সফল হতে চাই না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টের ব্যাপার কিন্তু এই সফলতা
অর্জনের জন্য কষ্ট করতে চাওয়া মানূষের সংখ্যা কম, অনেকটা হাতে গোনা যাবে এমন।
আশায় বাঁচে মানুষ আর আপনারা পড়বেন ও আপনাদের কাজে আসবে
এমন ভেবেই লিখতে নামা আমার। চলুন দেখে নিই আজকের মুল অংশ।
লক্ষ্যকে ছোট করা-
ছোট লক্ষ্য তাড়া করে সফল হওয়া এই যুগে সত্যিকার অর্থে অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
আপনাকে অবশ্যই একটি বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে, তবে তা অবশ্যই বাস্তবসম্মত হতে হবে।
অবাস্তব লক্ষ্য ঠিক কর তা পূরণ করতে না পারলে আপনি হতাশ হবেন। আপনার বাস্তবসম্মত লক্ষটি
ঠিক করার পর তা বাস্তবায়ন করার জন্য বড় লক্ষটিকে ভেঙ্গে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।
ধরুন, আপনার একটি বড় লক্ষ্য আগামী ২ বছরের মধ্যে একটি অফিস বানাতে চান,
এই ক্ষেএে আপনার হাতে ২৪ মাস রয়েছে এবং প্রতি মাসের একটি লক্ষ্য ঠিক করুন
তারপরে সেটিকে সপ্তাহ ওয়াইজ সার্কেল করুন, এভাবে এগিয়ে যান।
পারফেক্ট হওয়ার চেষ্টা-
শতভাগ নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করে নিজেকে হতাশ করবেন না। আপনার মধ্যে দুইটি জিনিস আছে,
এক আপনার Strength, দুই আপনার Weakness। কখনও কখনও
Weakness সমাধান না করে Strength আরো বাড়ানো অনেক ভালো।
ধরুন, আপনি দারুন ভাবে নিজের আইডিয়াতে শাড়ি বা গহনা বানাতে পারেন
কিন্তু ভালো ছবি তুলতে পারেন না বা কন্টেন্ট লিখতে পারেন না বা আইটির কাজ পারেন না।
এখন আপনি এই গুলি শেখার জন্য সময় বেশি দিবেন বলে সিধান্ত নিয়ে কাজে নেমে গেলেন।
কিন্তু ঐ দিকে যেখানে আপনার Strength রয়েছে সেখানে সময় কম দিয়ে সেদিকে ক্ষতি করছেন।
মনে রাখতে হবে যে, সব বিষয়ে নিজেকে যোগ্য না করে আপনি যেই বিষয়ে ইতিপূর্বে যোগ্যতা অর্জন
করছেন সেই বিষয়ে নিজেকে আরো যোগ্য করে তুলুন।আর একই ভাবে অন্য
কাজে যিনি যোগ্য তাকে খুঁজে একটি টিম হিসাবে কাজ করুন।
সফল হতে চাইলে ভাগ্যে নির্ভরশীলতা ত্যাগ করুন-
আমার ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। এই রকম বাক্য আপনাকে হতাশ করতে পারে।
আমরা কেউ আমাদের ভাগ্যে পরিবর্তন করতে পারব না তাই বলে কাজ না করে ভাগ্যের উপর
আমাদের ভবিষ্যৎ ছেড়ে দিলে কখনই সফলতা আসতে পারে না।
মনে রাখুন, ভাগ্য যেমন কেউ পরিবর্তন করতে পারে না ঠিক তেমন ই মানুষ নিজের তার ভাগ্যের নির্মাতা।
অন্যের কথা শোনায় অনীহা-
আমাদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বাস করে সফল হতে চাইলে নিজ বুদ্ধিতে চলতে হবে এবং
অন্যের কোন কথা শোনা যাবে না। আসলে এই বিষয়টা ঠিক না।
আপনি অন্যের কাছ থেকে বুদ্ধি পরামর্শ নিবেন কিন্তু সকল সিদ্ধান্ত নিজেই নিবেন,
এতে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া কমে যাবে।
অনেকে আবার গাইডলাইন ফলো করেন না এই ভেবে যে এতে কি আমার উপকার হবে?
জেনে রাখুন, যারা আপনাকে ভালো করতে চাইবে নিঃশর্ত ভাবে তাদের কে খুঁজে বের
করাটাই চ্যালেঞ্জ, তাদের কথা শুনে কাজ করাটা চ্যালেঞ্জ নয়।
সফল হতে চাইলে নেগেটিভ মানুষদের সাথে চলা বন্ধ করুন-
একটি প্রবাদ আছে এই রকম যে, “সৎ সঙ্গে সর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ”।
এই প্রবাদ শতভাগ সঠিক।
অসৎ সঙ্গ এবং নেতিবাচক চিন্তার মানুষেরা আপনাকে কখনই সফল হতে দিবে না।
আমাদের আশে পাশে অনেক মানুষই আছে যারা সব কিছুতেই দোষ খুঁজে, সব কিছুতেই নেতিবাচক চিন্তা করে।
এই রকম মানুষের সাথে আপনি যত বেশি মিশবেন ততই তাদের মত চিন্তা করা শিখবেন।
আপনি হয়ত ভাবতে পারেন আপনি নিজে ইতিবাচক থাকবেন এবং তাদেরকেও ইতিবাচক করতে পারবেন যা
আসলে অনেকটাই কঠিন। তাই কোন ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে সকল নেগেটিভ মানুষদের সাথে চলা বন্ধ করে দিন।
অতীতে প্রাধান্য না দেয়া-
যেই দিন চলে গেছে সেই দিন আপনি আর কোন দিনই ফেরত পাবেন না।
সামনে কি হবে আপনি তা জানেন না, তাহলে আপনার সামনে একমাএ পথ খোলা আছে এই বর্তমান।
অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে কাজ করুন তাহলেই ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে।
কমফোর্ট জোন থেকে বের হতে হবে-
আমাদের মধ্যে অনেকই গোড়ামি করে কমফোর্ট জোনে থাকতে চায়। নতুন কিছু গ্রহন করতে পারে না এবং
সকল ধরনের পরিবর্তনকে ভয় পায়।পরিবর্তনকে এড়িয়ে যেতে পারবেন কিন্তু এগিয়ে যেতে পারবেন না।
সফল হতে চাইলে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, কমফোর্ট জোনের বাইরের জীবনই আসল জীবন।