Computer Science and Engineering এ প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হবার পরেও আমি তাকে চাকুরী করতে দিই নি বলে তাদের আক্ষেপ ছিলো অনেক।
অনেকেই আমায় রক্ষনশীল বলছেন সামনে কিংবা পিছনে।অনেকেই বলেছেন- আমি আসলে সংকীর্ণ মনা,কিংবা আসলে নারীদের কর্ম স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কেউ নই।
আসলে এইগুলি শুনতাম আর মনে মনে হাসতাম-কারন আমার চিন্তাধারা অবশ্যই সবার চেয়ে আলাদা।আমি জানি আমি সঠিক আমার প্ল্যানিং এ,এবং আমি একটা কম্পলিট সংসার চেয়েছি,যেখানে কাউকেই কারো জন্য এবং কারো দ্বারস্ত হয়ে অবকাশযাপনের অনুমতি প্রার্থনা যেন করতে না হয়।
হ্যাঁ আমি জানি যে,সকলের বেলাতেই এই কাজটি করা সম্ভব নয়, কিন্তু আমি চেয়েছিলাম কম্পিউটার সায়েন্সের কেউ চাকুরী না করে বরং নিজে কিছু করুক।কারন কার ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশের জায়গা আছে।সে চাইলেই আমাদের অফিস দেখতে পারে কিন্তু সে চাইনি সেটা।এজন্য তাকে আলাদা আইডেন্টিটি তৈরি করে দিতে চেয়েছি।
২০১৯ এই সম্ভবত তার ইউটিউব চ্যানেল করে দিয়েছিলাম তার ভালো লাগার কাজ নিয়েই।কিন্তু সে কাজ শুরু করে গত বছর পেন্ডামিকের সময়ে,বলা বাহুল্য যে আমার ওয়েট বেড়ে গেছে তার ঐ রান্নার জন্যই।
কন্টেন্ট ক্রিয়েট করতো সে,আর এডিটং থেকে শুরু করে সব কাজ করে দিয়েছে তারই অফিস ICT CARE, চ্যানেল মনিটাইজ করে দেয়া পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করেছিলাম,এরপর থেকে সকল কাজ সে নিজেই করে।
ইদানিং তার মাসিক উপার্জনের পরিমাণ টা আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু প্রায় বলছিলো অনেক ডলার জমে আছে একটা একাউন্টে এড করে দিতে।
আমি এখানেও চেয়েছিলাম তার একটা আলাদা একাউন্ট হোক যেটার মালিকানা শুধুই তার।ব্যাস্তিতায় সময় পাচ্ছিলাম না,তাই আমি আজ তাকে একটা সম্পূর্ণ নতুন ব্যাংক একাউন্ট করে দিলাম যেন- তার এই সকল উপার্জন এখানে রাখতে পারে।
এইটা একান্তই তার নিজের,এখানে কারো কোন ভাগ নির্ধারিত নয়,সে যা খুশি এইটা দিয়ে করবে।
Tania Akter এর জীবনে এক নতুন অধ্যায় যোগ হলো আজ থেকে।সে এখন ইউটিউব থেকে মাসে এভারেজ ৫০০ ডলার উপার্জন করতে পারে।
একটা চাকুরী কি তাকে এই সক্ষমতা দিতে পারতো?
আমার কাছে মনে হয়না এত ফ্লেক্সিবলভাবে কোন চাকুরী সে করতে পারতো।
নারীরা ঝামেলা কিংবা বিরক্তিকর কিছু নয়,তাদেরকে সাবলম্বী বানাতে হবে আমাদের নিজেদের স্বার্থেই।
পরিবারের হাল যেন যেকোন মুহুর্ত্বে ধরতে পারে সে।তার একটা নিজস্ব আইডেন্টিটি তৈরি করে দিয়েছি।সে এখন স্বাবলম্বী। সে এখন একজন ইউটিউবার।