নিচের ছবিতে থাকা এই ভাষ্কর্যের নাম ওয়েট অফ থট। চিন্তার ভারে ভারাক্রান্ত। মগজের ভারে মানুষ এখন ন্যুব্জ হয়ে থাকে। এমনই ন্যুব্জ হয়ে থাকে মানুষ সে তার স্বাভাবিক কাজও করতে পারে না। এই মগজের ভার নিয়ে মানুষ কী করবে? যে মগজের চিন্তা সভ্যতার জন্য মঙ্গল না করে অমঙ্গল চিন্তাটাই বেশি করছে।
প্রশ্ন হলো- কিভাবে আমরা চিন্তার ভারে ভারাক্রান্ত?
নিজেকে নিয়ে প্রশ্ন করুন, একজন নারী- রাতে ঘুমাতে যাবার সময়ে ভাবতে শুরু করেছেন সকালের নাসাত্র টেবিলে কি বানাতে হবে? কি রান্না হবে? কি কি আছে আর কি কি বাজার থেকে আনতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
ঠিক এই ভাবনাটাই আপনাকে ঐ ঘুমের সময়টা উপভোগ করতে দিচ্ছেনা।কিন্তু আসলেই কি ঐ চিন্তাটা আমাদের বেডে যেয়েই করার দরকার আছে? যদি দরকার মনে করেন তাহলে করবেন কিন্তু দরকার মনে না করলে ঐটার দিকে ফোকাস করার কোন মানে নেই।
আবার একজন পুরুষ মানুষ- কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পরেও সেই কর্মস্থলের চিন্তায় নিমজ্জিত হয়েই থাকেন যা আসলেই তার জন্য এবং ফ্যামিলির জন্য ক্ষতিকর। আমাকে,আপনাকে সবাইকেই মনে রাখতে হবে যে- জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত্বকে যদি আমরা উপভোগ না করতে পারি তাহলেই আমাদের মেধার বিকাশ থেকে পিছিয়ে যাবো।
সারাদিনে আমি,আপনি ও আপনারা সকলেই যতটুকু কাজ করি তারচেয়ে অনেক বেশি চিন্তা করে কাটাচ্ছি তথাপি আমরা জানি যে, চিন্তা কখনোই সমাধান দেয়না।আমি আপনাদের প্ল্যানিং করতে মানা করছিনা,কিন্তু প্ল্যানিং এর মাত্রা যেন এত বেশি না হয়ে যায় যে দিনের শেষে এক্সিকিউশনটাই আর থাকলোনা।