“যখন কেউ আমার ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো মনে রাখে
তখন তাকে খুব আপন মনে হয়”
নাহ স্কিল ডেভলপমেন্টের মধ্যে আমি মোটেই নিজ ইচ্ছার মূল্যায়ন নিয়ে পোষ্ট দিতে আসি নি শুধু বোঝানোর জন্য এই লাইন দুটিকে পারফেক্ট মনে হয়েছে।
আমি ২০১৫ এর শেষের দিকে যখন আইটি নিয়ে কাজ করবো নিজের চাকুরীর বাইরে তখন সবাই যেন নাক শিটকে উঠেছিলো অনেকটা আমার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বাদ দিয়ে কম্পিউটারে পড়ার সিধান্তের মত।
আমি বিচলিত হয়েছিলাম একটু সময়ের জন্য কিন্তু পিছনে ফিরে যায় নি।
মাত্র ৩ মাসের মাঝেই সিধান্ত নিয়েছিলাম অফিস স্পেস নিবো সেই সিধান্তের পক্ষ্যে ও ছিলো না কেউ, আমি আবার ও সবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই লড়াই চালিয়ে নিলাম নিজের সাথে।
এই রকম ধাক্কা যদি ধরি তাহলে প্রায় দিন ই আসতো, আসছে আর সামনেও হয়তো আসবে কারন মানুষের চাওয়ার শেষ নেই যে।
আমরা সব সময় ব্যাস্ত থাকি নিজেরা কি চায় সেটা নিয়ে কিন্তু ভাবি না আমার সাথে বেঁচে থাকা মানূষ গুলি আমার কাছ থেকে কি চায়?
আমরা আক্ষেপ করি একটা অপূর্নতা নিয়ে অথচ কিছু মানুষ হয়তো আপনার চাওয়া গুলিকে পুর্নতা দিতে গিয়েই নিজের ইচ্ছা কে ভুলে যায়।
আমি যখন প্রথম ডি পি বি করেছিলাম তখন ও ভাবি নি এই গ্রুপ কে প্রতিষ্টিত করতে গেলে কত বেশি পরিশ্রম করতে হবে আমাকে কিন্তু এখন ভাবছি আমরা তো হুজুগে মাতাল জাতি তাই হঠাত মাথায় আসে কিছু করবো সেই রেশ টা থাকে আবেগ থাকা পর্যন্তই, আবেগ সরিয়ে বিবেকের সূর্য উঁকি দিতেই হারিয়ে মলীন হয়ে যায় সব।
গ্রুপের ২৬০০ সদস্য ই যে আপনার কথা শুনবে আর কাজ করবে সেটা আশা আমি কোন দিন ই করি নি কিন্তু ৫০/১০০ মানূষ নিজের ভালো বুঝবে এটা আশা করেছিলাম।
কথায় আছে না কি আশায় বাধি খেলাঘর ঠিক সেই অবস্থা যেন এখন কারন আমরা সাফল্য বলতে বুঝি দিনের শেষে কত টাকা উপার্জন করেছি সেটা।
কারন?
একটা পোষ্ট করে যদি আপনি লিংক পৌছে না দেন তাহলেও পড়তে ভুলে যান অনেক সাফল্য পিপাসু মানূষ সেখানে আমার কথায় এত মানুষ কাজ করবে এটা আশা করা তো বোকামি ই বটে।
কিন্তু আমি আগেও বলেছি আর এখন ও বলছি যারা নিয়মিত কাজ করবেন কথা মেনে নিয়মিত তারা উপকার পাবেন আর তার ভাগ শুধু সৌভিক স্যার বা ভাই কেন কাউকেই দিতে হবে না।
সেই অর্জন শুধুই আপনার থাকবে, কিন্তু আমার কি লাভ?
আমি যে টাকার অংকে নিজের সফলতা মাপি না আমি বরং নামের কাঙ্গাল শুধু নাম টাই চাই চাই পরিচিতি ও আমার কর্মের স্বীকৃতি তাও সেটা একান্তই নিজের কাছে।
তাইতো আমি আবার ও বলি-
যখন কেউ আমার ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো মনে রাখে
তখন তাকে খুব আপন মনে হয়