টপিক- LinkedIn ঠিকভাবে ব্যবহার করার কিছু উপায় – (প্রথম খন্ড)
মানুষ সবার আগে যে জিনিসটি লক্ষ্য করবে তা হচ্ছে আপনার নাম। একটি ভুল অনেকের প্রোফাইলেই দেখা যায় – নাম ঠিকমতো না লেখা। যেমন কারো নাম যদি লেখা হয় ‘TASLIMA MUNIA’ – এভাবে পড়তে কিন্তু আরাম হচ্ছে না।
Taslima Alam Munia
আদ্যক্ষর বড় হরফে এবং বাকি অক্ষরগুলো ছোট হরফে – এভাবে পড়তে সহজ হয়। সূক্ষ্ম এই বিষয়টি অনেকে এড়িয়ে যান, কিন্তু এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ন।
কারণ এর মাধ্যমেই আপনার যোগাযোগ দক্ষতা, অর্গানাইজেশন, পেশাদারিতা – ইত্যাদি সম্পর্কে একটা ধারণা গড়ে উঠবে।
ছাত্রজীবনে লিংকডইন প্রোফাইল খোলা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেকেই তাদের প্রোফাইলে ক্লিয়ার করে লিখেন না তিনি কোন বিষয়ের ছাত্র/ছাত্রী বা তার দক্ষতা কিসে।
পরিচয়ে কেবল ‘Student’ না লিখে কোন প্রতিষ্ঠানে, কোন বিষয়ের উপর পড়ছেন, কোন বর্ষে আছেন সেগুলো উল্লেখ করুন, এবং নিয়মিত আপডেট করুন।
ছাত্র/ছাত্রীদের আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে – শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকভাবে লেখা আবশ্যক। যেমন কেউ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাহলে প্রোফাইলে ‘Dhaka University’ না লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল নাম ‘University of Dhaka’ লিখতে হবে।
এই ছোট বিষয় গুলি এড়িয়ে গেলেই তো বিপদ বাড়বে।
কারণ লিংকডইন একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম, এখানে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়।
ছাত্রজীবনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে না অনেকেরই। এজন্য অনেকেই অভিজ্ঞতার জায়গায় শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দিয়ে থাকেন। এগুলো মূলত ‘Education’ সেকশনে লেখা উচিত।
এবারে আসা যাক কর্মজীবীদের প্রসঙ্গে। মনে করুন আপনি এ পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন, কিন্তু লিংকডইন ফোকাস করবে কেবল একটি প্রতিষ্ঠানকে – সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠানে আপনি চাকরি করছেন বা করেছেন।
সুতরাং এই প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজ ও অর্জনগুলোকে ধাপে ধাপে সাজিয়ে স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন, গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য প্রেজেন্টেশন, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি যুক্ত করতে পারেন, এতে ভিউয়ার আপনার প্রতি আরো আকৃষ্ট হবে।
আস্তে আস্তে একজন উদ্যোক্তার জন্য সাজানো নিয়ে ও লিখবো এবং কিভাবে একাউন্ট খুলবেন সব টায় লিখবো।
ধৈর্য ধারন করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।