মুলত এই গ্রুপের একটিভ মেম্বারদের কার্যক্রম ও তাদের একনিষ্ঠতা দেখে তাদেরকে মডারেটর বানানো নিয়েই বিরোধের সুত্রপাত।সেখান থেকেই বলা চলে একপ্রকার,
নানান ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ও কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষের আচরনে গ্রুপ ছিলো টালমাটাল।গ্রুপের রেসপন্স কমে যায় এবং গ্রোথটাও কমে যাচ্ছিলো।
গ্রুপের ক্রিয়েটর আমি এবং অনেকেই আমাকে মেন্টর মানে,গ্রুপকে ভালোবাসে বলেই এখানে থাকে।শুরু থেকেই আমার কাছে স্বচ্ছতার প্রাধান্য সবার আগে।তাই আমি নিজেই সিধান্তু নিলাম যে,নিজেকেই সবটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।নিজেকেই সময় বেশি দিতে হবে।
আমি একটা সময়ে ফেসবুকের দুইটা জনপ্রিয় গ্রুপে নিয়মিত লিখতাম,গ্রুপ দুইটি থেকেই আমার এত পরিচিতির সিংহভাগ এসেছে।আমার এইসকল অর্জনের অনেকটাই ঐ গ্রুপ গুলির হাত ধরেই এসেছে।তবুও সিধান্ত নিলাম- আমি ঐ গ্রুপগুলি ছেড়ে দিব,কারন- আমার লেখা কন্টেন্ট পড়তেই অন্তত ৫০০০ মেম্বার ঐ গ্রুপগুলিতে আছে।
আমি যখন ঐ গ্রুপ গুলিতে লিখি তখন তারা ঐখানেই পড়ে আর এখানে আসেনা।এছাড়া মুল কথা হলো- স্বচ্ছতা,আমি যখন স্বচ্ছতা পাইনি তখন নিজেকে সরিয়ে নিতে চেয়েছি।সিধান্তটা কঠিন ছিলো।কেননা ঐ গ্রুপ গুলি থেকেই আমার আর্নিং এর ৪০% আসতো অন্তত।
রাসেল এক বাক্যেই জানাই- তোর অন্যগ্রুপে লেখার কোন অর্থই নেই,কারন তুই নিজেই একটা সৃষ্টি।তুই চাইলে নিজেই একটা নতুন কিছু বানাতে পারিস।ওদের দুইজনের সিধান্ত আমার কাজটা সহজ করেছিলো।
এরপরে,অনলাইন জগতে আমি যাদের পরামর্শ আমি নিই সব সময় তারা হলেন-
Abida Khan Shompa আপু ও
Ferdousi Akhter আপু।ওনাদের সাথে আলোচনা করি।ওনারা লেখা চালিয়ে যেতে বলে পাশাপাশি ডি পি বি কে বড় করতে বলে।যদিও এক পর্যায়ে আবিদা আপু বলেছেন- তুমি যেটা ভালো বুঝবে সেটাই করো,কারন তোমার বিচক্ষনতা আছে।
এই সবার পাশাপাশি আমাকে সর্বদাই একজন স্পেশাল হিসাবে আখ্যায়িত করে-
রোকেয়া আক্তার প্রীতি আপু (আমার ছোট বোন,খালি গন্ডোগোল বাধিয়ে কান্না করে
),তিনি আমাকে বললেন- ভাই,সৌভিক একপিস ই হয়।একজন স্বচ্ছ ও বিচক্ষণ নেতাকে সবাই আশা করে।আমার অনলাইন ক্যারিয়ারে আপনার চেয়ে বেশি কোন আইটির কন্টেন্ট লেখক আমি পাইনি,আপনি সৎ এবং স্বচ্ছ মানুষ।আল্লাহ পাকের নামে নিজেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিন,আর নিজেই সেটা অর্জন করে নেন।তবে আপনি সেটা করবেন যেখানে আপনার সম্মান কে প্রাধান্য দেয়া হবে।অন্তত আপনাকে ব্যবহার করবেনা দিনের পর দিন।
এই কথাটা আমি তানিয়াকে (আমার স্ত্রী) নিয়ে বসে আলোচনা করি।সবশেষে ও বলে- তোমার সম্মানকে কোথাও ছোট করলে,সেখানে থাকার কোন মানে নেই।এতকিছু যেখানে দিয়েছো সেখানে তাদের কোন পদক্ষেপ আজও তোমায় নিয়ে নিতে দেখিনি।এখন আমি যতই বলি যে না,তুমজ লেখা চালিয়ে যাও,তবুও সেটা তুমি শুনবেনা।
ফাইনালি এপ্রিল২২,২০২২ থেকে আমি সকল জায়গা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে নিজের উপরে চ্যালেঞ্জ দিয়ে ডি পি বি কে নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম এবং উদ্যোক্তাদের কোথায় কোথায় ল্যাগ আছে বের করে সিলেবাস রেডি করলাম।
চালু করলাম উদ্যোক্তা কার্যক্রম (মেলার জন্য বন্ধ রেখেছিলাম,আবার শনিবার থেকে শুরু করবো ইনশাআল্লাহ)।এরপরে শুরু করলাম- অনলাইন ওয়ার্কশপ,৫ টা ওয়ার্কশপে ৪০০+ উপস্থিতি বোঝায় আসলেই উদ্যোক্তারা,সঠিক গাইডলাইন পেতে কতটা আগ্রহী।
এইভাবেই মেলা করার চিন্তাটা এলো,মুল উদ্দেশ্য ছিলো-
যেহেতু অনলাইন উদ্যোক্তারা তাদের পন্য সরাসরি দেখানোর সুযোগ পাইনা,তাই সেটা করে দেয়া
সবাইকে নিজের পন্য ও স্কিল সম্পর্কে ধারনা দেয়া
একটা মেলাতে যেহেতু অনেক উদ্যোক্তাদের সমাগম হয় এবং পাশাপাশি অনেক মানুষ আসে,তাই নিজেকে ও নিজের পন্যকে যাচাই করার সুযোগ হয়,সেটা করে দেয়া
পার্সোনাল ব্রান্ডিং আর প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং এর সুযোগ করে দেয়া।
প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারনা দেয়া
যারা মেলাতে অংশগ্রহণ করেছেন,তারা সকলেই ভালো জানেন যে,এখানে এইগুলি ঠিক কতটা করতে পেরেছি।মুলত আমি ও আমার টিম মেম্বাররা চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখিনি।এখন বাকিটা আপনাদের হাতে।
এত বড় একটা ইভেন্ট করতে গেলে কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকে হয়তো,সেটা থাকলে কিংবা কোন ত্রুটি থাকলে সেই দ্বায় একান্তই আমার এবং আমিই ক্ষমা চাইছি।আর যদি কোন প্রকার ক্রেডিট থাকে,তাহলে সেটার ভাগিদার আপনারা মানে অংশগ্রহণকারী ও আমার টিমের মেম্বাররা।
এত বড় একটা কর্মযজ্ঞ শেষ করতে পেরেছি,আলহামদুলিল্লাহ। এবার আমার ফেরার পালা।আমাকে ফিরতে হবে,শুরু করতে হবে সকলের ঈদের কাজ।
যদিও এই সময়ে কাজ অফ করিনি,সারাদিন মেলার কাজ করে এসে রাতে ১ টা থেকে অফিসের কাজ করেছি।এই তিনটা দিনে ছেলের সাথে কথা বলেছি মাত্র ৬/৭ বার।আব্বু-আম্মুর সাথেও কথা বলার সুযোগ পাইনি।শুধুই চেয়েছি একটা সফল অনুষ্ঠান।
অবশেষে আমি কাজ শেষ করেছি,এইবার বিচারের ভার আপনাদের হাতেই।
মেলার সাথে পরোক্ষ ও প্রতক্ষ্যভাবে জড়িত সবাইকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
বরাবরের ন্যায়- আমার টিমের মেম্বারদের সাথে তিনদিনে তুলতে পারা একমাত্র ছবি দিয়ে দিলাম।