যত বেশি বুস্ট, তত বেশি সেল। এই ক্যাম্পেইন দেখে বুষ্ট করে হতাশ হয়ে অনেকেই আবার বুষ্টিং এর বিপক্ষ্যে কথা বলেন। এই রকম বিজ্ঞাপন যারা দিচ্ছে, তাদের কাছ থেকে বুস্টিং করে সেলস না পেয়ে হতাশ হয়ে অনেকে বিজনেস বন্ধ করেও দিচ্ছেন।
কেন এমন হয় জানেন?
অজ্ঞতার কারনে,সেই অজ্ঞতা দূর করতে এই লেখাটি কাজে আসবে আপনার। এই লেখা আগে লিখলেও আমি আবার নতুন করে লিখছি সবার সুবিধার জন্য।
সবার আগে জেনে নিই, কোন জিনিসগুলো ইম্পোর্টেন্ট একটা ভালো Long Term, Sustainable and Profitable বিজনেস করার জন্য। একটা ভালো Long Term, Sustainable and Profitable বিজনেস ডেভেলপ করার জন্য ৪ টা পিলার থাকে, তাদেরকে 4P বলে।
Product: আপনার একটা হাই কোয়ালিটির প্রডাক্ট থাকতে হবে, যেটা আপনার কাস্টমারের প্রব্লেম সল্ভ করবে এবং তার লাইফকে আপডেট করবে । এই হাই কোয়ালিটির প্রডাক্ট ছাড়া যতই প্রমোশন করেন , যতই এডভার্টাইজিং করেন, Long Term Business আপনি ডেভেলপ করতে পারবেন না। প্রথমবার হয়তো সে আপনার প্রডাক্টটা নিবে এবং সে যখন দেখবে নিজের Expectation Meet করেনি, তাহলে সে কখনও আপনার কাছে ফেরত আসবে না।
সে যদি ফেরত না আসে তাহলে আপনার বিজনেস কোনোদিনও Long Term and Sustainable হবে না। So Definitely , হাই কোয়ালিটির প্রডাক্ট বা সার্ভিস আপনার বিজনেসের Heart হয়ে থাকবে। তাই এটাকে সবসময় আপনার গুরুত্বের সাথে ডেভেলপ করতে হবে এবং ইনোভেশন নিয়ে আসতে হবে যাতে আপনি কম্পিটিশনকে Beat করতে পারেন এবং কাস্টমারকে একটা ভালো এক্সপেরিয়েন্স ডেলিভার করতে পারেন।
Pricing: যেটাতে আমরা খুবই কম গুরুত্ব দিয়ে থাকি অথচ আমি এগুলি নিয়ে ক্লাস করিয়ে থাকি নিয়মিত। pricing এর জন্য কোনো রিসার্স না করে , আমরা ইচ্ছামত প্রাইস ঠিক করি। এক্ষেত্রে Definitely আপনার প্রাইসিং স্ট্রাটেজি ফিক্সড করতে হবে। যেমন মাস্ক মার্কেটের জন্য প্রাইসিং করবেন, pricing Ceiling থাকবে , কোন ধরনের সাইকোলজিকাল প্রাইসিং আপনি এপ্লাই করতে চাচ্ছেন, এই প্রাসিং স্ট্রাটেজিটা ফিক্সড করা খুবই ইম্পোর্টেন্ট। কারন প্রাইসের সাথে যদি আপনার প্রডাক্টের মিল না থাকে তাহলে সেটা কাস্টমারকে অনেক হতাশ করবে।
Placement: এর মানে হচ্ছে কাস্টমার যেখানে আছে সে জায়গাটা Available করা। প্রডাক্টটি অনলাইনে দিবেন নাকি অফলাইনে দিবেন! অনলাইনে দিলে প্রডাক্টটি কোনো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দিবেন নাকি কোনো ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দিবেন, কোন শপিং মলে দিবেন নাকি কোনো রিটেইল স্টোরে দিবেন সেটা আগে সিলেক্ট করতে হবে। আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কোথায় আছে সেটা আগে খুঁজে বের করে সেই জায়গাটাতে আপনার প্রডাক্টকে Available করতে হবে। এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
Promotion: প্রমোশন নিয়ে জানার জন্য আমরা খুব কম সময় ব্যয় করি কিন্ত অনেকেই আবার অর্থ ব্যয় করি অনেক। আমাদের কেউ বলতেছে Boost করেন, আমরা Boost করতেছি। কেউ বলতেছে ভিডিও এড করেন, আমরা ভিডিও এড করতেছি। আসলে আপনার প্রপার একটা Communication Strategy থাকা উচিত। আপনার ব্রান্ডিং কিভাবে হবে , আপনার Positioning টা কিভাবে হবে, কাস্টমার Acquisition টা কিভাবে হবে, কাস্টমার Retention টা কিভাবে হবে, কাস্টমার সাপোর্টটাকে আরো Excellent কিভাবে করবেন, এই সবকিছুর জন্য একটা Organized Strategy ডেভেলপ করা খুবই ইম্পোর্টেন্ট। আর যদি অর্গানাইজড না করে , Integrated Communication Strategy ফলো না করেন তাহলে সেখান থেকে ভালো একটা রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব না।