১০ মিনিট রাইটিং স্কিল পোষ্ট -৪৬

শরৎচন্দ্র চটোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস ‘দত্তা’
✅ এই উপন্যাসের সামারি-
যেখানে নায়ক চরিত্রে নরেন্দ্র ও নায়িকা চরিত্রে আছে বিজয়া আর এই উপন্যাসের একটি দারুন মজার চরিত্র হলো দুরন্ত পরেশ।
বিজয়া নরেন্দ্রকে খুব ভালোবাসে কিন্তু কখনোই প্রকাশ করতে পারেনি মানে সেটা আজো অব্যাক্ত।
নরেন্দ্রর খোঁজ না পাওয়ায় বিজয়ার ব্যাকুল হৃদয় তার খোজ নেবার জন্য ছোট্ট ছেলে পরেশকে দিয়ে বাতাসা
কেনার কথা বলে খোঁজ নিতে পাঠায়৷ কিন্তু অবুঝ ছেলে পরেশ বাতাসা প্রেমী হওয়ায় নরেন্দ্রর খোঁজ নিয়ে আসতে
ব্যর্থ হয় বরং সে ২ আনায় ১১ গোণ্এডায় পরিবর্তেতে ১২ গোন্ডা এনেই খুশি হয় কিন্তু তাতে তোপ বিজয়ার কোন আনন্দ ছিলো না ছিলো না অভিপ্রায়।
বিজয়া মনখুন্ন হয়
নরেন্দ্র তার দরিদ্র পিসিমার বাড়িতে কোনমতে মাথা গোজার ঠাঁই খোঁজে৷ কিন্তু সেখানে যে ঠিকঠাক দুবেলা খাবার জুটছে না এটা বিজয়া বুঝতে পারে৷
সবমিলিয়ে বিজয়া নরেন্দ্রর প্রতি গভীর এক ধরণের মায়া অনুভব করতো এজন্যই সে নরেন্দ্রর প্রস্থান মেনে নিতে পারছিলো না৷ তাই তার পথ আটকিয়ে খাবার খেয়ে যেতে বলে৷ প্রথমে অসম্মতি জানালেও পরবর্তীতে নরেন্দ্র ঠিকই রাজি হয়৷
কারণ, সে জানতো পিসির বাড়ি গেলেও খাবার জুটবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
✅ বিজয়া সম্পর্কে আপনার মনে যা আসে তা নিয়ে লিখুন
বিজয়া একজন আত্নসম্মানী এবং লজ্জানবত নারী চরিত্র। পছন্দের মানুষটির খোঁজ জানার জন্যে ব্যকুল যে নারী।
সামনে পেয়ে লজ্জাবনত হয় স্বভাবজাত নারীসত্তার প্রকাশ পায় এতে। আবার যখন বুঝতে পারে এখন ফিরে গেলে
নরেনকে না খেয়ে ও থাকতে হতে পারে তখন তাকে খেয়ে যেতে অনুরোধ করে যাতে প্রকাশ পায় মাতৃত্ব সুলভ নারীসত্তা, এবং তার দায়িত্ববোধ।
✅ পরেশের বাতাসা কেনার কান্ড কেমন লাগলো?
সে আর বলতে?
আমি নানীর টাকার বক্স থেকে টাকা নিয়ে মোড়ের দোকানে খুব যেতে চাইতাম এমন ভাব যে আমি সব সময় কাজের জন্য পটু।
আসলে আমি ৭ টাকায় একটা কোকাকোলা আর তিন তাকার আলুর দম খেতেই দোকানে যেতে চাইতাম।
পরেশের বাতাসার ঘটনা এমন ই।
✅ নরেন আর বিজয়ার কথোপকথোন নিয়ে অনুভূতি-
নরেন আর বিজয়ার ভালোবাসা ছিলো গভীর কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারেনি। নরেন জীবনের অভাববোধ ও চরম বাস্তবতা কে
বেশী প্রাধান্য দিয়েছে। তাই সে ভালোবাসা মোহে আটকে রাখতে পারে নি।
✅ বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপন্যাসের একটি চ্যাপ্টার বা পরিচ্ছেদ পড়ে আমার কি লাভ হল?
শেষ হইয়াও হইলো না শেষ, রয়ে গেলো তার কর্মের রেশ আমি শুধু এই টুকু দিয়ে বুঝে নিতে চাই আমার করনীয় আর এটাই আমার লাভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *