উৎসাহ: একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে
লিখতে গিয়ে আমার সাথে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার মধ্যে থেকে একটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেই ইচ্ছা হলো।
আমি শিক্ষক বলেই উতসাহ দেবার ব্যাপার টা আমায় অহরহ করতে হয় তবে সেটি ও খুব সাবধানতার সাথে।
স্যার আস সালামু আলাইকুম
আমি- পিছন ঘুরেই দেখলাম একটা ছেলে কিন্তু অচেনা আমি উত্তর নিলাম ওয়ালাইকুম আস সালাম।
স্যার আমি
Abdullah Noman
আপনি চিনবেন না আমাকে।
আচ্ছা নোমান সাহেব তাহলে আপনি আমায় খোজ করছেন যে।
স্যার আজ তো স্কিল কম্পিটিশনে অংশগ্রহনের ফর্ম জমা দেবার শেষ তারিখ
আমি- হ্যাঁ তাতে তো সমস্যা নাই বলেন।
নোমান – স্যার আমি আমার অসম্পূর্ন প্রজেক্ট টি নিয়ে ওমুক (নাম উহ্য রাখলাম)
স্যার এর কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু স্যার তো রিজেক্ট করে দিলো বললো এই প্রজেক্ট টি যদি দিই তাহলে জিতবো তো না ই উলটা আমাদের ডিপার্ট্মেন্টের সম্মান নষ্ট হবে।
আমি- আচ্ছা আসেন আমার অফিসে।
নোমান সাহেব এলেন আমি দেখলাম ওনার প্রজেক্ট
প্রজেক্টের পরিকল্পনা টা দারুন, আমি জিজ্ঞাস করলাম যে এটা শেষ করতে আপনার কত দিন লাগবে?
স্যার আমি যদি অংশগ্রহনের সুযগ পায় তাহলে ১৫ দিনের কাজ কিন্তু আমি রাত দিন খেটে হলেও ৩ দিনেই শেষ করে ফেলবো।
আমি- আচ্ছা আপনার অংশগ্রহন করতেই হবে এমন কেন মনে হলো?
নোমান- স্যার আমার ছোট থেকেই এই সব কাজের প্রতি ঝোঁক কিন্তু আমি না জিতলেও যদি অংশ
নিতে পারি তাহলে আমার সামনের দিনে কাজ করতে অনেক আগ্রহ তৈরি হবে আর আব্বু ও একটু খরচ দিতে রাজী হতো।
আব্বুকে সবাই বলেছে এসব করে নাকি কোন আকজেই আসে না।
আমি নোমান সাহেব কে বললাম মোবাইল নাম্বার টা দিয়ে যান।
সন্ধ্যায় আমি সব কমপ্লিট করে ওনাকে ফোন দিলাম উনি সালাম দিতেই আমি জানালাম কাজে নেমে পড়েন হাতে পাবেন ৫ দিন কাজ দেখাতে হবে ফাইনাল সাবমিশনে।
নোমান ঐ দিন রাতেই আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো আনন্দে, আমি আমার আবেগ চেপে শুধু বলেছিলাম দেখিয়ে দিতে হবে।
সেই ছেলেটিই আমার আগের একটা পোষ্টে বলা ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের আয়োজিত কম্পিটিশনে প্রথম হয়ে গেলো।
এটাই আমার কাছে উতসাহ দেবার অর্থ।