জীবন সব সময় দ্বিতীয় সুযোগ দেয়
এটা আমি মানি দারুন ভাবেই।
মে মাসের ২৬ তারিখ সাল টা ২০১৮
আমি মাত্র আমার অফিস কে গুছিয়ে উঠেছিলাম আর দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো ICT CARE
কিন্তু এমন সময় ঐ দিনেই ১৩ তম রোযার দিনে আমার অফিসেই ইলেকট্রিক শকে মারা যায় ফাহিম।
আমি ওকে অনেক চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু হসপিটাল পর্যন্ত নিয়ে যাবার আগেই ও হারিয়ে গিয়েছিলো।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ থেকে শুরু করে সমাজসেবা অধিদপ্তর মানবাধিকার কমিশন আর পত্রিকার মানুষের
প্রশ্নে আর ওর বাড়িতে জানানোর পরের অবস্থা নিয়েই আমি যেন এক প্রকার সেন্স লেস টাইপের হয়ে গিয়েছিলাম।
ওর পরিবারের জন্য কতটা বড় ক্ষতি ছিলো তা আমি এখনো বুঝি।
ওর বড় ভাই মারা গিয়েছিলো পানিতে ডুবে এবং সেই দিন থেকে ফাহিমের জন্মের আগ পর্যন্ত ওর মায়ের চোখের পানি সরে নি।
অথচ ঠিক ১৮ বছর পরেই ফাহিমের এই ঘটনার পরে ওর আম্মার চোখের পানি আজীবনের জন্য পড়ছে।
এই ঘটনায় আমার অফিস বন্ধ ই হয়ে গিয়েছিলো প্রায়, স্বপ্ন গুলি ও আমি জলাঞ্জলি দিয়েছিলাম প্রায়, শুধু মনের কোনায়
একটুখানি আশা দেখে আমি ভাড়া টেনেছিলাম অফিসের যে একদিন আমি সব ঠিক সামলে নিতে পারবো।
আর ঠিক ২০২০ এর করোনা মহামারীতেই উপর ওয়ালা আমায় ফিরিয়ে দিয়েছেন আমার স্বপ্ন কে নতুন করে সাজাতে সুযোগ করে দিয়েছেন।
ফাহিম চলে গেছে কিন্তু ও আমাকে দিয়ে গেছে আরো একটি পরিবার যার বদৌলতে আমার এখন আছে দুইটা বোন আর আরো এক জোড়া বাবা-মা, যে মা আমি ফোন না করলে খাবার মুখে নেয় না।
যে বোন আমার সাথেই দুঃখ কষ্ট আর আবেগ ও সিধান্তের জানান নেয়।
জীবন সত্যি ২য় সুযোগ দেয়।