ভালো কাজে ব্যার্থ হলেও লস নেই
স্কিল কম্পিটিশন ২০১৭ এর আগের দিন
আমার ডিপার্টমেন্ট থেকে তিনটা ছেলে অংশ নিচ্ছে স্কিল কম্পিটিশনে।
আমাদের প্রজেক্টের কাজ নিয়ে আমাদের সারা দিন আর রাত কাজ চলমান।
কাজের এত চাপ অথচ আমার অফিসে রাত তিনটা পর্যন্ত আমি ও আমার টিম খাটা খাটুনি করে মোটামুটি দারুন আইডিয়া দিয়ে একটা নতুন উদ্ভাবনী নিয়ে এলাম সবার সামনে এমন টাই চিন্তা করছি।
এত পরিশ্রমের পরে ও সকাল ৬ টায় উঠে পড়েছি সবাই যেন ঈদের আমেজ বিরাজমান কারন স্কিল কম্পিটিশন এ এবার আমরা প্রাইজ পাচ্ছি ই পাচ্ছি এমন অবস্থা সবার মাঝে।
সব প্রজেক্ট গুলির প্রোপোজাল ও এষ্টিমেটিং আমার নিজের হাতে করা তাই আমার কনফিডেন্স টা ও দারুন ছিলো।
প্রদর্শনী এর সময় ততকালীন ডিসি স্যার ও এডিসি স্যার দুইজনের কাছেই দারুন লাগলো কাজ ওনারা তো আমার ছাত্র দের পিঠ চাপড়ে দিলো।
আমি মোটামুটি কনফার্ম হলাম যে পুরষ্কার এবার আমরাই পাচ্ছি।
কিন্তু না জাজ প্যানেলের বাকী তিন মেম্বার ছিলেন সিভিল,পাওয়ার ও ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের এবং তারা জিজ্ঞাস করলেন এটা বানাতে কত খরচ হয়েছে?
একজন জানালেন এসব বানাতে টাকা লাগে না কম্পিউটার থাকলেই বানানো যায়, আমার ছেলে তো পারে এসব।
এমন বলেই চলে গেলেন দেখলেন ও না।
বলা বাহুল্য যে ঐ কম্পিটিশনে আমাদের কোন প্লেস ই থাকলো না উলটা যারা প্লেস পেলো তারা জাতীয় পর্যায়ে যেয়ে নকল প্রজেক্ট করার দ্বায়ে টিকলোই না।
আমাদের পরিশ্রম তো ব্যার্থ ই হলো চরম অপমানিত বোধ করলো আমার ছাত্র রা।
আমি বললাম এটা নিয়ে আমরা কাজ করবো কিন্তু অর্থ ছিলো না পর্যাপ্ত।
ঠিক তার তিন মাস পরেই বৃটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ নামক প্রোগ্রামে এই একই আইডিয়া প্রথম পুরষ্কার বগল দাবা করে নিলো।
যা আমরা মুল্যায়ন ই করি নাই সেই প্রজেক্ট ৩০০০ ডলার দিয়ে কিনে নিলো ইংল্যান্ড।
তাহলে কি বলা যায়?
ভালো কাজে ব্যার্থ হলেও কোন ক্ষতি নাই।