ডিজিটাল স্কিলস এন্ড বাংলাদেশ গ্রুপে আজ আমার এক বছর হলো, অথচ আমি আজ এখন পোষত দিতে বসেছি কেন?
আজ থেকে এক বছর আগে আমি এই গ্রুপে প্রথম একটি পোষত দিয়েছিলাম- একজন ই-কমার্স উদ্যোক্তার কি কি দিকে খেয়াল রাখা উচিত এটা নিয়ে। আমি তখন দিনে একটাই পোষ্ট দিতাম, আস্তে আস্তে চাহিদা বেড়েছে লেখার তাই সংখাও বেড়েছে। আর আজ প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে অনেককিছু সেসব নিয়ে ব্যাস্ততার জন্যই ভাবলাম আমার আজ একটা পোষ্টই লেখা উচিত।
গ্রুপে জয়েন করেছিলাম জুলাই এর ১৩ তারিখ, দুইদিন ভালো করে গ্রুপে শুধু নিয়ম আর মানূষের পোষ্ট পড়ে কাটায়।
ভাবলাম আমার তো এই আইটি নিয়েই সারাদিন কাটে, তাহলে আমি হয়তো এটা নিয়েই লিখতে পারি। আমার মুল কাজ একই সাথে লেকচার শিট রেডি করা ও ব্লগসাইটের কন্টেন্ট পাশাপাশি অন্যকে শেখানোো হয়ে যাবে,তাই আমার হয়তো পোষ্ট করা উচিত।
প্রথম পোষ্ট জুলাই এর ১৫ তারিখ।
পোষ্টে লাইক কমেন্ট একেবারেই ছিলো না বলা যায়।কিন্তু নতুন ৪/৫ জনের কমেন্ট দেখে মনে হলো নাহ আমার লেখা টা মনে হয় কারো উপকারে আসছে।
তারপরে কন্টেন্ট রেডি করে আবার আমি একটা পোষ্ট করি, সেটাতে আবার কিছু লাইক কমেন্ট আসে। আমি কখনোই লাইক কমেন্ট নিয়ে ভাবি নাই। শুধু চেয়েছি নিজের কাজ টা সঠিক ভাবে করতে।
আস্তে আস্তে নিয়মিত হতে থাকলাম। লিখতে শুরু করলাম আমার কাজ গুলিকে ঘিরে
- ই-কমার্স উদ্যোক্তার কাজ
- এফ-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা
- লগো সিরিজ
- ব্যানার সিরিজ
- বিজনেস কার্ড সিরিজ
- ই-কমার্স সিরিজ
- এফ-কমার্স সিরিজ
- উদ্যোক্তা লাইফ সিরিজ
- স্বপ্ন যখন উদ্যোক্তা হবো সিরিজ
- ব্যাবসাইয় শিক্ষা সিরিজ
- সেল জেনারেট সিরিজ
- ফেসবুক টিপস
- গুগল সিরিজ
- ইমেল সিরিজ
- কন্টেন্ট রাইটিং সিরিজ
- ওয়েব সাইট সিরিজ
- ফেসবুক পেজ সিরিজ
- সেলফ ডেভলপমেন্ট
- মোটিভেশনাল পোষ্ট
- উদ্যোক্তা গাইডলাইন
- পডকাষ্ট
- উদ্যোক্তার সফলতা ও ব্যার্থতার কারন
- কাষ্টমার ফিডব্যাক
- কাষ্টমার সাপোর্ট সিরিজ
- পার্সোনাল ব্রান্ডিং
- নিজেকে প্রেজেন্ট করা থেকে শুরু করে নিজের রুটিন
- পেজ বুষ্ট ও পোষ্ট বুষ্ট সহ প্রায় সকল আইটি সেক্টর কে টার্গেট করে লিখছি আমি যা এখনো চলমান।
এর মাঝে দেখতে দেখতে দিন চলে গেছে ৩৬৫ টি আর আমার প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে ১০০০ টির মত পোষ্ট আর অন্তত ১৫,০০০ আলাদা আলাদা পাঠক। যারা আমার বিভিন্ন পোষ্ট পড়েছেন সময়ে অসময়ে।
এই সময়ে আমি শেষ করেছি ১০ মিনিট রাইটিং স্কিল পোষ্ট ১২২ টি, রিডিং সিলেবাস শেষ করেছি আলহামদুলিলাহ। লিখছি নিজের জেলাকে নিয়ে উপস্থাপন করছি সেখানে জেলার সবকিছুকে।
এই পড়ার প্রতিফলন আমি টের পাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি কেউ না কেউ আমার পোষ্ট সার্চ দিয়ে পড়েছেন যার নোটিফিকেশনে আমার ফেসবুক ভরে আছে,আলহামদুলিলাহ।
আমি যখন ক্যাম্পাসে ক্লাস নিই তখন আমার ছাত্র ছাত্রীদের বোঝাতাম যে আইটিতে পারসনাল ব্রান্ডিং খুব গুরুত্বপূর্ন। একই সাথে যেকোন উদ্যোক্তার জন্যও। আমি কিন্তু Razib Ahmed স্যার এর ধান্দাবাজীতে পড়ে এখন এটা ভালোভাবে রপ্ত করতে পেরেছি।
আমি লাইক, কমেন্ট বা কভারে আসা নিয়ে ফোকাস করি নি শুধু জানতে চেয়েছি আর জানাতে চেয়েছি। এই সময়ে আমার অর্জন শুনলে আপনাদের চোখ কপালে উঠতে পারে।
কেন জানেন?
আমি একটা নতুন পরিবার পেয়েছি যেখানে সুস্থ শিক্ষা চলমান।
কাজের সুবাদে যাদের সাথে আমার পরিচয় হলেও এখন ওনারা আমার পরিবারের বাইরে নন।
এভাবে লিখলে আসলে অনেকের নাম নিতে হবে, কিন্তু ফেসবুক এতগুলি নামকে মেনশন করতেও দিবে না। সবার সম্পর্কে বলতে গেলে শেষও হবে না। ও হ্যাঁ আপনারা যারা মনে করেন রাজীব স্যার এর ধান্দাবাজীতে থেকে লাভ নাই , এত সময় ফেসবুকে থেকে লাভ নাই।
তাদের জ্ঞাতার্থে জানায় এই গ্রুপ থেকেই শুধু আমার কাষ্টমার সংখ্যা প্রায় ১০০০ (সব আইটির) এবং সেল আপডেট গত এক বছরে ৩২ লক্ষের ঘরে, আলহামদুলিলাহ।
আমি লিখে চলেছি সিরিজ বাই সিরিজ, এ যেন একটি নেশা,আর আজ পর্যন্ত আমি কোন সেল পোষ্ট ও দেই নি।
নেশাটি আপনার চোখে ও লাগুক দোয়া করি, সকলেই দোয়া করবেন আমার জন্য। আর আমি কে? এই পরিচয় টা আজ তোলা থাক।
এই খয়েরী গেঞ্জিওয়ালাকে চেনেন বোধহয় অনেকেই।
বিঃদ্রঃ আমার প্রাপ্তি অনেক,আর আমার লেখা কন্টেন্ট এর টপিক এখন আমি নিজেও বলতে পারবোনা কতগুলি এবং কত টপিকে লিখেছি। এজন্য একটি ব্লগ সাইটও বানিয়েছি এই প্রাপ্তিও ডি এস বি এর।