পার্সোনাল ব্রান্ডিং- অনলাইনে নিজের উপস্থিতিকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলুন, এবংন পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল অবলম্বন করুন।
কষ্ট করে এতো সব কিছু (আমার আগের কন্টেন্টে যা বলেছি) করার পরে আপনি যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে যান তাহলে সব বিফলে যাবে। তাই সক্রিয় থাকতে নির্দিষ্ট সময় পর পর আপনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাল লেখা বা ভিডিও আপলোড করতে থাকুন।
এই পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে, পরিচিতি মানুষদের সাথে যোগাযোগে বজায় রাখুন। বিভিন্ন ইভেন্টে গিয়ে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে কথা বলুন এবং নিজের পরিচিতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করুন। অনেকেই ইভেন্টে যোগ দিতে নানান অজুহাত খুঁজে বেড়ান,কিন্তু এটা বোঝেন না যে, সামনাসামনি দেখা করে এবং কথা বলে যে মার্কেটিং ও নেটওয়ার্কিং তৈরি হয় সেটা কোনভাবেই অনলাইনের মাধ্যমে তৈরি হয়না।
অনেকে নেটওয়ার্কিং করতে অস্বস্তি বোধ করে, কিন্তু যখন খেয়াল করবেন যে মানুষের সাথে একটু কথা বললেই জড়তা কেটে যাচ্ছে, তখন আর অস্বস্তি লাগবে না। চেষ্টা করুন অন্যদের সাহায্য করার, এতে মানুষও আপনাকে সাহায্য করবে।
সবশেষে, আপনি যেখানেই (অনলাইন, অফলাইন) বা যেভাবেই পার্সোনাল ব্র্যান্ড করেন না কেন, মাথায় রাখবেন যাতে আপনার সব পোস্ট আপনাকে নিয়ে একই বার্তা প্রেরণ করে।
নিজ নিজ প্রয়োজন মোতাবেক, বিভিন্ন উপায়ে সুগঠিত পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরি করা যেতে পারে তবে আমার কন্টেন্টে দেয়া এই সাতটি ধাপ অনুসরণ করলে প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে যায় এবং এর কার্যকারিতার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
পার্সোনাল ব্র্যান্ড-এর ধারণাটি যখন একদম নতুন এবং যখন মানুষের এ নিয়ে ধারণা কম ছিল, তখন ব্র্যান্ডিং করতে গিয়ে সবাই বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এমন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরি করার উদ্দেশ্যে বছরের পর বছর অনেক সময় এবং শ্রম দিয়ে সফল হয়েছে।
কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে, চাইলেই আপনি অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সহজেই নিজের ব্র্যান্ডিং করে ফেলতে পারেন। আর আপনাকে সাহায্য করার জন্য সাতটি ধাপ তো আছেই।
তবে আর দেরি কেন? শুরু করে দিন নিজেই নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করা!