জগতের নিয়মই হলো, কোনও কিছু দীর্ঘ সময় একরকম থাকে না। প্রতি মূহুর্তে পরিস্থিতি বদলায়। আর এটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় ঝুঁকির দিক।
একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সেট করার অল্প সময় পরেই হয়তো আপনার মনে হবে এটা আসলে সেরা পরিকল্পনা ছিল না, অথবা নতুন কোনও ভাল সুযোগ সামনে এসে পড়তে পারে যা নিতে গেলে মূল পরিকল্পনায় অনেকটা বদল আনতে হবে। এই পরিকল্পনাটি যদি অনেক বড় হয়, তখন তাতে দ্রুত বদল আনাটাও কঠিন হয়ে যাবে।
কিন্তু, বর্তমান পরিকল্পনাটি যদি সেরা পরিকল্পনা না হয়, তবে কি সেটা নিয়ে কাজ করে যাওয়াটা উচিৎ?
“যা করার কোনও দরকারই/উপকার নেই, তার পেছনে খুব বেশি মেধা ও শ্রম ব্যায় করা আসলে অপচয়।“
এখানে আপনাকে লক্ষ্য থেকে সরে আসতে বলা হচ্ছে না। লক্ষ্য তার জায়গায়ই থাকবে – কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সেরা পরিকল্পনা নিয়ে এগুনোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর সেক্ষেত্রে যদি অনেক বড় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে বসে থাকেন, তবে তা পরিবর্তন করাটাও দারুন ঝামেলার কাজ হয়ে বসতে পারে। তাই বড় লক্ষ্যটিকে ছোট ছোট পরিকল্পনায় ভাগ করুন, যেন প্রয়োজনে তা দ্রুত বদলানো যায়।
১২ সপ্তাহের লক্ষ্য অনেক দূরের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে করা হয় না।
১০ বছর পরের পরিস্থিতির চেয়ে ১২ সপ্তাহ পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারনা করাটা অনেক বেশি সহজ। সেই সাথে ১২ সপ্তাহের পরিকল্পনায় আপনি প্রতিদিন এবং প্রতি সপ্তাহে কি কি কাজ করবেন, সেটা ঠিক করাও অনেক সহজ।
১২ সপ্তাহ শেষ হয়ে গেলে, পরিস্থিতির কতটা পরিবর্তন হয়েছে, নতুন কোনও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে কি-না, মূল পরিকল্পনায় কোনও পরিবর্তন দরকার কি-না- ইত্যাদি বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন এনে পরের ১২ সপ্তাহের জন্য একটি পরিকল্পনা করে কাজে নেমে পড়ুন।
১২ সপ্তাহে ১২ মাসের কাজ করা মানে তিন মাসে ১ বছরের কাজ করা। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে ৪গুন দ্রুত কাজ করা। ভেবে দেখুন, যদি সত্যিই এই উপায় ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন, তবে আপনি নিজেকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন ।
তাহলে এবার পরিকল্পনা সাজান,আর আমার সাথে সাথে এগিয়ে আসেন।