১০০ দিনের চ্যালেঞ্জ-১ম দিন

রিডিং সিলেবাস শেষ করার পরে কি করবো?
ইংরেজি পত্রিকা পড়া যেতে পারে,এতে নিজের উন্নতি টের পাওয়া যায়। এছাড়া আর কি করা যাবে?
Razib Ahmed স্যার ২৮ আগষ্ট ২০২১ তারিখের একটি পোষ্টে জানিয়েছেন-যারা রিডিং সিলেবাস শেষ করেছেন তারা চাইলে ১০০ দিনের চ্যালেঞ্জ টা নিতে পারেন।
আজ থেকে আমার এই যাত্রা শুরু করলাম- সকাল থেকেই মানসিকভাবে শান্তি পাচ্ছিনা,সেটাও গত বুধবার থেকেই,এজন্য ভাবলাম এই কোমা টাইমে (আমার মন খারাপের সময়কে আমি কোমা টাইম বলি) আমি সব সময় একটা নতুন চ্যালেঞ্জ নিই,আর আজ থেকে এই কাজ শুরু করছি।
জানি কষ্ট হয়ে যাবে কারন কলেজে ক্লাস নেয়া তারপরে অফিস ও ব্যাবসা সামলে নিয়ে এখন এই কাজ করতে হবে,তবুও চ্যালেঞ্জ টা নিয়েছি নিজের স্বার্থে,আর আমি খুব স্বার্থপর মানুষ এবং একইসাথে তেল না দেয়া পাবলিক।তাই স্যারকে তেল দিতে পারলাম না।
কি ছিলো ১০০ দিনের চ্যালেঞ্জের শুরুতে বা ১ম দিনে?
স্যার মুলত ১৫ই নভেম্বর ২০১৮ তারিখে ঘোষণা দেন যে- ১৬ তারিখ থেকে তিনি এই চ্যালেঞ্জের জন্য পোষ্ট রেডি করবেন এবং সেটি যেকেউ চাইলেই তার নিজের ইচ্ছা ও খেয়াল মত সময় দিয়ে শেষ করলেই চলবে,কিন্তু স্যার এটাও চেয়েছেন যে-অন্তত কিছু মানুষ যেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই কন্টেন্ট গুলি পড়ে সেই আলোকে লেখেন।
১ম দিনের লেখাপড়া থেকে আমি যা বুঝেছি,শেয়ার করি-
ক্যাটাগরি-Inspirational (অনুপ্রেরণামুলক)
এই ক্যাটাগরিতে স্যার মুলত নিজের জীবন থেকে নিয়ে আমাদের জন্য কিছু অনুপ্রেরণামুলক গল্প শেয়ার করেছেন যেগুলি পড়লে আমরা আমাদের ভুলগুলি খুঁজে নিয়ে সেগুলির সমাধান বুঝে কাজে এগিয়ে যেতে পারবো।
আমার প্রিয় কন্টেন্ট গুলি-
শুন্য থেকে সেরা হবো কিভাবে?
এই কন্টেন্টের আলোকে না হলেও নিজের ফিউচার গোল নিয়ে আমার একটা ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়েছিলাম এবং সেখানে আমি যা বোঝাতে চেয়েছি স্যার তার লেখা এই কন্টেন্টে একেবারে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের কি করা উচিত।

সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা যাবেনা কেননা শুরু করতে পারাটাই বড় চ্যালেঞ্জ,তাই একবার শুরু করে দিতে হবে এবং নিজের মনে বারবার বলতে হবে, অবস্থা যত খারাপ থাকুক না কেন আমি চেষ্টা করে যাবো।

চেষ্টা করলে তাদের জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো-
আমরা ভেবে নিই আমরা অনেক চেষ্টা করি কিন্তু এগিয়ে যেতে পারিনা,কিন্তু সত্যিটা হলো আমরা আমাদের চিন্তা ও চেষ্টার লেভেলকে একত্রে ভাবতে পারিনা হয়তো।কেননা সতিই যদি আমরা এই দুইটির মিলন ঘটাতে পারতাম তাহলে আমরা চেষ্টা না করে হাল ছেড়ে দিতাম না,এমনও হতে পারে যে- আমরা যেখানে হাল ছেড়ে দিলাম ঠিক যেন সফলতার দ্বারপ্রান্তে এসে।
জীবনে হেরে গেলেও থেমে যাবেন না-
এই কন্টেন্ট আমায় বুঝিয়েছে, হারজিত জীবনের অংশ তাই একবার হেরে গেলেই জীবনের সবকিছু শেশ নয় বরং হার থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যেতে আমাদেরকে।আর হেরে যাওয়া মানেই থেমে যাওয়া যেন না হয়।
তবুও লেগে থাকতে হয় স্বপ্ন দেখতে হয়-
হাল ছেড়ে দেয়াটা কোন সমাধান নয়,রনক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গেলে কোনদিন যুদ্ধে জৈয়ি হওয়া যাইনা,ঠিক তেমন করেই ভাবতে হবে জীবনকে।এই রাস্তায় হাসির পাশাপাশি কান্না আসবে।দুঃখের পাশাপাশি থাকবে সুখের অনুভূতি। তাই লেগে থাকতে হবে এবং স্বপ্ন দেখতে হবে।স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেলে চলবেনা।
প্রতিদিনকে কাজে লাগাতে হবে
আজকে আমার মন ভালো নেই তাই সব কাজ বন্ধ,ওকে ভালো কথা কিন্তু এই কাজ বন্ধের মাঝেও এমন কিছু করুন যেটা থেকে জীবনে কিছু শিক্ষা যেন অন্তত আসে,কেননা কাজে লাগাতে শিখতে হবে জীবনে বেঁচে তাহকা প্রত্যেকটি দিনকে।
স্বপ্ন ঠিক করা দরকার
ছোটবেলায় আমরা এইম ইন লাইফ রচনা বা প্যারাগ্রাফে লিখতাম আমাদের এইম ইন লাইফ হিসাবে- ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার কিংবা শিক্ষক হবার বাসনা।কিন্তু এই ব্যাপারগুলি আসলেই ঠিক কতটুকু ভেবে ও বুঝে লেখা ছিলো সেটা ভাবার বিষয় হয়েই দাঁড়াবে সবার কাছে।জীবনের এই পর্যায়ে এসে যেন কোনভাবেই আমাদের স্বপ্নের কাষ্টমাইজেশন না হয়ে যায়,আমাদেরকে সপ্ন ঠিক রাখা ও স্বপ্নের দিকে ফোকাস ঠিক রাখা শিখতে হবে এবং তার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
অন্যদের কথায় মন খারাপ করবেন না,পরে যাবেন, হেরে যাবেন তবুও উঠে দাঁড়ান
এই কন্টেন্টগুলি আমায় শিখিয়েছে আমার মনের যে ভাবনা বিদ্যমান, সেগুলি ভুল নয়,কিভাবে? কারন স্যার যা যা লিখেছেন সেগুলিই আমার মনে সর্বদা বিচরণ করে।
এছাড়াও ভালো লাগার কন্টেন্ট আছে অনেকগুলি বলা যায় ১টি কন্টেন্ট ছাড়া আমার সবগুলিই ভালো লেগছে কেননা আমার জীবনের চিন্তা ভাবনার সাথে মিলে যায় প্রায় সব।আমায় অনেকেই বলে-আমি নাকি স্যার এর ফুট স্টেপ হুবহু ফলো করি,এইটা শুনতেই আমার মনে একটা আলাদা প্রশান্তি আসে। কারন আমার নিজের মাঝেই থাকুক।
এখন প্রশ্ন হলো কোন কন্টেন্টটি আমার ভালো লাগেনাই-
ভালো লাগেনি ব্যাপারটি আসলে এমন নয় বরং বলা যেতে এই কন্টেন্ট আমার আফসোসের জায়গা,কারন আমি এই বয়স পেরিয়ে স্যারকে পেয়েছি এবং এই কন্টেন্ট যখন পড়ছি তখন আমি এই দলের বাইরে।
হ্যাঁ সঠিক ধরেছেন- ২০-২৫ বছর বয়সী তরুণদের জন্য কিছু পরামর্শ।
এই কন্টেন্ট আমার জন্য আফসোসের।
সবশেষে আমি বলতে চাই– আমি চিন্তা করতে ভালবাসি, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। আমরা কেন ভাল কিছু করতে পারি না,কিন্তু নিজের কাজে পরিপূর্ন মনযোগ দিতে পারি। আমি খুব সাধারণ মানূষ তাই কারো সাথে প্রতিযোগিতা আমার নেই,আমি শুধু নিজের সাথে নিজেকে প্রতিযোগিতায় নেমে যাই। ব্যার্থতাকে সম্পদ বানাতে জানি এবং বিশ্বাস করি খারাপ সময় একসময় দূর হবেই।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *