প্রাথমিকভাবে ই-কমার্সকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১.ব্যবসা থেকে ভোক্তা (Business to Consumer: B2C);
২.ব্যবসা থেকে ব্যবসা (Business to Business: B2B);
৩.ভোক্তা থেকে ব্যবসা (Consumer to Business: C2B);
৪.ভোক্তা থেকে ভোক্তা (Consumer to Consumer: C2C);
১.Business to consumer ই কমার্স
বিজনেস টু কনজ্যুমার ই কমার্স হচ্ছে অনলাইনে খুচরা বিক্রেতাদের সাথে ভোক্তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক।
মানে ই কমার্স এর যে পদ্ধতিতে ভোক্তা Ecommerceপণ্য ক্রয় করে তাকে বিজনেস টু
কনজ্যুমার ই কমার্স বলে।
আমরা যে কাজ টি করি সব সময় নরমালি সেটা এই তালিকাতেই পড়ে।
২.Business to Business ই কমার্স :
বিজনেস টু বিজনেস হচ্ছে এমন এক ধরনের ই-কমার্স সেবা মাধ্যম, যার মাধ্যমে পাইকারি ব্যবসায়ীর
পন্য অথবা সেবা খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের কাছে বেচাকেনা করা হয়। ই কমার্স ব্যবসা
কি তার অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে ই-কমার্স এর বিজনেস টু বিজনেস সুবিধা ।
মানে একজন পাইকারী ব্যাবসায়ী এর নিকট থেকে তার পন্যের সুবিধা নিয়ে অন্য খুচরা বিক্রেতারা যে ব্যাবসা করছেন সেটাই হলো বিজনেস টু বিজনেস।
৩.Consumer to Business ই কমার্স :
ভোক্তা থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত ই-কমার্স । যে ই-কমার্সে পণ্য সরাসরি ভোক্তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা
গ্রহণ করে তাকে ভোক্তা থেকে ব্যবসা বলা হয়। উদাহরণ: ধরুন আমি Anumita’s Attire এর হোম মেড জুয়েলারি নিয়ে আমার ওয়েবসাইট থেকে সেল করছি তাহলে সেটা হলো Consumer to Business।
৪.Consumer to Consumer ই কমার্স :
কনজিউমার টু কনজিউমার ই কমার্স হচ্ছে দুইজন ভোক্তা যখন ই-কমার্সের সেবার মাধ্যমে নিজেদের পণ্য
বা সেবা বেচাকেনা করে।
বাংলাদেশে কনজ্যুমার টু কনজ্যুমার ই কমার্স এর অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে
বিক্রয় ডট com
এখানে ভোক্তা তার নিজের পণ্য বা সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসপত্র অন্য ভোক্তা বা কনজ্যুমার
এর কাছে বিক্রি করতে পারে।