না বলতে পারাটা খুব জরুরী,’না’ বলতে শিখুন

সর্বকালের সেরা একজন উদ্যোক্তা ওয়ারেন বাফেট এর একটি বিখ্যাত উক্তি ছিল, “সাধারণ সফল আর অসাধারণ সফলদের মধ্যে পার্থক্য হল, অসাধারণ সফলরা প্রায় সবকিছুকেই ‘না’ বলে”।
”প্যারেটো প্রিন্সিপাল” বা ৮০/২০ প্রিন্সিপাল অনুযায়ী, ২০% কাজের ওপর মানুষের ৮০% সাফল্য নির্ভর করে। অসাধারণ সফল উদ্যোক্তারা কোনও সুযোগ সামনে আসলেই তা লুফে নেন না। তাঁরা জানেন, বেশিরভাগ কাজে হাত দিতে গেলে তাঁদের মূল কাজটাই করা হবে না। তাঁরা শুধু সেই কাজগুলোই করেন, যেগুলো তাঁদের মূল লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। বাকি সব কিছুকেই তাঁরা না বলেন। সঠিক ভাবে বিবেচনা করে ’না’ বলতে শেখা সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র হিসেবে খুবই জরুরী।
আমাকে অনেকেই বলেন, ভাইয়া এই কাজটা নিলে তো আপনার লস হতো না, আপনি বই লেখার জন্য ৩ দিন কাজ নেন নি, মিটিং এটেন্ড করেন নি, এতে কি লস হলো না?
আমার কাছে বই লেখার গুরুত্বটা বেশি ,তাই আগে এটা করেছি, আর কাজ? যদি আমি যোগ্য হই,তবে অবশ্যই ঐ মানূষ তিন দিন অপেক্ষা করে আমার কাছেই আসবে।
লেখক, সাংবাদিক, ও গবেষক কেভিন ক্রুজ সফল উদ্যোক্তাদের কাছে এই প্রশ্নটি করেছেন যে, আপনার সফলতার পিছনে প্রধান কারন কি?তবে তিনি বই লেখেননি। বর্তমান সময়ে জীবিত ২০০ জন সফল মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। যাঁদের বেশিরভাগই সফল উদ্যোক্তা, এর মধ্যে রিচার্ড ব্র্যানসন, ওয়ারেন বাফেট সহ ৭জন বিলিওনেয়ার আছেন।
তিনি সবাইকেই খুব সাধারণ একটি প্রশ্ন করেছেন: ”আপনার অসাধারণ প্রোডাক্টিভিটি বা কর্মক্ষমতার পেছনের ১ নম্বর কারণটি কি?”
অনেকেই অনেক রকম বলেছেন, আর সেই আলোকেই ১২ টি পয়েন্ট আমি আগেই বলেছি,সেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে কিন্তু – “না” বলতে পারাটা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *