চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির
সময় টা ২০০৪/০৫ এর দিকে, এলাকার খুব নামকরা ইংরেজী শিক্ষকের কাছে পড়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিলো আব্বু কিন্তু কি আর করা আমি নাকি দুর্বল এজন্য আমাকে ভালো (তথাকথিত মেধাবী) দের ব্যাচে দেয়া গেলো না কারন এতে তাদের ঘোর আপত্তি ছিলো।
কি আর করা আমি একমাস অন্য ব্যাচে পড়লাম পরে বুঝলাম আসলে আমি যেমন চাই এইখানে তেমন নয় তাই আব্বুকে বলেছিলাম যে আমি এই স্যার এর কাছে পড়বো না।
আব্বুর প্রশ্ন ছিলো কেন?
আমি বলেছিলাম আমি বুঝি কম হয়তো স্যার পড়ান কিন্তু তা হয়তো উপর লেভেলের জন্য আমি একটু কাঁচা।
আব্বু ও ধরে নিলো আমার ছেলে ইংরেজীতে দুর্বল।
আর এটা নিয় শুরু হলো মোটামুটি হাসি ঠাট্টা ও ভ্যাংচানো।
আমার সার্কেল চেঞ্জ হতে লাগলো কিন্তু আমি জানতাম যে আমি আসলে কি পারি।
সমস্যা টা কোথায় ছিলো জানেন?
সব স্যার ভাবতো এরা তো দুর্বল আর তাই শুরু করতো প্রথম থেকে আর এভাবেই সবাই শুরুটাই পড়াতে পড়াতে পরীক্ষা আসে, পরের বছর নতুন ক্লাস আসে আবার নতুন করে শুরু হয়।
আর আমরা কিছু বলি না কারন দেখি নতুন কিছু শেখা লাগে না তো।
নতুন করে পড়া লাগে না।
এই কারনেই আমি আলাদা হলাম কারন ঐ সময়ে আমি এটা বললে আমাকে পাগল ই বলতো।
নয়তো বলতো আমি দুর্নাম করছি।
কিন্তু সেই দুর্বল ছেলেটাই কলেজে এসে ইংরেজী ডিবেটে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো আবার সেই ছেলেটাই কলেজের সব বক্তৃতা ইংরেজীতে দিয়ে দিলো।
আমি কিন্তু নিজেকে হাইড করে রাখি নাই, কারন হাইড করে রাখলে তো পরিচিতি টাই আসবে না।