আমেরিকার নিউ ইয়র্কের একজন নামকরা কোরিওগ্রাফার টোয়লা থার্প স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এই বিশেষ পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন।এইজন্য এই থিওরিকে বলা হয়- দি থার্প মেমোরি ওয়ার্ক আউট।
ট্রেনিং দেয়ার পর তিনি তাঁর পারফর্মারদের প্রথম বারের পারফর্মেন্স দেখার সময়ে কোনও নোট নিতেন না। কোনও বিষয়ে ট্রেনিং দেয়ার পর প্রথম পারফর্মেন্সে মানুষ ভুল করে। ট্রেইনার সেই ভুলগুলো সাধারণত লিখে রাখেন, এবং পরে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। থার্প প্রথম ১২ থেকে ১৪টি ভুল লিখতেন না। এগুলো তিনি মনে রাখার চেষ্টা করতেন।এইটা শুনে আপনার এবং আমার কাছে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে- আসলেই এই মানুষ পাগল নাকি,তবে আমি জানার পর থেকে আমি নিজেই ট্রেনিং করারনোর পরে এমন করি,এতে আমায় অনেকেই বলেন আমি মুল্যায়ন করছিনা হয়তো ঠিকমত।কিন্তু এতে বিশেষ একটি উপকার হয়,সেটি জানতে পড়ুন পুরোটা।
টোয়লা থার্প তাঁর বই “দি ক্রিয়েটিভ হ্যাবিট” – এ লিখেছেন যে, বেশিরভাগ মানুষ সাধারণত দুই থেকে তিনটির বেশি ভুল না লিখে মনে রাখতে পারেনা। – কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন প্রাকটিস করলে এক সময়ে গিয়ে মনে রাখার পরিমান বেড়ে যায়।ঠিক এই ব্যাপারটি আমার মাঝে এখন ঘটে,আমি নিজে বুঝতে পারি।আমার কোর্সের ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্কে আমার এনালাইসিস করা অনেক সহজ হয়ে গেছে,এখন আমিতো তাদের নাম,রোল,সেকশন,সেমিষ্টার সবই মনে রাখতে পারি।
না লিখে কিছু মনে রাখার চেষ্টা করা, এবং সেইসব নিয়ে পরে আলোচনা করা স্মৃতিশক্তি ও ব্রেনের পারফর্মেন্স বাড়ানোতে দারুন ভূমিকা রাখে।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, সবাই তো আর কোরিওগ্রাফার নয় যে মানুষকে ট্রেনিং দিয়ে তাদের ভুল গুলো মনে রাখার সুযোগ পাবে।
আসলে এই প্রাকটিস করার জন্য কোরিওগ্রাফার বা ট্রেইনার হওয়ার দরকার নেই। একটি বই পড়ে তার লাইনগুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন, প্রতিদিন যে রাস্তা দিয়ে যান – সেই রাস্তার আশপাশের জিনিসগুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন – এভাবেও এই প্রাকটিস করতে পারেন।
প্রথমে যদি ৩ থেকে ৫টি জিনিস মনে রাখতে পারেন, ধীরে ধীরে এই মনে রাখার পরিমান বাড়তে থাকবে। আর এই অভ্যাস করতে করতে দেখবেন, যে কোনও জিনিসই অনেক দ্রুত মনে রাখতে পারছেন।চেষ্টা করতেতো দোষ নেই। আজ থেকে শুরু করেন আর এক সপ্তাহ পরে কমেন্ট করে আবার জানান কেমন উন্নতি হলো আপনার।