ফলো ও লাইক বাটন যুক্ত করুন
আপনার যদি ব্যবসা সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট থাকে, তবে তাতে ফেসবুক পেজের ফলো ও লাইক বাটন যুক্ত করতে ভুলবেন না। যদি এমন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে আসে যে কিনা সাইটটি দেখে মুগ্ধ হয় কিংবা কোনও একটি লেখা পড়ে বিমোহিত হয়, তবে সে আপনার ফেসবুক পেজের লাইক বাটনে ক্লিক করে একটা লাইক দিতে পারে।
ওয়েবসাইট বা ব্লগে ফেসবুক পোস্ট অ্যামবেড করুন
শুধু লাইক বা ফলো বাটনই নয়, আপনার পেজটিকে ব্র্যান্ডিং করার আরো একটি ভাল উপায় হচ্ছে জনপ্রিয় কোন ফেসবুক পোস্টকে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে অ্যামবেড করা। এটা আপনার পেজকে ওয়েবসাইটের সঙ্গে কানেক্ট করার পাশাপাশি, পেজের ভিজিবিলিটি বাড়িয়ে দেবে।
কিভাবে অ্যামবেড করবেন?
অ্যামবেড করার জন্যে ভাল একটি পোস্ট বেছে নিন। দেখুন, প্রতিটি পোস্টের উপরের তিনটি ডট চিহ্ন রয়েছে। এই চিহ্নের উপর ক্লিক করলে যে ড্রপ ডাউন মেন্যু ওপেন হবে, ওখানে দেখবেন লেখা রয়েছে Embed যার উপর আপনাকে রাইট ক্লিক করতে হবে। এরপর, এই সিম্পল কোডটিকে কপি ও পেস্ট করতে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাক-এন্ডে, এইটিএমএল ভেতরে।
পেজের কোয়ালিটি মেনটেইন করুন।
যে কোনও ক্ষেত্রেই, হোক সেটা ব্যবসা বা অন্যকিছু, কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষত ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় প্লাটফর্মও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানেও আপনাকে টিকে থাকতে হলে, ভাল কিছু করতে হলে, অন্যদেরকে টপকাতে হলে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। জেনে নিন কিভাবে ফেসবুক পেজের কোয়ালিটি বজায় রাখবেন।
কোয়ালিটি কনটেন্ট আপলোড করুন
আপনার পেজ বিজনেস ওরিয়েন্টেড হলে নতুন ধরনের প্রোডাক্ট আনেন, ক্লায়েন্টের মতামত নেন। আর যদি বিজনেস ওরিয়েন্টেড না হয়, তাহলে আপনার পেজের ধরন অনুযায়ী ভালো ভালো কনটেন্ট পোস্ট করুন। ভালো পোস্ট শেয়ার হলে সেখান থেকেও আপনার পেইজে লাইক পাবেন।
মনে রাখবেন, আপনার পেজের অ্যাক্টিভিটির প্রায় পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার কন্টেন্টের উপর। কাজেই, এটার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, নিয়মিত কোয়ালিটি কনটেন্ট পোস্ট দিতে হবে এবং ইউজারদের অ্যাক্টিভিটির দিকে লক্ষ্য রেখে কোয়ালিটি বাড়ানোরও চেষ্টা করতে হবে।
ভাইরাল কনটেন্ট বানান
শুধু কোয়ালিটি মেনটেন করলেই হবে না, সেই সাথে কোয়ালিটিফুল পোস্টটা যাতে ভাইরাল হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কেননা, একটা ভাইরাল কনটেন্ট একটা পেইজের লাইক, রিচ, এনগেজমেন্টের বিপুল পরিবর্তন ঘটায়। এজন্য সমসাময়িক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মাঝেমধ্যে ভাইরাল কনটেন্ট বানাতে পারেন।
আবার, ভাইরাল কন্টেন্ট বানাতে গিয়ে কোয়ালিটি যাতে ফল না করে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। ভাইরাল টপিক চুজ করে কোয়ালিটি ধরে রেখে ভালো ভালো কনটেন্ট বানান। যদি কখনো ভাইরাল হয়, তাহলে আপনার পেইজের ফলোয়ার আকাশচুম্বী হয়ে যাবে।
পপুলার কন্টেন্ট পিন করে দিন
একটা ফেসবুক পেজে যত পোস্ট করা হয়, তার সবগুলোই কিন্তু জনপ্রিয়তা পায় না। অর্থাৎ, ইউজারের দৃষ্টি বা মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে না। তবে, হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় কোন একটি পোস্ট ইউজাররা এত বেশি পছন্দ করেছে যে, সেটিতে সবাই প্রচুর লাইক দিয়েছে। এমনকি, ভাল ভাল কথায় অনেকে অনেক কমেন্টও করেছে।
বুঝতেই পারছেন যে, এটি আপনার পেজের একটি পপুলার পোস্ট। এই পপুলার পোস্টটিকে পিন করে দিন। পিন করার কারণে এটি আপনার পেজের একদম উপরে দেখাবে। এতে করে ফেসবুকের সাধারণ ইউজারদের সঙ্গে আপনার ব্যবসায়ীক পেজের অ্যাংগেজমেন্ট বাড়বে।
এই পোষ্টে এই টুকুই রইলো, সকলেই নিজের পেইজে কাজ গুলি এপ্লাই করুন আজ থেকে।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এনাইলাসিস করে দেখুন কি ফলাফল আসছে।
আসুন সকলে পড়ে যা বুঝি তাই লিখে কমেন্ট করি এতে আপনার নিজের ই উপকার হবে।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো
Lipika Talukder
ও
Romana Rahman Urmi
আপু আপনাদের জন্য।
কাজ করছি লগো, ফেসবুক পেইজ, ই-কমার্স সাইট নিয়ে
Founder & CEO- ICT CARE & Easysodai