স্বার্থপর! এই শব্দের সাথে পরিচিত নই এমন মানূষের সংখ্যা আদৌও আছে কিনা সেই পরিসংখ্যান ঘাটতে গেলে মোটামুটি পাবনাতে একটা সিট রাখা লাগবে বলেই আমার ধারনা,তাই সেদিকে কথা না বলে বরং একটু মজার ছলে কিছু সিরিয়াস ব্যাপার জানার চেষ্টা করি।
আজকের কন্টেন্টের সকল চিন্তা শুধুমাত্র আমার নিজস্ব মতামতে তৈরি তাই বিপরীত চিন্তা ও বিপরীত মতামত থাকবেই,এজন্য আমি মোটেও বিচলিত নই।
সকাল বেলা আমান সাহেব ও সেজান সাহেব একত্রে এক্সারসাইজ করতে যান,এবং দুইজনেই বেশ খুশিমনে সেই কাজ করেন একত্রে।এইটা দেখে কিছু উৎসুক ব্যাক্তি জানতে চেষ্টা করলো কেন তারা একসাথে এক্সারসাইজ করতে যান।অনেক ঘাটাঘাটির পরে জানা গেলো- সেজান সাহেবের স্বাস্থ্য মোটামুটি আকার থেকে লাগাম ছাড়া আকার ধারন করে ফেলেছে এবং এইজন্য সেজান সাহেব আমান সাহেব কে কাজে লাগালেন।
আমান সাহেবের স্বাস্থ্য লাগাম ছাড়া না হলেও মোটামুটি ভালো,তবে এই সময়ে লাগাম দেয়া ভালো।তিনি মনে মনে অনুভব করলেও এইটা কল্পনা করেন নি যে তার ই স্যার তাকে এই ব্যাপারে আমন্ত্রন জানাচ্ছে। যাহোক আপাত দৃষ্টিতে সেজান সাহেব মারাত্বক স্বার্থপর কারন তিনি তার দরকারে আমান সাহেবকে ব্যাবহার করেছেন।
আমাদের সমাজে এমন অনেক সেজান সাহেব আছেন,যারা তাদের প্রয়োজনে আমান সাহেবদের ব্যাবহার করেন কিন্তু আমান সাহেবদের দরকারে আর নিজেরা থাকেন না।
এইজন্যই আমরা বলি সেজান সাহেবরা স্বার্থপর।কিন্তু আসলেই কি ঘটনা সঠিক?
আসলে আমরা সবাই কম বেশি স্বার্থপর কিন্তু এইটা আমরা মানতে চাইনা,কিন্তু তবুও এইটাই সত্য যে আমরা সকলেই স্বার্থপর। আসুন দেখে নিই এই স্বার্থপরতার ক্যাটাগরিটা-
You Win, I Win (তুমিও জিতেছো, আমিও জিতেছি)
You Win, I Lost (তুমি জিতেছো, আমি হেরেছি)
You Lose, I Win (তুমি হেরেছো,আমি জিতেছি)
You Lose, I Lost (তুমি হেরেছো,আমিও হেরেছি)
দেখুন আমরা একজন কে তখনই স্বার্থপর বলছি যখনই তার দ্বারা আমি কোন উপকার পাচ্ছিনা কিংবা তার সামর্থ্য থাকার পরেও সে কোন কাজ করছেনা। আর এইখানেই আমার প্রশ্ন- আমি আপনি যদি কোন কিছুর জন্য কারো থেকে কিছু আশাই করি তাহলে আমার আর আপনার কাজেও তো স্বার্থপরতা ছিলো।তাহলে তো আমি আর আপনিও স্বার্থপর।অথচ মানতে পারছিনা।
আসুন ভাবনা গুলিকে জটিল না করি,বরং সামর্থ্য থাকলে সেটা অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়াই, নইলে অন্যকে অনুপ্রাণিত করি। দিনের শেষে কিছু হাসিমাখা মুখের স্মৃতিই আমাদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ হয়ে।হুট করে কাউকে ভুল বুঝে সম্পর্কের সবটা শেষ না করে ফেলি। ভালো থাকুক সম্পর্ক গুলি,বেচে থাকুক বন্ধুন।
নিজের সমস্যা গুলিকে যেভাবে দেখি,অন্যের সমস্যা গুলিকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখলেই কমে যাবে নেগেটিভ শব্দের ব্যাবহার।
নিজেকে একটি বই ভাবলে সেটির মলাটটা একটু শক্ত করেই বেঁধে রাখুন- যেন আচমকা বাতাসেই উড়ে চলে না যায় কিছু বইরের পৃষ্টা,সকল পাঠক সমান গুরুত্ব দিয়ে বই পড়েনা,কিন্তু বইটি চাই তাকে খুব যত্নেই রাখা হোক,যেন জেনারালাইজ না করা হয়,একটু স্পেশাল করেও নিশ্চয়ই রাখা যায় খুব প্রিয় জিনিসকে।