মিলে একটি ফ্ল্যাটে থাকবেন।

তাহলে Umme Habiba এর ঘর হলো Web Server আর যারা ঐখানে শেয়ার করে থাকছেন খরচ কমাতে তারা হলেন ওয়েব সাইট।

এতে, আপনার লাভ এটাই যে, আপনাদের ঘর ভাড়া সব বন্ধুরা মিলেই দিতে পারবেন। এতে আপনার অনেক কম টাকা দিতে হবে। Shared hosting এর ক্ষেত্রেও, আমরা একটি web server অনেক গুলি ওয়েবসাইট বা ব্লগের সাথে শেয়ার করি, এতে আমাদের এর জন্য অনেক অনেক কম টাকার প্রয়োজন হয়। শেয়ার্ড হোস্টিং আপনি অনেক কম টাকায় কিনেনিতে পারবেন। এবং, একটি নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য shared hosting লোকেরা বেবহার করেন।

Shared hosting এর কিছু লাভ-

অনেক সস্তায় এবং কম দামেই কিনতে পারবেন।
একটি নতুন ওয়েব সাইটের জন্য সেরা হোস্টিং।
শেয়ার্ড হোস্টিং এর দাম এর কথা বললে,
আপনি আপনার সাধ্যের ভেতরে ভালো শেয়ার্ড হোস্টিং কিনতে পারবেন।

Shanaz Hassan আপুর প্রশ্ন হলো Virtual Private Hosting নিয়ে।

সৌভিক: ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার shared hosting থেকে অনেক হাজার গুনেই ভালো।
তবে হ্যাঁ, VPS সার্ভার আমরা তখন নেই যখন আমাদের ওয়েবসাইটে ভিসিটর্স বা ট্রাফিক অনেক আসেন এবং যখন আমাদের ওয়েবসাইট অনেক popular হয়ে যায়।

প্রথম অবস্থায়, vps হোস্টিং নেয়ার প্রয়োজন আমি মনে করিনা।

তাহলে এই ভি পি এস (vps) হোস্টিং বললে আমরা কি বুঝি?

যেমন, একটি বিল্ডিং (building) এ অনেকগুলি রুম (room) বানানো থাকে ঠিক সেভাবেই এই প্রকারের হোস্টিং এ একটি ওয়েব সার্ভার অনেক গুলি ভাগে ভাগ করা হয়।

এবং, যেভাবে আপনি কিনে নেয়া রুমে কেবল আপনার অধিকার থাকে ঠিক সেভাবেই vps server এ আপনি কিনে নেয়া ভাগে কেবল আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের অধিকার থাকবে।

আপনি, যেই ভাগটা কিনবেন সেটা কেবল আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এবং অন্যকেও সেই ভাগ ব্যবহার করতে পারবেনা।

এইটা আপনার private web server এর মতোই। এবং, এটাই কারণ যে vps server বা vps hosting অনেক দ্রুত (fast) এবং এ বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর থাকা ওয়েবসাইটের জন্য লাভদায়ক।

ভি পি এস হোস্টিং এর কিছু লাভ

Security র হিসাবে দেখতে গেলে vps server অনেক নিরাপদ (secure).

অনেক দ্রুত এবং এর কর্মক্ষমতা অনেক উচুস্থরের।

Share hosting থেকে অনেক গুন বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর এ হাতল (handle) করতে পারে।

এবারে Jannat Ara Tania আপুরর প্রশ্ন হলো, জীবনে খুব শুনেছি যে মানুষ ডেডিকেটেড।
তো এই হোষ্টিং টা কি?

সৌভিক: ডেডিকেটেড হোস্টিং অন্য হোস্টিং থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
কারণ, শেয়ার্ড হোস্টিং এ আপনাকে একটি ওয়েব সার্ভার অসংখ্য ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করতে হয় এবং vps hosting এ আপনাকে ওয়েব সার্ভার এর একটি ভাগ দিয়ে দেয়া হয় যেটা কেবল আপনার।

কিন্তু, ডেডিকেটেড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে একটি পুরো ওয়েব সার্ভার দিয়ে দেয়া হয় যেটা কেবল আপনার।
এবং, সেই ওয়েব সার্ভারে কেবল আপনার ওয়েবসাইট এবং তার ফাইল হোস্ট করা থাকবে।
ঠিক তেমনি, যখন আপনি একটি room নয় পুরো বিল্ডিং (building) টাই কিনে নিলেন এবং তার পর তাতে কেবল আপনার থাকার অধিকার থাকলো।

ডেডিকেটেড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে, কেবল একটি ওয়েবসাইট একটি সার্ভারে হোস্ট থাকার কারণে সেই ওয়েবসাইট অনেক বেশি ফাস্ট এবং দ্রুত কাজ করবে এবং নিরাপত্তার (security) দিকদিয়ে দেখলে এ অনেক নিরাপদ (secure).

কিন্তু, মনে রাখবেন, এই হোস্টিং তখন প্রয়োজন হবে যখন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট অনেক বেশি ট্রাফিক আসবে। এবং, ডেডিকেটেড সার্ভারের দাম অনেক অনেক বেশি।

তাই এটা কিন্তু বড় কোম্পানির জন্য।

Jakia Tanni আচ্ছা আচ্ছা তাহলে আমাদের তো এখন এটা না কিনলেই চলে।

Tasnem Binte Mahbub আরে হ্যাঁ আমরা এখন কিনবো না।
লাগবেও না।

আরে ওয়েট
এর সুবিধা গুলা তো আগে জেনে নেন।

ডেডিকেটেড হোস্টিং এর কিছু লাভ

অনেক বেশি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স handle করতে পারে।

এই রকমের হোস্টিং অনেক নিরাপদ (secure) .

কর্মক্ষমতা অন্যদের থেকে অনেক গুনে বেশি।

ওয়েবসাইট বা ব্লগ অনেক দ্রুত কাজ করবে

এবার Tanzin Tanjena এর প্রশ্ন হলো, সারা জীবন জানলাম ক্লাউড মানে মেঘ আর আপনি মিয়া আইছেন ওহন ক্লাউড ফ্লাউড কি মি কইতে?
কইয়া ফালান এইডা কি জিনিস?

সৌভিক: ক্লাউড হোস্টিং আজ ব্লগার এবং ওয়েবসাইট মালিকদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রচলিত এবং ভরসার হোস্টিং সার্ভিস হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এর কর্মক্ষমতা এবং স্পিড অনেক উন্নত মানের এবং এই হোস্টিং অনেক নিরাপদ।

আসলে ক্লাউড হোস্টিং এ অনেক গুলি ওয়েব সার্ভার একসাথেই রাখা হয় এবং তাই আপনি আপনার প্রয়োজন হিসেবে সার্ভারের কিছু প্রয়োজনীয়তা যেমন cpu, RAM বা storage বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন।

এতে, যখনি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিসিটর বাড়বে আপনি অনেক সহজে সেই হিসেবে নিজের ওয়েব সার্ভারের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

এবং, সময়ে আপনি কর্মক্ষমতা কমিয়েও নিতে পারবেন। ক্লাউড হোস্টিং এ ওয়েবসাইট ডাউন হওয়ার সুযোগ অনেক কম এবং বেশি ট্রাফিক এ হ্যান্ডেল করতে পারে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আপনি ক্লাউড ওয়েব সার্ভারকে ভরসা করতে পারবেন।

Madhurjo Marshad এর বক্তব্য হলো, আচ্ছা এইটার এত যে গুন গাইলেন এইডার সুবিধা বইলা ফালান।

ক্লাউড হোস্টিং এর কিছু লাভ

সার্ভার ডাউন (server down) হওয়ার সুযোগ অনেক কম।

কর্মক্ষমতা অনেক উন্নত এবং বেশি। এবং, নিজের প্রয়োজনীয়তা হিসেবে বাড়ানো বা কমানো যাবে।

ওয়েবসাইটের বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর হ্যান্ডেল (handle) করতে পারে।

Farhana Rahman বলছে আচ্ছা দোস্ত শোন তাহলে আমার ওয়েব সাইটের জন্য কোন হোষ্টিং ভালো হেইডা কইয়া ফালাও।

সৌভিক: আসলে, ওয়েবসাইটের জন্য কোন হোস্টিং নিবেন বা কেমন হোস্টিং নিবেন সেটা আপনার ওয়েবসাইটের ওপরে নির্ভর করে।

আপনি যদি একটি ব্লগ বানানোর কথা ভাবছেন, তাহলে প্রথমে shared hosting কিনুন।

আপনি অনেক কমেই শেয়ার্ড হোস্টিং কিনতে পারবেন এবং প্রথম অবস্থায় আপনার ব্লগে তেমন কোনো ট্রাফিক বা ভিজিটর আসবেনা।

তারপর যখন আপনার ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটর আশা শুরু হবে তখন আপনি cloud hosting নিয়ে নিলে আপনার কাজ হয়ে যাবে।

ক্লাউড হোস্টিং সব দিকদিয়েই সক্ষম। বেশি traffic বা visitor এ সইতে পারে, এর কর্মক্ষমতা অনেক বেশি, নিজের হিসেবে এর ক্ষমতা বাড়ানো বা কমানো যাবে, আপনার ওয়েবসাইট অনেক দ্রুত লোড (load) হবে এবং নিরাপত্তার দিক দিয়েও এ ভরসাযোগ্য। তাই, ক্লাউড হোস্টিং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সব থেকে ভালো ওয়েব হোস্টিং প্রমাণিত হতে পারে।

হ্যাঁ, এখন যদি আপনি দেখছেন আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইট সীমা ছাড়া ট্রাফিক আসছে এবং আপনার ব্লগ থেকে অনেক বেশি ইনকাম হচ্ছে, তাহলে আপনি Dedicated server নিতে পারেন।

সীমাছাড়া ট্রাফিক ডেডিকেটেড হোস্টিং অনেক সহজে সইতে পারে। এবং, ট্রাফিক এর সাথে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম ও হতে হবে যদি আপনি dedicated server নিতে চাচ্ছেন।

কারণ, যা আমি আগেই বলেছি dedicated hosting অনেক expensive. তাহলে হোস্টিং কেনার আগে এই কয়টা জিনিস অবশই মাথায় রাখবেন।

Jubaer Noman কানের কাছে মুখ নামিয়ে জানালো, ভাই অনেক হইছে এইবার থামেন নইলে আমি আর ইবনুল ভাই কিন্তু আপনার উপরে ধেয়ে আসা বানী ঠেকাইতে পারুম না।

আমি ও গলা ঝেড়ে বলে উঠলাম আজকে এই পর্যন্ত ই চলেন পিকনের আয়োজন করেন আর রান্নায় Lipika Talukder ও কম যান না।
ওনাকে ও নিয়ে নেন।

চাইলে একটু কাটা কাটির জন্য মেকাপ আর্টিষ্ট Afsana Mim আর Arifa Hossain কে নিয়েন।

Bristi Afsana Bristi আমারে টান দিয়া কই দোস্ত পালাও আইলো মেকাপ আর্টিষ্ট রা।

ও হ্যাঁ যাবার আগে বলি শুভ কামনা সবার জন্য।

সৌভিক
ফাউন্ডার এন্ড সি ই ও- আই সি টি কেয়ার /ICT CARE

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *