পড়ালেখা আর করবো না, এখন শুধুই চিল হবে !

সফল উদ্যোক্তা হওয়া, বা অন্য যে কোনও বিষয়ে সফল হওয়ার জন্য ফাঁকি বা ঢিলেমি বাদ দেয়াটা একটি জরুরী মূলমন্ত্র। ঢিলেমির কুফল খুবই ভয়াবহ। বহু প্রতিভাবান ও দক্ষ মানুষ শুধুমাত্র এই ঢিলেমি বা কাজ ফেলে রাখার কারণে জীবনে ব্যর্থ হয়েছেন।
সাধারণ মানুষদের মত, সফল মানুষদেরও ইচ্ছা হয় কাজ ফেলে বিশ্রাম নিতে, মুড না থাকলে একটু জিরিয়ে নিতে, প্রিয় সিনেমা বা টিভি সিরিজটা রিলিজের দিনই দেখে ফেলতে – ইত্যাদি। কিন্তু তাঁরা এইসব ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখেন, কারণ তাঁরা জানেন, কাজ ফেলে রাখলে বা ঢিলেমি করলে ভবিষ্যতে কি হবে।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, তাঁরা কি জাদু জানেন, অথবা টাইম ট্রাভেল করতে পারেন, নাকি ভবিষ্যৎ দেখতে পারেন?
এর কোনওটাই নয়। তাঁরা এমন একটি ক্ষমতা কাজে লাগান, যা প্রতিটি মানুষেরই আছে। তা হল, যুক্তি দিয়ে বিচার করতে পারা, এবং কল্পনা করতে পারা।
যখনই তাঁদের ঢিলেমি করার ইচ্ছা হয়, তাঁরা কল্পনা করেন যে, ঢিলেমি করে কাজ ফেলে রাখলে ভবিষ্যতে তাঁদের কি কি ক্ষতি হতে পারে। হয়তো সময়মত কাজ শেষ না করতে পারলে অনেক দিনের কাজ করা প্রজেক্ট হয়তো সময়মত জমা দিতে পারবেন না। হয়তো ক্লায়েন্টের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে, অথবা সময়মত প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিতে না পারায় বিরাট লস হতে পারে – ইত্যাদি।
একটু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলেই, কাজ ফেলে রাখার কুফল গুলো ভাবতে পারা যায়। আর এগুলো কল্পনা করলে এমনিতেই আপনার এড্রিনলিন হরমোন কাজ করা শুরু করবে। যার ফলে নিজের প্রাকৃতিক বেঁচে থাকার প্রবণতা বা “সারভাইভাল ইন্সটিংকস” থেকেই আপনি আবার কাজ করা শুরু করবেন। – এড্রিনলিন হরমোন সাধারণত বিপদের মুখে, বা চ্যালেঞ্জের মুখে মানুষকে এ্যাকটিভ করে।
আমাদের ব্রেন যেহেতু কল্পনা ও বাস্তবে একই রিএ্যাকশন দেখায়, সেহেতু কাজ না করার বিপদ কল্পনা করলে, এমনিতেই ভেতরে কাজ করার তাগিদ তৈরী হবে। সফল মানুষরা সচেতন ভাবে বা অবচেতন ভাবে এটাকে নিয়মিত কাজে লাগান। আপনিও চেষ্টা করুন।
যদি এই সবে কাজ না হয়, তাহলে নিজের পছন্দের কাজ টা করেই ফেলুন।কিন্তু সেটাও হোক লিমিট রেখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *