বেশকিছু মনোবিজ্ঞানীর মতে, দুঃখকে মূলত ৩টি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়:
সাময়িক দুঃখ
এটা একটা মুড। মাঝে মাঝেই মানুষের মন খারাপ থাকে। আবার কিছু সময় পর ভালো হয়ে যায়। একা একা শুয়ে শুয়ে ছোটবেলার কথা ভাবতে ভাবতে মন ভারী হয়ে যায়। বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। কিন্তু একটু পরই আমরা সেটা ভুলে যাই।
এধরনের মুড কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী হয় না। কিন্তু মাঝে মাঝেই যদি এভাবে মুড অফ থাকে – তবে আপনার স্বাভাবিক কাজের ক্ষতি হবে।
এটা তাদের বেশি হয় যারা ঠিকমত ঘুমায়না, অথবা বেশি আলস্য করে।
এই ধরনের সমস্যার সবচেয়ে ভালো সমাধান হল নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো, এবং দিনের কিছুটা সময় শারীরিক পরিশ্রম করা। ব্যায়াম করা, কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করা, একটু খেলাধুলা করা – ইত্যাদি মনকে অনেক বেশি প্রফুল্ল রাখে। এছাড়া সিগারেট, মদ ইত্যাদি নেশা বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত কোমল পানীয় এবং চা-কফি এড়িয়ে চলতে হবে। এর ফলে এই ধরনের মুড অফ থাকার সমস্যা কমে যায়।
বিশেষ কারণে মন খারাপ
এই ধরনের দু:খবোধ এর কারণ হল কোনও বিশেষ ঘটনার কারণে মনে কষ্ট পাওয়া। কাছের মানুষের কাছ থেকে অনাকাঙ্খিত আচরণ পাওয়া, অফিসের বসের কাছে অপমানিত হওয়া, খুব কাছের কেউ মারা যাওয়া, বড় আর্থিক ক্ষতি হওয়া – ইত্যাদির ফলে মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী দু:খের সৃষ্টি হয়। এর ফলে অনেকটা সময়ের জন্য কিছুই করতে ভালো লাগে না। এমনকি বছরের পর বছর ধরেও এসব কারণে মানুষের মন খারাপ থাকে।
এর থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই এটাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি এটা নিয়ে কথাও বলতে চায় না। কিন্তু এটা মনের ভেতরে দু:খটিকে আরও গভীর করে। সেলফ ডেভেলপমেন্ট কোচ ক্যাথরিন স্যানফোর্ড এর মতে, এগুলো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা না করে, এগুলো নিয়ে খোলামেলা কথা বললে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।
খুব কাছের বন্ধু, আত্মীয়, ভাই-বোন – যে কারও সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললে মন হাল্কা হবে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে অনেক ভালো পরামর্শও পাওয়া যায়, যেগুলো আপনাকে
ডিপ্রেশন বা হতাশা
এটা সবচেয়ে বিপজ্জনক। এটা মানুষকে একদম আটকে ফেলে। যদি সবকিছুতেই নেগেটিভ চিন্তা আসে, কোনও আশার কথা শুনলেই যদি মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, অথবা যদি মনে হয় জীবনে আপনাকে দিয়ে কিছুই হবে না – এবং এজন্য আপনি কিছু চেষ্টাও করেন না – তবে খুব সম্ভবত আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন।
আপনার যদি মনে হয় আপনি একটু হলেও ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগছেন, তবে পরের টিপস গুলো আপনার জন্য।