মজার ব্যাপার হল, প্রতিটি ক্ষেত্রেই সব ধরনের মানুষ দরকার হয়। একটি ব্যবসা চালাতে গেলে যেমন হিসেবে পাকা লোক দরকার, তেমনি দরকার ক্রিয়েটিভ আইডিয়াবাজ, ঘন্টার পর ঘন্টা খাটনি করা কর্মী – এমন সব ধরনের লোক নিয়েই একটি টিম বা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। আপনার স্বপ্ন যেটাই হোক না কেন – আপনার কোনও না কোনও ট্যালেন্ট সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের কাজে লাগবে।
এমনকি শুধু মানুষের সামনে কথা বলার সাহস একটি বড় ট্যালেন্ট, আবার শরীরে অনেক শক্তি থাকাও এক প্রকার ট্যালেন্ট।
নিজের সত্যিকার ট্যালেন্ট খুঁজে বের করার জন্য নিজেকে প্রশ্ন করুন, “কোন কাজটি করতে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি?”, “কোন কাজে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিলেও কিছু মনে হয় না (অবশ্যই কাজের কাজ, টিভি দেখা বা গেম খেলা কোনও কাজ নয়), “কোন কাজ করে আমি সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পেয়েছি?”
আপনি হয়তো ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন – কিন্তু কোন বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবেন – তা এখনও বুঝতে পারছেন না। ভেবে দেখুন তো,আপনার কি মোশনের কাজ দেখতে ভালো লাগে,নাকি আপনার কোন সফটওয়্যারের ব্যাকএন্ড টা জানতে আগ্রহ কাজ করে, নাকি আপনার নানান রকম ক্রিয়েটভ কিছু বানাতে মন চাই? – মোশন হলে,মোশন গ্রাফিক্সে যান, সফটওয়ার হলে প্রোগ্রামিং এ যান, এর নতুন নতুন ডিজাইন হলে গ্রাফিক্সে যান। এভাবে যে কোনও ক্ষেত্রে একটু চিন্তা করলেই নিজের ট্যালেন্ট আর আগ্রহের ব্যাপারটা বের হয়ে আসে।
যে কাজ করে আপনি আনন্দ পান, যে কাজ করতে গেলে আপনার কষ্ট হলেও খারাপ লাগে না, যা করতে গিয়ে অন্যদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছেন – সে কাজেই সাধারণত আপনার মূল ট্যালেন্ট লুকিয়ে থাকে।