এক ভদ্রমহিলা কেনাকাটা শেষ করে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে পেমেন্ট দেওয়ার জন্য ব্যাগ খুলতেই ক্যাশিয়ারের নজরে এলো তার ব্যাগে একটি টিভি রিমোট।
ক্যাশিয়ার কৌতুহলবশত জানতে চাইলেন, ম্যাডাম ব্যাগে টিভি রিমোট কি সব সময় থাকে?
মহিলা : না, মাঝে মধ্যে। আজ আমার হাজব্যান্ড ফুটবল ফাইনাল দেখবে বলে আমার সঙ্গে শপিংয়ে এলো না। তাই তাকে জব্দ করতে টিভি রিমোটটা ব্যাগে করে নিয়ে এসেছি!
শিক্ষা-১ : বউ এর তুচ্ছ বিষয়েও তাচ্ছিল্য করলে বিপদ।
ক্যাশিয়ার হাসতে হাসতে ভদ্রমহিলার এটিএম কার্ডটি ফেরত দিয়ে বলল, আপনার স্বামী ওনার সাপ্লিমেন্টারি কার্ডটি ব্লক করে দিয়েছেন!
শিক্ষা-২ : স্বামীর শখও স্ত্রীর কাাছে সম্মানযোগ্য।
মহিলা ব্যাগ থেকে এবার স্বামীর এটিএম কার্ডটি বের করে সোয়াইপ করলেন!
শিক্ষা-৩ : বউ-এর লম্বা হাতের সঠিক ধারণা থাকা দরকার।
ক্যাশিয়ার: ভদ্রমহিলাকে বললেন, সোয়াইপ মেশিন থেকে আপনার মোবাইলে একটা পিন নম্বর পাঠানো হয়েছে। সেটি বলুন?
শিক্ষা-৪ : বেচারা স্বামীকে বাঁচাতে মেশিনও চেষ্টা করে!
মহিলা (মুচকি হেসে) ব্যাগ থেকে স্বামীর মোবাইল ফোনটা বের করলেন এবং পিন নম্বরটা ক্যাশিয়ারকে জানালেন। বলাবাহুল্য, স্বামীর মোবাইল ফোনটি তিনি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন যাতে শপিংয়ের সময় স্বামী ফোনে বিরক্ত করতে না পারেন!
শিক্ষা-৫ : স্মার্ট ও ভদ্রমহিলাদের সাথে টক্কর দিতে নেই!
যাইহোক সব কেনাকাটা সেরে তৃপ্ত মনে ভদ্রমহিলা বাড়ি ফিরে দেখলেন, গ্যারেজে স্বামীর গাড়ি নেই! ঘরের দরজায় স্টিকারে লেখা : “বন্ধুর বাড়ি ফুটবল ফাইনাল খেলা দেখতে গেলাম। ফিরতে অনেক রাত হতে পারে। আর হ্যাঁ, কোনো দরকার থাকলে ফোন দিও।”
স্টিকারে লেখা পড়ে হতাশ হয়ে ভদ্রমহিলা ঘরের দরজার সামনে বসে পড়লেন। কারণ
বাড়ির চাবিটা স্বামীর কাছে আর স্বামীর মোবাইল ফোনটা ভদ্রমহিলার কাছে!
শেষ শিক্ষা : স্বামীর ওপর বেশি প্যাঁচ কষলে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকেও তার ফল ভোগ করতে হয়!একবার চোখ বন্ধ করে নিজের পাশে ঐ মানুষটাকে কল্পনা করে দেখুন,পৃথিবীটা কেমন বুঝে যাবেন।
কালেক্টেড কন্টেন্ট কিছুটা সংযোজন ও বিয়োজন করে লেখা।