ক্রিং ক্রিং করে বেজে উঠলো বাড়িতে থাকা ল্যান্ডফোন টি, এই দৃশ্য এখন খুব পরিচিত না হলেও একটা সময় এটার প্রচলন ছিলো অনেক। হঠাত আজ সৌভিক ভাই এই টেলিফোন নিয়ে পড়লো কেন? যাদের মাথায় এমন প্রশ্ন জাগছে তাদের উত্তর দিয়ে দিব একটু পরেই, তবে তার আগে আমাদের কেক রানী
Afsana Khan
আপুর প্রশ্ন গুলির উত্তর দিয়ে নিই।
আপুর সাথে আলাপচারিতার সময় আমি বলছিলাম যে আপু ভাবেন তো, একসময় যখন ল্যান্ডলাইনের প্রচলন ছিল তখন টেলিফোন সেটের সব বাটনের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল না। তখন শুধু এক থেকে নয় এবং শূন্য বাটনের সঙ্গেই আমাদের সাধারণ মানুষের পরিচয় ছিল। কিন্তু আমরা যারা ল্যান্ডফোন টা লক করে রাখতাম তাদের কাছে # ও * বাটনের ও সম্পর্ক ছিলো। আর মোবাইল ফোন আসার পরে তো আমাদের সকলের সাথেই পরিচয় ঘটে গেছে এই # বাটনের। মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে এবং ব্যালেন্স দেখতে এ দুইটি বাটনের প্রয়োজন হতো। তবে গত কয়েক বছরে ডায়াল করা ছাড়াও আমরা # বাটনের একটি ব্যবহার দেখছি। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
Taslima Alam Munia
আপু বলে উঠলেন যে আরে ভাই আমি আর আফসানা তো এইজন্য ই জিজ্ঞাস করলাম আপনাকে যে আসলে এই হ্যাশট্যাগ কি জিনিস?
প্রাইস ট্যাগ বা নেইম ট্যাগ এর সাথে আমাদের পরিচয় আছে অনেকের।যাদের মনে নাই তাদের জ্ঞাতার্থে আমি একটু বলি- কোন ড্রেসের মূল্য জানতে আমরা ব্যাবহার করি প্রাইস ট্যাগ আর কারো চেম্বারে বা বা গবেষনাগারে গেলে দেখা যায় নেইম ট্যাগ।
Shanzida Afrin Kanta
আপুর প্রশ্ন হলো আমরা ফেসবুক বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে কেন এইগুলি ব্যাবহার করি?
আসলে কোন কিছু চিহ্নিত করার জন্য আমরা হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করে থাকি। প্রায়ই আমাদের চোখে পড়ে হ্যাশট্যাগ (# ট্যাগ) সংবলিত স্ট্যাটাস বা ছবি।অনেকেই বুঝতে পারেন না, এই স্ট্যাটাস বা ছবির পেছনে কেন আঠার মতো লেগে আছে হ্যাশ (#)। আসলে এটাকে মাইক্রোব্লগিংয়ের ভাষায় বলা হয় হ্যাশট্যাগ।
মুলত যেকোন ইভেন্ট কে একত্রিত করতে এই হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করা হয়।অর্থাৎ যে লেখা গুলিতে হ্যাশট্যাগ লিখে পোষ্ট করা হয় সেই সম্পর্কে আরো লেখা হলে সেগুলি ও অটোমেটিক একত্রিত হয়ে যায়।
আমাকে একটু উদাহরন দিয়ে বোঝান বস
Ferdousi Akhter
আপু জানালেন এটা-
যেমন, সামনে আসছে একুশের বইমেলা। এখন যদি কেউ মেলা সম্পর্কে তথ্য বা কোনো বক্তব্য দিতে ব্যবহার করে # একুশেরমেলা, তবে বুঝতে হবে এই রিলেটেড আরও বক্তব্য বা তথ্য আছে এই হ্যাশট্যাগে। আপনি যখন কোনো শব্দের শুরুতেই হ্যাশট্যাগ (# ট্যাগ) ব্যবহার করবেন তখন সেটি নীল বর্ণ ধারণ করবে।
অর্থাৎ সেটা একটা লিংক-এ পরিণত হবে। পরবর্তীতে এই রিলেটেড সব স্ট্যাটাস বা ছবি যদি একই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে দেওয়া হয় তবে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা সহজেই সব এক জায়গায় পাবেন। অর্থাৎ এটি সবার মতামত এক করার একটি উদ্যোগ। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়, হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের সময় ব্যবহৃত শব্দে যাতে কোনো স্পেস না থাকে। স্পেস থাকলে এটা লিংক তৈরি করতে পারে না (গ্রুপে এটি ব্যাবহার করা যায় না বলে আমি স্পেস দিয়েছি)।
Shamima Sultana
আপু বললেন ইদানিং নাকি উনি সিনেমার প্রচারে এটি দেখেছেন আর তাই আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই কিনা-
সাধারণত কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার বেশি। ইদানীং অবশ্য এর বিভিন্ন ব্যবহার বেড়েছে। আজকাল সিনেমার প্রচারেও এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে হচ্ছে। আবার কেউ কোনো বিষয়কে প্রাধান্য দিতেও একই কাজ করেন। কেউবা শুধুই নিজেদের ভিতর আড্ডার জন্যও এমনটা করতে পারেন।
হ্যাশট্যাগের ব্যবহার শুরু হয় মূলত মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে। পরে ২০১৩ সালের জুনে ফেসবুকেও এর ব্যবহার শুরু হয়। এখন গুগলপ্লাসেও এর ব্যবহার দেখা যায়। হ্যাশট্যাগের জনপ্রিয়তা এত বেড়ে যায় যে, শেষ পর্যন্ত ‘হ্যাশট্যাগ’ শব্দটি ২০১৪ সালের জুন মাসে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতেও জায়গা করে নেয়।
Jannatul Ferdous Snigdha
আপুর প্রশ্ন কেন আমরা এটি ব্যাবহার করবো?
আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখছেন তা যদি অন্য কেউ লেখার সময় হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করে লিখে থাকেন আগেই তাহলে আপনার হ্যাশট্যগে তার লেখা টা ও একত্রিত হয়ে যায়।অর্থাৎ সকলের একই ধরনের লেখাকে একটা জায়গায় একত্রিত করতে চাইলে ব্যাবহার করতে পারেন এবং একটু জনপ্রিয়তা ও এটেনশন গ্রো করার জন্য ও দিতে পারেন।
অনলাইন উদ্যোক্তার ১০০ দিনে এটি আরো জানিয়ে দেয়া হবে।এখন এই পর্যন্ত।
প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন।