সফলতা কিন্তু দুই চারটা কথার ফুলঝুড়ি নয় যে মুখে বললেই হয়ে গেলো।
সফলতা এমনও নয়, যে পাহাড় কেটে নদী বানাতে হবে। সফলতা আসলে একটা ব্যতিক্রমী বিষয়। তার চেয়েও ব্যতিক্রমী বিষয় হলো আমাদের চিন্তা-চেতনা। মূলত এটাকে কে কিভাবে নেয় সেটাই মূল বিষয়।
একজন দোকানদারের একদিনে ১ হাজার টাকা আয় করা তার কাছে একটা যুদ্ধ জয়ের সমান। আর তার কাছে এটাই সফলতা। কারো কাছে এই ১ হাজার টাকাই আবার সামান্য কিছু। সফলতাটা আসলে একটি মনস্তাত্ত্বিক পরিতুষ্টির বিষয়। যেখানে একটা মানুষের প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রত্যাশার সার্থক বাস্তবায়নই তার কাছে সফলতা। সফলতা ঠিক যেমন ছোটো হতে পারে,আবার এর বিস্তৃতি হতে পারে আকাশ সমান। আমার কাছে কঠোর পরিশ্রমের পর কোনো একজনের স্বপ্ন পূরণ হবার ঘটনাটাই সফলতা। সফলতাটা মূলত কোনো একটি পরিশ্রমের পারিশ্রমিকস্বরূপ।
যেখানে প্রত্যাশিত কিছু একটা পাওয়ার জন্য কোনো একজন কলুর বলদের মতো পরিশ্রম করে দিনশেষে তার যথোপযুক্ত প্রাপ্যটা পায়। তার কাছে এটাই তার সফলতা।
বার বার অকৃতকার্য হওয়া ছাত্রটির কাছে টেনেটুনে কৃতকার্য হওয়াটাই হলো সফলতা। কিন্তু বর্তমানে মানুষ ভাবে ভিন্ন কিছু। আমাদের স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার। কিন্তু পরিশ্রমের বেলায় কারো খবর নেই। স্বপ্ন বাস্তবায়নে কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে আমাদের দেখা যায় না।
অথচ দিনশেষে এই মানুষগুলোই নিজেদের ব্যর্থ বলে জাহির করে। দিনে দিনে ব্যর্থতাটাও একটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়ে গেছে। যেখানে কেউই এই ব্যর্থতার দুর্নাম ঘোচাতে এগিয়ে আসে না। এক পা এগোয় তো দুই পা পিছিয়ে যায়।
অপেক্ষার প্রহর আর কঠোর পরিশ্রমের পর নিজের ধৈর্যের অগ্নিপরীক্ষা কয়জনই বা দিতে পারে? সফলতা তাদেরই পাওয়া উচিত যারা অন্তত ধৈর্যের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ইতিবাচক মন-মানসিকতা রাখে।
সফলতা অর্জনে শেষ লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের ধৈর্যশীল হওয়া উচিত। শূন্য থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিষয়টাকে একাধিক ভাগে ভাগ করে একটু একটু করে এগিয়ে গেলেই দিনশেষে সফলতা ধরা দেবে। ধৈর্যবান মেধাবী এবং পরিশ্রমীদের সফলতা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অনেক শোনালাম ঠোট কাটা কথা।
এখন কার মত এই টুকু ই।