আপনার কি কখনও এমন হয়েছে যে, আপনি বুঝতে পারছেন আপনি সঠিক পথে নেই? আপনার আরও এ্যাকটিভ হওয়া দরকার? আপনি সময়ের কাজ সময়ে করছেন না?
কখনও কি এমন হয়েছে যে, আপনি প্রতিদিন চিন্তা করছেন যে, কাল থেকে সময়ের কাজ সময়ে করবেন, আর বাজে কাজে সময় নষ্ট করবেন না – কিন্তু তারপরও কিছু হচ্ছে না?
আপনার কি মাঝে মাঝেই নিজের ওপর রাগ হয়? সব বুঝেও কি ঠিক কাজটা করতে পারছে না?
উপরের প্রশ্ন গুলির উত্তর যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে কটু এই কন্টেন্ট আপনার জন্য।
৫ সেকেন্ড রুল কাদের জন্য?
৫ সেকেন্ড রুল আসলে সবার জন্য। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্বিধাদ্বন্দ, সন্দেহ, আত্মবিশ্বাসহীতা, অনিশ্চয়তা, ভয়, দীর্ঘসূত্রিতা – ইত্যাদির সাথে লড়াই করে জেতার একটি অভিনব পন্থা এটি।তাই যাদের এগুলি চাই তাদের সকলের জন্য এই ৫ সেকেন্ড রুল।
৫ সেকেন্ড রুল এর সবচেয়ে দারুন দিক হল, এই পদ্ধতিটি ভয়ঙ্কর রকম সহজ। অনেক সময়ে বিশ্বাসই হতে চায় না, এত সহজে কিভাবে জীবনের এত বড় বড় সমস্যা গুলো সমাধান করা সম্ভব। শুধুমাত্র ৫ থেকে ১ পর্যন্ত গুনেই অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান সম্ভব।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না? – না হওয়াটাই স্বাভাবিক।
৫ সেকেন্ড রুল আসলে কি?
এটি আসলে ‘সাহসের কাজটি করে ফেলা’। ভয় সবারই লাগে। ভয়কে জয় করে সঠিক কাজটি করাই আসলে সাহসের পরিচয়।
সাহসের সংজ্ঞা দিতে দিয়ে এই বই এর লেখিকা বলেছেন : “ভয় পাওয়ার পরও কঠিন কাজটি করার জন্য পদক্ষেপ নেয়াটাই মূলত সাহস। নিজের আইডিয়া শেয়ার করা, সত্যি কথা বলা, অসম্ভব মনে হওয়ার পরও কোনও কাজে হাত দেয়া। এমনকি আরামের ঘুম বাদ দিয়ে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতেও সাহস লাগে”।
যদি কোনও কাজ করার কথা মনে আসে, তবে সেটা ৫ সেকেন্ড এর মধ্যে শুরু করতে না পারলে, আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে সেই কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবে। মনের মধ্যে নানান রকম অজুহাত তৈরী হয়।
“যদি কোনও জরুরী কাজের কথা মনে হয়, যেটা একটু কঠিন, আপনাকে ৫-৪-৩-২-১ গুনে সাথে সাথে কাজটি করার উদ্দেশ্যে জায়গা ছেড়ে নড়তে হবে – না হলে আপনার মস্তিষ্ক বেশিরভাগ সময়েই আপনাকে থামিয়ে দেবে”
আপনি জানেন আপনার এখন কাজে দরকার, কিন্তু আপনার মুড নেই। আপনাকে এই অবস্থায় ৫ থেকে ১ পর্যন্ত গুনতে হবে। তারপর সাথেসাথে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থা থেকে সরে গিয়ে কাজের জন্য কাগজ কলম নিয়ে বসতে হবে। কোনও রকম চিন্তা করা যাবে না। একবার কাজ শুরু করে দিলে মস্তিষ্ক তখন আর আপনাকে থামাতে চাইবে না, বরং কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে সাহায্য করতে শুরু করবে।
মানুষের মস্তিষ্কের ডিজাইনই এমন যে, সে মানুষকে কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে চায়। কিন্তু অনেক সময়ে কষ্ট না করলে আরও বড় কষ্টের সম্ভাবনা থাকে।