একদিন বিকালে হঠাত ক্যাম্পাসে আমার ডাক পড়লো প্রিন্সিপ্যাল স্যার এর।
আমি তো অবাক।
যাবার পরে দেখি
স্যার ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে বসেছেন আমার ই ডিপার্টমেন্ট এ।
তো আমার তো ক্লাস নাই এখন আমায় কেন ডাকলো তাই ভাবছি।
স্যার – আচ্ছা তোমাদের আজকে কার কার সাথে ক্লাস ছিলো বিকালে?
ছাত্র ছাত্রীরা- স্যার সৌভিক স্যার সহ আরো দুজনের নাম বললো।
দুইজন ই আমার সিনিয়র স্যার।
স্যার – আচ্ছা তাহলে তোমরা শুধু সৌভিক স্যার এর ক্লাস করে আর বাকী দুইটা করো নি কেন?
তাও আবার স্যার এর ক্লাস ছিলো মাঝে আর বাকী দুইজনের টা আগে পরে।
একটা ছাত্র হঠাত উঠে দাঁড়ালো আর বললো স্যার ম্যাক্সিমাম ক্লাসে আমরা কথা বুঝি না আর বই রিডিং পড়ার মত লেকচার হয়।
সামারাইজ টেনে বা বুঝিয়ে দেয়া হয় না।
স্যার – কেন? সব স্যার ঝাল ডলে দেয় আর সৌভিক স্যার কি মধু দিয়ে ক্লাস নেয়?
সি আর- না স্যার সৌভিক স্যার ই উলটা ঝাল ডলে কিন্তু আমরা মজা পায় কারন ক্লাসে ক্রিয়েটিভ কিছু থাকে
আর আজ যেহেতু আমরা ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি তাই ভেবেছি মাঝের ক্লাসের টাইম টা আনার ম্যাচের ব্রেক হোক আর আগে পরে দুইটার সময়ে দুই ইনিংস চলুক
স্যার – সৌভিক সাহেব আপনার কি ধান্দাবাজি বলেন তো?
স্যার আমার ধান্দাবাজি হলো ওরা শিখুক আর কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ে কেন যা আছে তাই নিয়েই লেখাপড়া হবে?
কেন যৌক্তিক কারন গুলিকে ফোকাস করবে না?
কেন নতুন কিছু বানানোর চেষ্টা আসবে না?
Razib Ahmed
স্যার তো এই ধান্দাবাজী টাই করেছেন আর সেটা হলো আমাদের উন্নতি করা।
আমরা বুঝেছি বলেই আজ হামলে পড়েছি সেই সাথে গ্রুপ টা ও বড় হয়েছে।
কি?
আসল ধান্দাবাজি টের পেলেন?