কমফোর্ট জোন থেকে বের হতে চাইলে- রুটিনে পরিবর্তন আসুক,নিজেকে একটু সময় দিন, শুধুই একা
নিজেকে সময় দিন- শুধুই একা
কমফোর্ট জোন থেকে বের হওয়ার অভ্যাস করার জন্য এটি দারুন একটি প্রাকটিস। নতুন জায়গায় একা একা ঘুরতে গেলে আপনাকে বাধ্য হয়েই নতুন নতুন মানুষের সাথে কথা বলতে হবে, নিজের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে, খাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সব প্রয়োজন মেটাতে হবে।
এতে করে আপনার একদম নতুন কিছুর সাথে ডিল করার অভ্যাস হতে থাকবে। কথায় বলে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে হলে আগে ছোট ডোবায় সাঁতার শিখতে হয়। আপনি যখন নতুন কোনও জায়গায় একা বেড়াতে যাবেন – তখন সেটি হয়তো আপনার নতুন ব্যবসা শুরু করা, অথবা নতুন বিষয়ে পড়াশুনা শুরু করা, বা নতুন অভ্যাস গড়ে তোলার সাথে সরাসরি জড়িত নয় – কিন্তু এর ফলে আপনার মস্তিষ্ক নতুন বিষয়ের সাথে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
এই বিষয়টি কিছুদিন প্রাকটিস করলে দেখবেন যে কোনও নতুন বিষয় চেষ্টা করতে গেলেই আর আগের মত উদ্বেগ লাগছে না। এভাবে যে কোনও ব্যাপারেই কমফোর্ট জোন থেকে সহজে বের হয়ে আসতে পারবেন।
রুটিনে আসুক পরিবর্তন
একজন মানুষ যদি নিয়মিত একটি রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন তার পক্ষে নতুন কিছু চেষ্টা করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। সুযোগ পেলে মাঝে মাঝে রুটিনে একটু পরিবর্তন আনুন।
প্রতিদিন যে রাস্তা দিয়ে অফিসে/কলেজে/বিশ্ববিদ্যালয়ে – বা অন্য কোথাও যান – সেই রাস্তাটি মাঝে মাঝে পরিবর্তন করুন। সবচেয়ে ভালো হয় একটু আগে আগে বেরিয়ে নিজের চেষ্টায় নতুন কোনও রাস্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা। পথ হারিয়ে ফেললে রিকশা বা অন্য যানবাহন তো আছেই।
এছাড়া রান্না করতে না জানলে রান্না করার চেষ্টা করা, বা এই ধরনের ছোটখাট না পারা কাজ নিজে করার চেষ্টা করা আপনার মস্তিষ্ককে বড় বিষয় চেষ্টা করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।
আমি এই কাজগুলি করি নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য।
এক্সপেরিমেন্ট করেই এই সিরিজটি লিখেছি আপনাদের জন্য।আর এই পর্বটিই কমফোর্ট কোনের শেষ পর্ব ছিলো।