অনলাইনে ব্যাবসা করতে গেলে সবচেয়ে বেশি দরকার হলো মোবাইল এবং ল্যাপটপ এর।
যেহেতু ল্যাপটপ নিয়ে লিখছি তাই ভাবলাম স্মার্টফোন নিয়ে ও একটু লিখি।
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন কোনো বিলাসিতার পণ্য নয়। বরং এটি বর্তমানে আমাদের জীবনের অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় অংশে পরিণত হয়েছে।
ব্যাটারি
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ব্যাটারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা আপনি যত দামী স্মার্টফোন কিনেন
না কেন এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কম হলে সবকিছুই বৃথা যাবে।
বর্তমানে বাজারে ৪ বা ৫ হাজার মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন দেখতে পাওয়া যায়। আপনার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি
কেমন দরকার তা নির্ভর করে আপনার ব্যবহার করার ধরনের উপর। আপনি যদি হেভি ইউজার হয়ে থাকেন
তাহলে ভালো ব্যাটারি ক্যাপাসিটির স্মার্টফোন অবশ্যই কিনবেন।
আমি আপনাকে কমপক্ষে ৩ হাজার মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন নিতে রিকমেন্ড করবো। হেভি ইউজের জন্য
আপনি ৪ হাজার মিলিএম্পিয়ার বা তার চেয়ে বেশি মিলিএম্পিয়ারের স্মার্টফোন নিতে পারেন।
স্মার্টফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটির পাশাপাশি ফোনটি কুইক চার্জ সাপোর্ট করে কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন
। আপনার ফোন কুইক চার্জ সমর্থিত হলে তাড়াতাড়ি চার্জ হবে, এতে আপনার মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে।
বাজেট-
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বাজেটের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে আপনি বাজারে
বিভিন্ন বাজেটের স্মার্টফোন পাবেন। একটি স্মার্টফোনের দাম সবসময় নির্ভর করে স্মার্টফোনটিতে থাকা ফিচার এবং কনফিগারেশনের উপর।
আপনার বাজেটের মধ্যে যে স্মার্টফোনে সবচেয়ে বেশি ফিচারস রয়েছে আপনি সবসময় সেই স্মার্টফোনটি কেনার
চেষ্টা করবেন। এটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট। এক্ষেত্রে আপনি গুগলে বিভিন্ন স্মার্টফোনের মডেল লিখে সার্চ করতে পারেন।
আশা করি আপনি সেখানে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। বর্তমানে শাওমি, হুয়াওয়ে, অপো, বিভো সহ বিভিন্ন স্মার্টফোন
ব্র্যান্ড কম দামে অসাধারণ সব স্মার্টফোন অফার করছে।
আর আপনার বাজেট যদি বেশি থাকে তাহলে স্যামসাং বা অ্যাপলের মতো কোম্পানির তৈরি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো
কিনতে পারেন। ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো সবসময় ফিচার-রিচ হয়ে থাকে এবং এগুলোতে লেটেস্ট সব টেকনোলজিও আপনি পেয়ে যাবেন।