একটি কথাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, সব উদ্যোক্তাই আসলে এক গোয়ালের গোরু
(আরে মাইন্ড খাইয়েন না) – ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন।
ওনাদের আরো কিছু চিন্তার মিল আছে আর তা হলো, সপ্তাহে ৫/৬ দিন ৯টা-৫টা ঘড়ি ধরে কাজ করা সম্ভব না।
ভাবছেন আরে সত্যি তো আমি এমন ই ভাবি তাহলে তো আমি একজন সফল উদ্যোক্তা হয়েই যাবো।
জ্বী ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবেন আশা করছি।
কিন্তু,
এই সৌভিক ভাই এর সমস্যা ই হলো একটু করে কিন্তু রাখা।
আরে রাগ করেন না।
আসলে প্রকৃত উদ্যোক্তাদেরকে অন্য সকলের থেকে আলাদা করে তোলে।
যেনে নিই সেগুলি কি?
স্বাধীন কর্মই যার প্রথম পছন্দঃ
অনেক নারী-পুরুষের জন্য একটি ভালো বেতনের চাকরিই যথেষ্ট। এদের মধ্যে যারা আবার একটু উচ্চাভিলাষী,
বেকারত্ব এড়াতে তারা নিজেদের একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষভাবে পারদর্শী করে তোলেন।
এতে বিশেষ ক্ষতির কিছু নেই, নির্দোষ চাহিদা বলা যায়।
কিন্তু একজন উদ্যোক্তা অন্যের কাজ সম্পন্ন করে যতটা না তৃপ্তি লাভ করেন, তার চেয়ে
বেশী তৃপ্তি লাভ করেন নিজ কাজের সফলতায়। নতুন কিছু করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য
দরকার তীব্র মাত্রার আত্মবিশ্বাস। আপনার জীবনের লক্ষ্য আর ব্যবসার উদ্দেশ্য এক না হয়ে থাকলে
এগুলোর একটিকে অপরটির সাথে সম্পৃক্ত করুন। নতুবা, ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলার সমূহ সম্ভাবনা রয়ে যায়।
আত্নবিশ্বাসীঃ
নতুন কিছু করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য দরকার তীব্র মাত্রার আত্মবিশ্বাস।
আপনার জীবনের লক্ষ্য আর ব্যবসার উদ্দেশ্য এক না হয়ে থাকলে এগুলোর একটিকে অপরটির সাথে
সম্পৃক্ত করুন। নতুবা, ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলার সমূহ সম্ভাবনা রয়ে যায়।এই দলে আছেন তারা যারা
প্রচন্দ রকমের আত্নবিশ্বাসী। এরা সব সময় ভাবেন আমি এইকাজ টা অন্যের জন্য না করে নিজের
জন্য করলে আরো বেটার হতো।
রিক্স যে নিতে পছন্দ করেঃ
সাবধানতা অবলম্বনবশঃত ঝুঁকিগ্রহণ- একজন জাত উদ্যোক্তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য,
যা তাকে অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা করে রাখে। চাকরিজীবিরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন,
উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট রাখার প্রচেষ্টা নিয়েই তাদের দিনানিপাত হয়।
পক্ষান্তরে একজন উদ্যোক্তা সর্বদাই অবস্থানের পরিবর্তনের পক্ষপাতী,
এবং পরিবর্তন প্রায়শঃই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সুযোগ গ্রহণ, অনিশ্চয়তার প্রতি অদ্ভূত টান এবং ক্ষয়ক্ষতির
পরও নিজেকে সামলে রাখার ক্ষমতা একজন উদ্যোক্তাকে অনন্য ও অদ্বিতীয় করে তোলে।
স্বপ্ন ও আবেগ যার পছন্দের তালিকায়ঃ
একজন উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে, সফলতার চেয়ে আবেগের গুরুত্ব বহুলাংশে বেশী।
সফলতা সাধারণত ব্যক্তি-বস্তু-স্থানবিশেষে চরকির মত ঘূর্ণায়মান, কিন্তু একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার
পেছনে আবেগের ভূমিকাই সর্বাধিক। একজন ব্যবস্থাপক হয়তো সাপ্তাহিক বা মাসিক আয়-ব্যয় অথবা
লাভ-ক্ষতির সংখ্যার প্রতি বেশী মনোযোগী হয়ে থাকেন, অপরদিকে প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য
একজন উদ্যোক্তার কাছে প্রতিটি মুহূর্তই সমান গুরুত্বপূর্ণ
মানুষের কাছে যা অসাধ্য সেটাই তার জন্য ব্যাপার না টাইপ মনে হয়ঃ
একজন চাকুরীজীবীর সিদ্ধান্ত নির্ভর করে তার অভিজ্ঞতা ও বর্তমান প্রেক্ষাপটের ওপর।
অপরদিকে একজন উদ্যোক্তা অতীত ও বর্তমানের সকল নথি ব্যবহার করে থাকেন
মনমতো ভবিষ্যৎ গড়ার চাবিকাঠি হিসেবে। পূর্বতন সকল স্মারক ও প্রমাণ যদি কোনকিছুকে একদম অসম্ভব বলেও দাবী করতে চায়,
একজন উদ্যোক্তা সেগুলোকে বাধা হিসেবে না দেখে অসাধ্য সাধনের কোন না কোন রাস্তা খুঁজে নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে ধৈর্য্যের অভাব বা সিদ্ধান্তের ঝুঁকি তার কাছে কোন বাধা নয়।
কারন যুগান্তকারী পরিবর্তন রাতারাতি ঘটে না, অনেকগুলো ছোট পদক্ষেপ একসময় বড় পরিবর্তনে রূপ নেয়।
নতুন ব্যবসা চালু করা ও তা চালিয়ে যাওয়া, উভয়ের জন্যই চাই প্রচুর মনোবল ও আত্মবিশ্বাস।
নিজের ব্যবসায় নিয়ে যদি আপনি সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন, ভেঙ্গে পড়বেন না।
সফল উদোক্তাদের জীবন নিয়ে গবেষণা করুন, দেখবেন, একজন সফল উদ্যোক্তা কখনো মনোবল হারান না।