১০ মিনিট রাইটিং স্কিল পোষ্ট-৩০

রিকশাওয়ালাদের জীবন বদলানোর গল্প
জাহিদ চাচা
পেশায় একজন রিক্সা চালক।
আমার রিক্সায় উঠলেই গল্প করার অভ্যাস আছে চাচাদের সাথে।
জাহিদ চাচার সাথে আমার ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারী দেখা হয়েছিলো। রিক্সায় করে বাসায় আসার পথে চাচার রিক্সায় গল্প হলো।
চাচার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা।
ওনার বাবা মা নেই কিন্তু ছোট ছোট ভাই বোন আর দুইটা মেয়ে আছেন।
বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন কিন্তু ছোট মেয়ে লেখাপড়া করে।
এই বয়সে একজন বাবা দিনের ইনকামের ৪০০ টাকার মধ্যে ১৩০ টাকা দেন রিক্সা ভাড়া আর খাওয়া তো দিনে ৮০-১০০ টাকা যায় ই।
তাহলে থাকে খুব বেশি হলে ২০০ টাকার মত।
উনি এক সপ্তাহ পর পর বাসায় যান।
ভেবে দেখলাম ওনার হয়তো বাসায় মাসে ৫০০০ টাকা দিতে পারেন।
কিন্তু আমার প্রশ্ন যশোর সহ অন্যান্য শহরে ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধ করছে কিন্তু তুলনামুলক খারাপ আচরন আর খারাপ ভাবে যানবাহন চালায় ইজি বাইক চালক রা।
এই রকম বৃদ্ধা বাবা গুলি যারা সারা রাত দুইটা বেঞ্চ কে এক জায়গায় করে এই শীতে পরিবার ছেড়ে থাকে তাদের পেটেই কেন লাথি মারছি?
আর কত দিন এই সকল মানুষ গুলিকে এভাবে নিগৃহীত হতে হবে?
এই শীতে আমি আপনি কি দুইটা বেঞ্চ এক জায়গায় করে ষ্টেশনে থাকার কথা ভাবতে পারি?
চাচাকে জিজ্ঞাস করে সব তা জেনে নিয়েছিলাম আর পরে চাচাকে একটা রিক্সা উপহার দেইয়া হয়েছিলো যা আসলে ঘটা করে নয় একদিন রাতের বেলাতেই।
তারপর থেকে চাচা ভালো আছেন ইনকাম বেড়েছে আর ঐ রাতে বেঞ্চ একত্রে নিয়ে ঘুমানো লাগে না।
এই বছরে এসব শুনে ভালো ই লেগেছে প্রান ভরে শ্বাস নিয়েছি।
ভালো থাকবেন চাচা।
পারলে আপনার কোন উপকারে আসবো ইনশাআল্লাহ।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *