আপনি যখন সামনে থেকে পেছনে গোনা শুরু করবেন – মস্তিষ্ক তখন সেই গোনার কাজে শক্তি নিয়োগ করতে বাধ্য হবে। এবং অজুহাত সৃষ্টি করার সুযোগ পাবে না। আর এই সুযোগে আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারবেন, কোনওরকম ভয় বা দ্বিধা ছাড়া।
আমাদের কাজ যেমন আমাদের মনকে ফলো করে, তেমনি কাজকেও মন ফলো করে। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করে দিলে, তখন তার আর কিছু করার থাকে না। একটা সময়ে সে সেই কাজেই আপনাকে সাহায্য করতে বাধ্য হবে।
আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশটি ‘ফোকাস’ এর জন্য দায়ী – তাকে ”প্রিফ্রন্টাল করটেক্স” বলে। আমাদের সচেতন কাজগুলো এই অংশ থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়। আপনি যখন বারবার এই ৫ সেকেন্ড রুল ব্যবহার করে কাজ করবেন – তখন ধীরে ধীরে এই অংশটি ৫-৪-৩-২-১ কে একটি কমান্ড হিসেবে ধরে নেবে।
আপনি যখনই কোনও কাজ করার আগে এই ভাবে গুনবেন – তখন সে সেই কাজে পূর্ণ ফোকাস নিয়োগ করবে। – তবে এটার জন্য আপনাকে বেশ কিছুদিন প্রাকটিস করতে হবে।
এই পদ্ধতিতে ছোটছোট এ্যাকশন নিতে নিতে এক সময়ে গিয়ে বড় বড় কাজ করতে নিজেরই ইচ্ছা হবে। মনে হবে আমি তো যে কোনও কিছু করতে পারি।
ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করার পর এক সময়ে নিজেরই নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হবে যে, আপনি চাইলে অনেক বড় কিছু করতে পারেন। কিছুই আর তখন অসম্ভব মনে হবে না। আপনার সাহস বেড়ে যাবে, মানসিক শক্তি বেড়ে যাবে। প্রতিদিন নিজের লিমিটকে আরও একটু পরীক্ষা করতে ইচ্ছা হবে।
“নিজেকে দিয়ে ছোট ছোট এ্যাকশন নেয়াতে নেয়াতে, এর একটা চেইন রিএ্যাকশন সৃষ্টি হবে, আপনার আত্মবিশ্বাস ও প্রোডাক্টিভিটি বাড়তে থাকবে”
তবে এটা একদিন-দুইদিনে হবে না। আপনাকে চেষ্টা করে যেতে হবে, প্রাকটিস করতে হবে। হয়তো অনেক সময়ে ৫-১ গোনার পরও আপনি বিছানা ছেড়ে উঠবেন না, পড়তে বসবেন না, অথবা বাসা থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাতে হতাশ হবেন না। এটা একটা নতুন অভ্যাস, আর যে কোনও নতুন অভ্যাস গড়ে উঠতেই সময় লাগে।
যে কোনও কাজের আগেই ৫-১ গুনে শুরু করুন। এভাবে ধীরে ধীরে এই অভ্যাসটি আপানার মাঝে স্থায়ী হয়ে যাবে। ৫-১ গোনার পর আপনি এ্যাকশন না নিয়ে থাকতে পারবেন না।
কি বুঝলেন? সিধান্ত নিয়েই ফেলুন যে- এই রুল কারা মানবেন আর কারা মানবেন না।