মাঝে মাঝে এমন সময় আসবে যখন মনে হবে “এতসব করে লাভ কি?” – অনিচ্ছাতেও কাজ করার কিছু গোপন সুত্র (২য় পর্ব)

এই নেগেটিভ বা নেতিবাচক কথাটি সবার মাথাতেই আসে।কাজ করতে করতে যখন একঘেয়েমি চরম সীমায় পৌঁছে যায়, তখন মস্তিষ্ক চায় কাজ থেকে একটু দূরে সরতে। বিশেষ করে আপনি যখন কোনও লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে কেবল কাজ শুরু করেছেন, আপনাকে অনেক খাটনি করতে হচ্ছে, কিন্তু কোনও রকম ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন না – তখনই আপনার মাথার ভেতরে এই কথাটি ঘুরপাক খেতে থাকে।
যে কোনও বড় লক্ষ্য পূরণের শুরুতে এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। একটি কাজ শুরু করলে একটা সময় পর্যন্ত তেমন কোনও ফলাফল চোখে পড়বেনা – এটা সফল মানুষ মাত্রই জানেন। কারন তাঁদের প্রত্যেকেরই এই অভিজ্ঞতা আছে।
এইজন্য আমার একটা কন্টেন্টে আমি বলেছিলাম লক্ষ্যকে বড় বানান কিন্তু সেটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন।
এই সময়টাতে কাজের আগ্রহ ও উদ্দীপনা একদম শূণ্যের কোঠায় নেমে আসে – আর মনে হতে থাকে যে কাজটি করে আসলে কোনও লাভ নেই। শুধুশুধুই এত কষ্ট করা হচ্ছে। এই সময়টিতেই মানুষ হাল ছেড়ে দেয়। এই অনুভূতি বা মাথার ভেতরে চলতে থাকা কথার কারনে কত যে সম্ভাবনাময় উদ্যোগ অঙ্কুরেই ঝরে গেছে- তার কোনও হিসেব নেই।
আপনাকে মনে রাখতে হবে, এটি একটি ফাঁদ। এই ফাঁদে একবার আটকে গেলে একটি দিনের কাজ তো বটেই, পুরো একটি পরিকল্পনাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাজেই যখনই এমন কথা মনে হবে, জোর করে হলেও কাজ করে যান। হয়তো মাথা ফ্রেশ করার জন্য কয়েক মিনিটের বিরতি নিতে পারেন, বা একটু বিনোদন করতে পারেন – তবে কাজ কোনওভাবেই বন্ধ করবেন না। ইতিবাচক মানুষদের মনেও নেতিবাচক চিন্তা আসে। কিন্তু সাধারন মানুষের থেকে তাঁদের পার্থক্য হলো, তাঁরা এসব চিন্তাকে দূরে সরিয়ে নিজের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যান।
আমি যেমন আমার গতকালের সিডিউলের ৯০% কাজ ঠিক টাইমে শেষ করেছি,সকল প্রতিকুলতাকে সরিয়ে রেখে।শুধু লাইভ প্রোগ্রাম টা ৩০ মিনিট লেটে করতে হয়েছে কারন হসপিটাল থেকে ফিরতে দেরি হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *