স্মার্টফোন কেনার আগে যে বিষয়ওলি জানা জরুরি (বিস্তারিত পর্ব-০৪)

অনলাইনে ব্যাবসা করতে গেলে সবচেয়ে বেশি দরকার হলো মোবাইল এবং ল্যাপটপ এর।
যেহেতু ল্যাপটপ নিয়ে লিখছি তাই ভাবলাম স্মার্টফোন নিয়ে ও একটু লিখি।
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন কোনো বিলাসিতার পণ্য নয়। বরং এটি বর্তমানে আমাদের
জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় অংশে পরিণত হয়েছে।
তাই স্মার্টফোন কেনার আগে এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা থাকা উচিত যে আমরা কোন
কোন দিক গুলি খেয়াল রেখে কিনবো মোবাইল টি।

্যাম

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো র্যাম। এটি এমন একটি যন্ত্রাংশ যেটি স্মার্টফোনের যেকোনো
প্রসেস এবং অ্যাপস রান করাতে প্রসেসরকে সাহায্য করে। এটি অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে।

স্মার্টফোনে র্যাম যত বেশি হবে আপনার ফোনও তত ভালোভাবে চলাতে পারবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডেও আপনি অনেকগুলো

অ্যাপ একসাথে রান করাতে পারবেন।
তবে বেশি র্যামের স্মার্টফোনগুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনার কি পরিমাণ র্যাম লাগবে এটা আপনার
প্রয়োজন অনুযায়ী নিতে হবে। বর্তমানে সময়ে স্মার্টফোনে স্মুথ পারফরম্যান্স পেতে হলে আপনার ফোনে কমপক্ষে ৩ জিবি র্যাম থাকাটা আবশ্যক।

বর্তমানে লো-ইন্ড স্মার্টফোনগুলোতে ১ জিবি, মিডরেঞ্জর স্মার্টফোনগুলোতে ২ থেকে ৪ জিবি এবং ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে

৬ থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত র্যাম দেখতে পাওয়া যায়।

স্টোরেজ

স্মার্টফোনে রম বা স্টোরেজ স্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে। এখানে মূলত অপারেটিং সিস্টেম ও এর অ্যাপস থাকে। বাকি অংশে
আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো স্টোর করে রাখতে পারবেন।

তবে ইন্টারনাল স্টোরেজ ৮০% ইউজ হওয়ার পর এতে আর ফাইল না রাখায় ভালো। আপনার স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ কত

হবে সেটা আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে।
তবে আমি আপনাকে ৩২ জিবি স্টোরেজের ফোন নিতে রিকমেন্ড করবো। আর বর্তমানে প্রায় সব স্মার্টফোনেই মাইক্রোএসডি বা
মেমরি কার্ড স্লট ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। তাই আপনাকে স্টোরেজ নিয়ে না ভাবলেও চলবে।

ক্যামেরা

বর্তমানে স্মার্টফোনের ক্যামেরাগুলো আগের থাকে অনেক উন্নত হয়েছে। এখনকার স্মার্টফোনে অনেক শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার
করতে দেখা যায়। একসময় স্মার্টফোনের সামনে এবং পিছনে একটা ক্যামেরা দেখতে পাওয়া যেত। তবে সময়ের সাথে সাথে এই সংখ্যা বেড়েছে।

অনেকে মনে করেন স্মার্টফোনের ক্যামেরার রেজ্যুলেশন বা মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে স্মার্টফোনে তোলা ছবি ততো ভালো হবে।

কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। ক্যামেরা দিয়ে তুলা ছবি কতটা ভালো বা খারাপ হবে তা অনেকাংশে অ্যাপারচার, সেন্সর, লেন্স ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে কম মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়েও বেশি মেগাপিক্সেল ক্যামেরার তুলনায় সুন্দর ছবি পাওয়া সম্ভব। ক্যামেরার

ক্ষেত্রে অ্যাপারচার যত কম হবে ক্যামেরা তত বেশি আলো ক্যাপচার করতে পারবে। ভালো ছবি তুলার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

স্মার্টফোন দিয়ে বর্তমানে ফুল এইচডি বা ৪কে রেজুলেশনেও ভিডিও করা যায়। স্মার্টফোন কেনার সময় এদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।

এমন স্মার্টফোন কিনবেন যেটা দিয়ে কমপক্ষে এইচডি রেজুলেশনে ভিডিও ক্যাপচার করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *