সর্বপ্রথম দেখুন, গুগল আপনার সম্পর্কে কী বলে? যুক্তরাজ্যের ফ্যাশন ইউনাইটেড ম্যাগাজিনের সাংবাদিক মার্জোরি ভ্যান এভলিনের এক আর্টিকেল মোতাবেক, ৭০% নিয়োগকর্তা আপনার সম্পর্কে জানতে গুগল ব্যবহার করেন আবার ৭০% নিয়োগের প্রাথমিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলগুলো পর্যালোচনা করা হয়।
আপনার নাম লিখে খুঁজলে গুগলে প্রথমে কী আসে? আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক বা আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইল? গুগল ইমেজ ট্যাবে ক্লিক করুন, আপনি যে ছবিগুলি দেখছেন, সেগুলো কি আপনি একটা পেশাদার প্লাটফর্মে দেখাতে চান? আবার এমন না তো যে, গুগলে আপনাকে একেবারেই দেখা যাচ্ছে না বরং একই নামের অন্য কাউকে দেখাচ্ছে?
গুগল আপনার যেরকম ইম্প্রেশন সৃষ্টি করে, তা যদি আপনি আপনার পেশাদার জীবনে না চান তাহলে এখনই পার্সোনাল ব্র্যান্ড-এর কাজ শুরু করতে হবে।
এবারে দেখুন আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করছেন।
ফেসবুক আমরা অনেকটা খুব খেয়ালীভাবে ব্যবহার করি। যেকোনো কিছু নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ, রাজনৈতিক কথাবার্তা, নিজের ক্যাজুয়াল সেলফি কিংবা হাস্যরসাত্মক কোনো লেখনী, সবই আমরা ফেসবুকে খুব অকপটে পোস্ট করে ফেলি।
সম্ভাব্য গ্রাহক, অংশীদার, বিনিয়োগকারী বা নিয়োগকারীরা যখন এই ছবিগুলো এবং আপডেটগুলো দেখে কী চিন্তা করে তা ভাবার সময় এসেছে।
কিন্তু যেহেতু ফেসবুক আসলে ক্যাজুয়ালিটি বাদ দিয়ে ব্যবহার করা কঠিন তাই পেশাদার জীবনের জন্য আলাদা একটা অ্যাকাউন্ট রাখতে পারেন।
এরপর আসে লিংকডইন। আপনার প্রোফাইল কি আপ-টু-ডেট আছে? কী ধরনের পোস্টে কী ধরনের কমেন্ট করছেন আপনি? নিষ্ক্রিয় এবং নেতিবাচক লিংকডইন প্রোফাইল অনেক খারাপ ইম্প্রেশনের সৃষ্টি করে।
কোনো সম্ভাব্য নিয়োগকর্তা বা গ্রাহক আপনাকে অনলাইনে খুঁজলে কী পান? তার ভিত্তিতে আপনাকে কী ভাবেন? এটা চিন্তা করুন এবং আপনি যে যে পরিবর্তন করতে চান তা নোট করুন।
অফলাইনে অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে তা নির্ধারণ করা কিছুটা কঠিন। আপনার সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব, ব্যবসায়িক সহযোগী এবং প্রাক্তন গ্রাহকদের জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করুন তারা কীভাবে অন্যের কাছে আপনাকে বর্ণনা করে। দেখুন যে আপনি আপনার যেসব বৈশিষ্ট্যে জোর দিতে চান, সেগুলো তারা উল্লেখ করছে কিনা। তবে এ ক্ষেত্রে সবসময় সৎ থাকুন। কারণ আপনি নিজে যেমন না, তেমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলে মানুষ বেশিরভাগ সময়ই তা বুঝতে পারে। এই ব্যাপারটা খুব ইতিবাচকভাবে নেয়া হয় না।
অফলাইনে শারীরিক উপস্থাপনাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সবসময় অগোছালো থাকলে কিংবা দৃশ্যমান ট্যাটু বা এধরনের কিছু থাকলে অনেকেই তা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে না। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে চোখের দেখায় একটা মানুষকে বিচার করে আর পরে তার গুণ দেখে।
নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় বোধহয় এসেছে